আলিপুরদুয়ার, 3 মার্চ : জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে গন্ডারের রসদ ভান্ডারকে গ্রাস করল আগুন । গত সন্ধ্যায় 7টা নাগাদ আগুন লাগে । আজ সকালেও এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ । জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের গন্ডারের অন্যতম প্রিয় এলাকা মালঙ্গি বিট । সেখান থেকে প্রাণের ভয়ে পালিয়েছে গন্ডার সহ অন্যান্য বন্য প্রাণীরা । বনদপ্তর সূত্রে খবর, এই আগুনের জেরে খরগোশ, সাপ, পতঙ্গ, বুনো শুয়োর, ময়ূর সহ ছোটো প্রজাতির হরিণের মৃত্যু ঘটছে।
বিশ্ব বন্যপ্রাণ দিবসেই এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে সংকটের মুখে পড়েছে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের একশৃঙ্গ গন্ডারের চারণভূমি । গত সন্ধ্যায় 7টা নাগাদ জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের মালঙ্গি বিটের এক এবং তিন কম্পার্টমেন্টে দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে শুরু করে । মুহুর্তেই সেই আগুন জঙ্গলের বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে যায় । জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের 20-25 কিলোমিটার দূরে থেকেও সেই আগুন দেখা যায় । মালঙ্গি বিটের এক এবং তিন নম্বর কম্পার্টমেন্টের 70-75 হেক্টর এলাকার ঘাসবন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ।
একদিকে গন্ডারের রসদ ভান্ডার আগুনে পুড়ে শেষ । অন্যদিকে হাতি, বাইসন, হরিণের খাবারেও টান পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন উদ্যান কর্তৃপক্ষ । আজ কোনও সংবাদ মাধ্যমকেই মালঙ্গি বিটে প্রবেশ করতে দেয়নি উদ্যান কর্তৃপক্ষ । উদ্যান কর্তৃপক্ষের কেন এই গোপনীয়তা তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে । আগুন লাগার ঘটনায় ভিনরাজ্যের চোরাশিকারিদের হাত রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই ।
অন্যদিকে বনদপ্তরের আশঙ্কা, আগুনে জখম বন্যপ্রাণীরা জঙ্গল ছেড়ে জঙ্গল সংলগ্ন বনবস্তি এলাকাতে ঢুকে পড়তে পারে । সেই কারণে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন বিভিন্ন রেঞ্জ বিট অফিসকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে উদ্যান কর্তৃপক্ষ । সম্প্রতি জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে অজানা কারণে পরপর পাচটি পূর্ণবয়স্ক গন্ডারের মৃত্যু হয়েছে । জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে আগুন লাগার ঘটনায় জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ।
স্থানীয় বাসিন্দা অমূল্য রায় বলেন, "জঙ্গলের ভিতরে আগুন লাগে । বিকেলে আগুন লাগে । সন্ধ্যা 7টার দিকে এই আগুন বাড়তে থাকে । আকাশ লাল হয়ে গিয়েছিল । আমরা দেখতে পাচ্ছিলাম । "