কলকাতা, 3 অক্টোবর : রাজ্য টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতায় দ্বিমুকুট জিতলেন অঙ্কুর ভট্টাচার্য ও সানভি রায়। রবিবার কলেজ স্ট্রিটের ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউটে ন'দিন ব্যাপী রাজ্য চ্যাম্পিয়নশিপ শেষ হয় ৷ শেষ দিনে বারোটি বিভাগের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয় ৷ অনূর্ধ্ব-17 ও 19 জুনিয়র ছেলেদের বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন দক্ষিণ কলকাতার অঙ্কুর ভট্টাচার্য। অনূর্ধ্ব-17 বিভাগে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ঐশিক ঘোষকে 4-0 ব্যবধানে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হন অঙ্কুর। অনূর্ধ্ব-19 জুনিয়র ছেলেদের বিভাগে উত্তর 24 পরগনার রুদ্রনারায়ণ ঘোষকে 4-0 ব্যবধানে হারিয়ে খেতাব জিতে দ্বিমুকুট জেতার কৃতিত্ব অর্জুন তিনি। সাম্প্রতিক কয়েক বছরে অঙ্কুর মোট তিনবার রাজ্য চ্যাম্পিয়নশিপে দ্বি-মুকুট জেতার কৃতিত্ব দেখালেন।
'প্লেয়ার অব দ্য' টুর্নামেন্ট দক্ষিণ 24 পরগনার সানভি রায় ৷ অনূর্ধ্ব-15 মেয়েদের বিভাগে উত্তর কলকাতার সান্দিকা রায়কে 4-0 ব্যবধানে হারানোর পরে অনূর্ধ্ব-17 বিভাগে উত্তর 24 পরগনার ঐশিকি জোয়ারদারকে 4-3 বিভাগে পরাজিত করে দ্বিমুকুট জয়ের কৃতিত্ব দেখায় সানভি। মহিলাদের বিভাগে পূর্ব কলকাতার প্রাপ্তি সেনকে 4-3 ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবার সিনিয়র পর্যায়ে রাজ্য সেরা হলেন হুগলির পয়মন্তী বৈশ্য। পুরুষদের বিভাগে হাওড়ার অনির্বাণ ঘোষকে 4-3 ব্যবধানে হারিয়ে রাজ্য সেরা হন আকাশ পাল।
অনূর্ধ্ব-11 বালক বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হাওড়ার আদিত্য দাস। সে ফাইনালে উত্তর চব্বিশ পরগনার সমৃদ্ধ ভট্টাচার্যকে হারিয়েছে ৷ এই বিভাগের বালিকাদের মধ্যে সেরা উত্তর 24 পরগনার অঙ্কলিকা চক্রবর্তী। সে হারিয়েছে উত্তর চব্বিশ পরগনার অহনা রায়কে ৷ অনূর্ধ্ব-13 ছেলেদের ক্যাডেটে দক্ষিণ কলকাতার সৌনাভ বর্মন চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। হাওড়ার অনিশ মুখোপাধ্যায়কে 4-2 ব্যবধানে হারায় সে ৷ এই বিভাগের মেয়েদের মধ্যে সেরা হাওড়ার অভীষা কর্মকার। সে 4-0 ব্যবধানে হাওড়ারই সঞ্চারী চক্রবর্তীকে পরাজিত করে। অনূর্ধ্ব-15 সাব-জুনিয়র ছেলেদের মধ্যে উত্তর চব্বিশ পরগনার ইমন অধিকারী 4-1 ব্যবধানে উত্তর 24 পরগনারই দেবশ্রুত দত্তকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়।
অনূর্ধ্ব-19 মেয়েদের জুনিয়র বিভাগে উত্তর 24 পরগনার মৌলি মোদককে 4-1 ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন একই জেলার মুনমুন কুণ্ডু। অতিমারি পরিস্থিতি থেকে টেবিল টেনিসকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসতে বেঙ্গল স্টেট টেবিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশন এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করে ৷ অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্মসচিব শর্মি সেনগুপ্ত জানান, খেলোয়াড়দের স্বার্থের কথা ভেবেই রাজ্য চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন করা হয়েছিল।