আলিপুরদুয়ার, 3 মার্চ : দাবানল নয়, আগুন লাগানো হয়েছে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে ৷ এমনটাই ইঙ্গিত পাচ্ছে বন্যপ্রাণী বিভাগ । জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ইস্ট রেঞ্জের মালঙ্গি বিটে গতরাতে আগুন লাগে । আগুনে পুড়ে যায় গন্ডারের বাসস্থান । যদিও উদ্যান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে ৷
জাতীয় উদ্যানের যে এলাকায় আগুন লেগেছে সেটা আসলে গন্ডারের চারণভূমি । কিছুদিন আগেই জাতীয় উদ্যানে কয়েকটি গন্ডার মারাও গিয়েছিল । তবে গতরাতে আগুন লাগার ঘটনাটিকে স্রেফ দাবানল হিসেবে দেখতে নারাজ বন বিভাগ ৷ চোরাশিকারি থেকে শুরু করে ইচ্ছাকৃতভাবে জঙ্গলে আগুন লাগানো, কোনও সম্ভাবনাকেই উড়িয়ে দিচ্ছেন না বন বিভাগের আধিকারিকরা ৷
আজ বিশ্ব বন্যপ্রাণ দিবস ৷ এমন একটা দিনে এভাবে গন্ডারের বাসস্থান পুড়ে যাওয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে ৷
গতকালের আগুনে পুড়ে গেছে বেশ কয়েক হেক্টর তৃণভূমি ৷ এরফলে তৃণভোজীদের খাদ্যের জোগানে টান পড়তে পারে বলেও মনে করছে উদ্যান কর্তৃপক্ষ । তৃণভূমিতে থাকতে গন্ডাররা থাকতে পছন্দ করে ৷ তাদের খাদ্যেরও সংস্থান হয় এখান থেকেই ৷ ফলে গন্ডার লোকালয়ে চলে আসারও একটা প্রবণতা থাকতে পারে বলে মনে করছে বন বিভাগ ।
জলপাইগুড়ির এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সম্পাদক শ্যামাপ্রসাদ পান্ডে বলেন, "কীভাবে আগুন লাগল সেটা দেখার বিষয় । এই সময় জঙ্গলে আগুন লাগানোর প্রবণতা দেখা যায় সাধারণ মানুষের মধ্যে । সেটা থেকেও আগুন লাগতে পারে ।"
গতরাতে আবহাওয়া অনুকূল ছিল না ওই এলাকায় ৷ বিদ্যুতের ঝলকানিও দেখা যাচ্ছিল মাঝেমধ্যে ৷ সেই থেকেও আগুন লাগতে পারে বলে অনুমান করছে বন বিভাগ ৷ এদিকে রাজ্যের মুখ্য বনপাল রবিকান্ত সিনহা জানিয়েছেন, "আগুন আমাদের পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গলে এমনিতে লাগে না । তবে কীভাবে আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখতে হবে । যেখানে আগুন লেগেছে সেটা জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের মুক্ত বনভূমি । আমরা বিষয়টির উপর নজর রাখছি ।"