আলিপুরদুয়ার, 19 জুন : বাগডোগরায় নামার পর শহিদ বিপুল রায়ের স্ত্রী ও তাঁর মেয়ে তমান্নাকে নিয়ে সরাসরি বিপুলের বাড়ি বিন্দিপাড়া গ্রামের দিকে রওনা হল সেনাবাহিনীর কনভয় । বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ সেনাবাহিনীর অপর একটি কনভয় শহিদ জওয়ানের কফিনবন্দী দেহ নিয়ে হাসিমারা বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে বিন্দিপাড়ার উদ্দেশে রওনা দেবে ।
বীর সন্তানের শহিদ হওয়ার খবর সামনে আসতেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিন্দিপাড়ায় । বিন্দিপাড়ার বাড়িতে বিপুলের যে ছবিটি ছিল, সেটাই সারাক্ষণ আঁকড়ে রেখেছেন সন্তানহারা কুসুমবালাদেবী । দাদার মৃত্যুর খবর জানতে পেরে ভুটান থেকে বাড়ি ফিরেছেন শহিদ জওয়ানের ভাই বকুল রায় । বাকরুদ্ধ তিনিও ।
ডিসেম্বরে শেষবার বাড়ি ফিরেছিলেন বিপুল রায় । খুব তাড়াতাড়ি আবারও ফেরার কথা ছিল তাঁর । কিন্তু কথা রাখতে পারলেন না । গোটা গ্রাম এখন অপেক্ষায় আছে কখন তাঁর কফিনবন্দী দেহ এসে পৌঁছাবে বিন্দিপাড়ায় । সকলের ভালোবাসার ছেলেটাকে শেষ একবার বিদায় জানাতে তৈরি হচ্ছে বিন্দিপাড়া ।
এদিকে আলিপুরদুয়ারে শহিদ জওয়ানের মরদেহ নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন । হাসিমারায় বায়ুসেনা ছাউনিতে শহিদ জওয়ানের দেহ যখন এসে পৌঁছায়, তখন সেখানে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের তালিকায় নাম ছিল না জেলার BJP সাংসদ জন বার্লারের । ফলে সেখানে ঢুকতে পারেননি তিনি । বায়ুসেনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, জেলা প্রশানের দেওয়া তালিকা মেনেই ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে । তালিকায় নাম না থাকায় স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ জন বার্লা ।