ETV Bharat / sports

পরিষ্কার হয়নি পুলের জল, বন্ধ ক্লাব; খাঁ খাঁ করছে কলেজ স্কয়্যার চত্বর - covid-19

কোরোনা আতঙ্কে বন্ধ কলেজ স্কয়্যারের সাঁতার ক্লাব ৷ একসময় সাঁতারুদের কোলাহলে গমগম করা কলেজ স্কয়্যার চত্বর এখন সুনসান ৷

পরিস্কার হয়নি পুলের জল,বন্ধ ক্লাব, নিস্তব্ধ কলেজ স্কোয়ার
পরিস্কার হয়নি পুলের জল,বন্ধ ক্লাব, নিস্তব্ধ কলেজ স্কোয়ার
author img

By

Published : Jun 25, 2020, 4:23 PM IST

Updated : Jun 28, 2020, 6:31 AM IST

কলকাতা, 25 জুন : হাজারো মানুষের কোলাহল, ব্যস্ততার মাঝে কলেজ স্কয়্যারের পুলের জল যেন টাটকা বাতাস ৷ শহরের সাঁতারুদের পছন্দের জায়গা ৷ কলকাতার সাঁতারের আঁতুড়ঘর বলতে প্রথমেই মাথায় আসে কলেজ স্কয়্যারের নাম ৷ এককথায় বলা যায়, এখানেই কলকাতার সাঁতার সংস্কৃতির শিকড় লুকিয়ে ।

মধ্য কলকাতার প্রাণকেন্দ্র কলেজ স্ট্রিট শিক্ষা এবং সংস্কৃতির ভরকেন্দ্র । হিন্দু স্কুল, হেয়ার স্কুল, সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুল, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশাল আয়তনের বাড়িগুলির মাঝে কলেজ স্কয়্যারের পুলের জল যেন টাটকা বাতাস । স্বাভাবিক সময়ে এখানে মানুষের ভিড় লেগেই থাকে । সকাল বিকেলে সাঁতারুদের দাপটে পুলের জল তোলপাড় হয় ৷ এমন এক প্রাণচঞ্চল পরিবেশ একলহমায় বদলে গেছে ৷ কোরোনা ভাইরাসের আক্রমণের জেরে নিস্তব্ধ হয়ে রয়েছে ।

কলেজ স্কয়্যার সুইমিং ক্লাব, ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি ইন্সটিটিউট, YMC, বৌবাজার ব্যায়াম সমিতি, শৈলেন্দ্র মেমোরিয়াল ক্লাব, সেন্ট্রাল সুইমিং ক্লাব কলেজ স্কয়্যারের পুলটি ব্যবহার করে । এই ক্লাবগুলির পিছনে একশো বছরের ইতিহাস রয়েছে । একশো বছরের পুরানো কলেজ স্কয়্যার সুইমিং ক্লাবে চার প্রজন্ম ধরে কাজ করে আসছেন অশোক রায় এবং তাঁর পরিবার । তাঁরা এমন দৃশ্য এর আগে কখনও চোখে দেখেননি ।

খাঁ খাঁ করছে কলেজ স্কয়্যার চত্বর
খাঁ খাঁ করছে কলেজ স্কয়্যার চত্বর

বেঙ্গল সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের সচিব স্বপন আদক বলছেন, "এই মরশুমে সাঁতার হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে । সামাজিক দূরত্বের যে বিধিনিষেধ তাতে চেষ্টা করলে সাঁতার, ডাইভিং হয়ত হতে পারে কিন্তু ওয়াটার পোলো হওয়া সম্ভব নয় । আর এই নিয়মের বেড়াজালে কলেজ স্কয়্যারের ক্লাবগুলির গেটে তালা পড়েছে ।"

কলেজ স্কয়্যার সুইমিং ক্লাবের সঙ্গে দীর্ঘদিন জড়িয়ে থাকা অশোক রায় বলছেন, "এখনও পর্যন্ত কোচ থেকে ক্লাব কর্মীদের বেতন হয়েছে । তবে আগামী দিনে কী অপেক্ষা করছে তা কেউ জানে না । কর্তারা নিয়মিত খবর নিচ্ছেন । মরশুম শুরু হওয়ার মুখে লকডাউনে ক্লাবের সদস্যপদ নবীকরণ হয়নি । ফলে চাঁদা নির্ভর ক্লাবগুলি বছরভর কীভাবে খরচ চালাবে তা এখন প্রশ্নের মুখে ।"

সাঁতারুদের কোলাহলে গমগম করা কলেজ স্কয়্যার চত্বর এখন সুনসান

কোরোনা ছাড়াও লকডাউনের মধ্যে কলেজ স্কয়্যারের গায়ে আমফানের ধাক্কা বিরাটভাবে লেগেছে । বিশেষ করে পুলের জল এখন দূষিত । তার সংস্কার জরুরি । এই অবস্থায় সাঁতারুরা বারবার ক্লাবে ফোন করে খবর নিচ্ছেন । কিন্তু কলেজ স্কয়্যারের ছয়টি ক্লাব জানে না কবে থেকে শুরু হবে সাঁতার । তাই কলেজ স্কয়্যারের প্রাণচঞ্চল পরিবেশ যেন এখন অতীত।

কলকাতা, 25 জুন : হাজারো মানুষের কোলাহল, ব্যস্ততার মাঝে কলেজ স্কয়্যারের পুলের জল যেন টাটকা বাতাস ৷ শহরের সাঁতারুদের পছন্দের জায়গা ৷ কলকাতার সাঁতারের আঁতুড়ঘর বলতে প্রথমেই মাথায় আসে কলেজ স্কয়্যারের নাম ৷ এককথায় বলা যায়, এখানেই কলকাতার সাঁতার সংস্কৃতির শিকড় লুকিয়ে ।

মধ্য কলকাতার প্রাণকেন্দ্র কলেজ স্ট্রিট শিক্ষা এবং সংস্কৃতির ভরকেন্দ্র । হিন্দু স্কুল, হেয়ার স্কুল, সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুল, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশাল আয়তনের বাড়িগুলির মাঝে কলেজ স্কয়্যারের পুলের জল যেন টাটকা বাতাস । স্বাভাবিক সময়ে এখানে মানুষের ভিড় লেগেই থাকে । সকাল বিকেলে সাঁতারুদের দাপটে পুলের জল তোলপাড় হয় ৷ এমন এক প্রাণচঞ্চল পরিবেশ একলহমায় বদলে গেছে ৷ কোরোনা ভাইরাসের আক্রমণের জেরে নিস্তব্ধ হয়ে রয়েছে ।

কলেজ স্কয়্যার সুইমিং ক্লাব, ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি ইন্সটিটিউট, YMC, বৌবাজার ব্যায়াম সমিতি, শৈলেন্দ্র মেমোরিয়াল ক্লাব, সেন্ট্রাল সুইমিং ক্লাব কলেজ স্কয়্যারের পুলটি ব্যবহার করে । এই ক্লাবগুলির পিছনে একশো বছরের ইতিহাস রয়েছে । একশো বছরের পুরানো কলেজ স্কয়্যার সুইমিং ক্লাবে চার প্রজন্ম ধরে কাজ করে আসছেন অশোক রায় এবং তাঁর পরিবার । তাঁরা এমন দৃশ্য এর আগে কখনও চোখে দেখেননি ।

খাঁ খাঁ করছে কলেজ স্কয়্যার চত্বর
খাঁ খাঁ করছে কলেজ স্কয়্যার চত্বর

বেঙ্গল সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের সচিব স্বপন আদক বলছেন, "এই মরশুমে সাঁতার হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে । সামাজিক দূরত্বের যে বিধিনিষেধ তাতে চেষ্টা করলে সাঁতার, ডাইভিং হয়ত হতে পারে কিন্তু ওয়াটার পোলো হওয়া সম্ভব নয় । আর এই নিয়মের বেড়াজালে কলেজ স্কয়্যারের ক্লাবগুলির গেটে তালা পড়েছে ।"

কলেজ স্কয়্যার সুইমিং ক্লাবের সঙ্গে দীর্ঘদিন জড়িয়ে থাকা অশোক রায় বলছেন, "এখনও পর্যন্ত কোচ থেকে ক্লাব কর্মীদের বেতন হয়েছে । তবে আগামী দিনে কী অপেক্ষা করছে তা কেউ জানে না । কর্তারা নিয়মিত খবর নিচ্ছেন । মরশুম শুরু হওয়ার মুখে লকডাউনে ক্লাবের সদস্যপদ নবীকরণ হয়নি । ফলে চাঁদা নির্ভর ক্লাবগুলি বছরভর কীভাবে খরচ চালাবে তা এখন প্রশ্নের মুখে ।"

সাঁতারুদের কোলাহলে গমগম করা কলেজ স্কয়্যার চত্বর এখন সুনসান

কোরোনা ছাড়াও লকডাউনের মধ্যে কলেজ স্কয়্যারের গায়ে আমফানের ধাক্কা বিরাটভাবে লেগেছে । বিশেষ করে পুলের জল এখন দূষিত । তার সংস্কার জরুরি । এই অবস্থায় সাঁতারুরা বারবার ক্লাবে ফোন করে খবর নিচ্ছেন । কিন্তু কলেজ স্কয়্যারের ছয়টি ক্লাব জানে না কবে থেকে শুরু হবে সাঁতার । তাই কলেজ স্কয়্যারের প্রাণচঞ্চল পরিবেশ যেন এখন অতীত।

Last Updated : Jun 28, 2020, 6:31 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.