টোকিও, 21 জুলাই : করোনা আবহের মধ্যেই 23 জুলাই, শুক্রবার টোকিও-তে শুরু হতে চলেছে অলিম্পিক্স গেম ৷ এমনকি অ্যাথলিটরাও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৷ সেই করোনায় বেসামাল টোকিও অলিম্পিক্স এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে চলেছেন বিশ্বের 15টি দেশের রাষ্ট্রনেতারা ৷ জাপানের তরফে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, করোনার কারণে 1 হাজার জনের কম দর্শক নিয়ে অলিম্পিক্স এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে ৷
টোকিও-র সংবাদ সংস্থা কয়োডো’কে জাপান মন্ত্রিসভার মুখ্য়সচিব কাতসুনোবু কাতো জানিয়েছেন, আয়োজকদের মতামত নিয়ে করোনা অতিমারিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে টোকিও’র জাতীয় স্টেডিয়ামে নির্দিষ্ট সংখ্যক দর্শক নিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করার হবে ৷ তিনি আরও জানিয়েছেন, অলিম্পিক্সে অংশ নেওয়া বিভিন্ন দেশের প্রায় 70 জন ক্যাবিনেট স্তরের আধিকারিক জাপানে যাবেন ৷ তবে, সেখানেও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সবাইকে প্রবেশের অনুমতি নাও দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন জাপান মন্ত্রিসভার মুখ্যসচিব কাতসুনোবু কাতো ৷
প্রসঙ্গত, যে সকল দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা এখনও পর্যন্ত টোকিও অলিম্পিক্স এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাঁদের উপস্থিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, তাঁরা হলেন, ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ইমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁ, মোঙ্গলিয়ার প্রধানমন্ত্রী লুভসান্নামসরাই ওয়ুম-এরদেনে এবং মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন সহ অন্যান্যরা ৷ তবে, অলিম্পিক্স এর মহাযজ্ঞ শুরুর আগে জাপানে যে হারে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে, তার জেরে অনেক দেশের রাষ্ট্রপ্রধান তাঁদের সফর বাতিল করে দিয়েছেন ৷
আরও পড়ুন : Sachin Tendulkar : বিশ্বকাপ জয়ের স্মৃতিচারণ করে অলিম্পিকসে ভারতীয় অ্যাথলিটদের টনিক সচিনের
অলিম্পিক্স গেম আয়োজন নিয়ে জাপান মন্ত্রিসভার মুখ্যসচিব আরও জানিয়েছেন, অলিম্পিক্স এর কারণে প্রধানমন্ত্রী ওশিহিদ সুগা বিশ্বের তাবড় নেতাদের সঙ্গে নিজের ব্যক্তিগত সম্পর্ককে আরও ভাল করে তুলতে পারবেন ৷’’ কারণ করোনার জেরে গত দেড় বছরে জাপানের বিদেশনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাতো ৷