ETV Bharat / sports

ISL 2022-23: জার্ভিসকে নিয়ে লুকোচুরি অব্যাহত, প্রথম ছয়ের আশায় কনস্ট্যানটাইন - Jake Jervis

ওড়িশার সঙ্গে ম্যাচ থাকলেই কেন হারে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ? জার্ভিস নাকি শহরে ? কী বলছেন লাল-হলুদ কোচ (Stephen Constantine eyes to enter in Top Six) ?

ETV Bharat
কনস্ট্যানটাইন
author img

By

Published : Jan 9, 2023, 8:59 AM IST

কলকাতা, 9 জানুয়ারি: ওড়িশা ম্যাচ কি ইস্টবেঙ্গলের কাছে স্থায়ী কাঁটা হয়ে গেল ? আইএসএলের মঞ্চে প্রথমবার ছাড়া বাকি যতবার দেখা হয়েছে দুই দলের সেখানেই পরাজিত হতে হয়েছে লাল-হলুদকে । প্রথমে গোল করে এগিয়ে গিয়েও তার সুবিধা ধরে রাখতে পারেনি দল । কেন বারবার এই ব্যর্থতা ? উত্তর খুঁজছেন সকলে । প্রথম লেগে ঘরের মাঠে দু'গোলে এগিয়ে চার গোল হজম করতে হয়েছে । দ্বিতীয় লেগেও এক ছবি (Stephen Constantine eyes to enter in Top Six) ।

শনিবার ওড়িশার বিরুদ্ধে এগিয়ে গিয়েও হারতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে । ওড়িশার ঘরের মাঠে ম্যাচের দশ মিনিটের মধ্যে ব্রাজিলের ফুটবলার ক্লেইটন সিলভারের গোলে এগিয়ে যায় লাল-হলুদ । তারপর আর এগিয়ে থাকার সুবিধা ধরে রাখতে পারেনি । প্রথমার্ধে দু’গোল খায় ইস্টবেঙ্গল । কেন এই পরাজয় ? বলা হচ্ছে মনঃসংযোগ এবং আত্মবিশ্বাসের অভাব । যার জেরে এগিয়ে যাওয়ার সুবিধা বারবার হাতছাড়া । অথচ ঘরের মাঠে বেঙ্গালুরু এফসিকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিল লাল-হলুদ ।

এই ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট না পাওয়ায় প্লে-অফের রাস্তা অনেকটাই কঠিন করে ফেলেছে স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের (Stephen Constantine) দল । তবুও অঙ্কের বিচারে প্লে-অফ খেলার সম্ভাবনা এখনও মুছে যায়নি । লিগে এখনও আট ম্যাচ বাকি । প্রথম ছয়ে থাকতে সবক'টা ম্যাচই প্রায় জিততে হবে । প্রতিটি ম্যাচ ফাইনাল ধরে এগোতে হবে । তাহলেই সুরক্ষিত জায়গায় পৌঁছে যাওয়া সম্ভব । পরের ম্যাচ থেকে সেই চেষ্টা করবে ইস্টবেঙ্গল । কাজটা কঠিন হলেও অসম্ভব নয় । ব্রিটিশ কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের কথায়, "এখনও আমাদের হাতে 24 পয়েন্ট রয়েছে । তাই অঙ্কের বিচারে আমাদের সামনে প্রথম ছয়ে জায়গা করার সুযোগ এখনও রয়েছে । এর জন্য প্রত্যেক ম্যাচে আমরা সর্বস্ব দিয়ে লড়াই করব । সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে হবে । তিন পয়েন্ট ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করব আমরা । চলতি সপ্তাহেই ঘরের মাঠে আমাদের ম্যাচ রয়েছে । ওই ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট তোলার চেষ্টা করতে হবে । ওড়িশা ম্যাচে শুরুটা ভালো করেছিলাম । কিন্তু তা ধরে রাখতে পারিনি । দিনটা আমাদের ছিল না ।"

আরও পড়ুন : সামনে দমন-দিউ, জয়ের সঙ্গে গোলের ব্যবধানও বাড়াতে চায় বাংলা

চলতি আইএসএলে ইস্টবেঙ্গল যেসব ম্যাচগুলিতে হেরেছে, সেই ম্যাচগুলির দিকে তাকালেই দেখা যাবে পরাজয়ের অন্যতম কারণ মনসংযোগের অভাব । নয়ত, কোনও ফুটবলারের ব্যক্তিগত ভুলের খেসারতে গোল হজম করতে হয়েছে দলকে । ওড়িশা ম্যাচেও অন্যথা হয়নি । প্রথমার্ধে দু'টি গোল খাওয়ার পিছনে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররাই দায়ী । এই কারণে খুব অখুশি স্টিফেন । হতাশা তাঁর গলায় ৷ বলছেন, "দু’টি গোল খাওয়ার ক্ষেত্রে ফুটবলাররা কিছু ভুল করেছে । কর্নারে সময় লালচুংনুঙ্গাকে মাউরিসিও পরাস্ত করে গোল করে । দ্বিতীয় গোলটা পুরোটাই ফ্লুক । অর্থাৎ, আচমকাই নন্দকুমারের সেন্টার গোলে চলে যায় ।"

ওড়িশার বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে ছিলেন হিমাংশু জাংরা । কিন্তু পুরো ম্যাচ খেলতে পারেননি । বিরতির আগেই জাংরাকে মাঠ থেকে উঠে যেতে হয়েছিল । ক্লেইটন সিলভাও তাই । সিলভার পরিবর্তে মাঠে নেমেছিলেন মহম্মদ রাকিপ । দুই ফুটবলারের চোট কতটা গুরুতর ? এই বিষয়ে স্টিফেনের বক্তব্য, "বাজেভাবে গোড়ালিতে আঘাত লেগেছে জাংরার । জানি না, চোট কতটা গুরুতর । ক্লেইটনকে পরিষ্কার ফাউল করা হয়েছে । ক্লেইটন মাঠে পড়েছিল কিছুক্ষণ । হাঁটুতে ব্যাথা অনুভব করছিল । আশা করছি, ক্লেইটন ঠিক আছে ৷"

পেনাল্টি না-পাওয়ার অভিযোগ এবং ন্যায্য গোল বাতিলের কথাও শোনা গিয়েছে স্টিফেনের মুখে । তবে এই অবস্থায় নতুন বিদেশি কোচ জ্যাক জারভিসকে পাওয়া যাবে কী না তা নিয়ে অবশ্য মুখ খুলছেন না স্টিফেন । অথচ জারভিস (Jake Jervis) না কী শহরে । ঘরের মাঠে জামশেদপুর এফসিকে হারাতে ক্লেইটন সিলভার শুধুমাত্র নির্ভর করলে চলবে না । তাই চোট আঘাত এবং ফুটবলারদের মানসিক সমস্যা সরিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর মধ্যেই নয় নম্বরে থাকা ইস্টবেঙ্গলের ছয়ে থাকার সম্ভাবনা বেঁচে থাকবে ।

আরও পড়ুন : জিততে পারি এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নামলে জয় আসবে, মত ক্লেটন সিলভার

কলকাতা, 9 জানুয়ারি: ওড়িশা ম্যাচ কি ইস্টবেঙ্গলের কাছে স্থায়ী কাঁটা হয়ে গেল ? আইএসএলের মঞ্চে প্রথমবার ছাড়া বাকি যতবার দেখা হয়েছে দুই দলের সেখানেই পরাজিত হতে হয়েছে লাল-হলুদকে । প্রথমে গোল করে এগিয়ে গিয়েও তার সুবিধা ধরে রাখতে পারেনি দল । কেন বারবার এই ব্যর্থতা ? উত্তর খুঁজছেন সকলে । প্রথম লেগে ঘরের মাঠে দু'গোলে এগিয়ে চার গোল হজম করতে হয়েছে । দ্বিতীয় লেগেও এক ছবি (Stephen Constantine eyes to enter in Top Six) ।

শনিবার ওড়িশার বিরুদ্ধে এগিয়ে গিয়েও হারতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে । ওড়িশার ঘরের মাঠে ম্যাচের দশ মিনিটের মধ্যে ব্রাজিলের ফুটবলার ক্লেইটন সিলভারের গোলে এগিয়ে যায় লাল-হলুদ । তারপর আর এগিয়ে থাকার সুবিধা ধরে রাখতে পারেনি । প্রথমার্ধে দু’গোল খায় ইস্টবেঙ্গল । কেন এই পরাজয় ? বলা হচ্ছে মনঃসংযোগ এবং আত্মবিশ্বাসের অভাব । যার জেরে এগিয়ে যাওয়ার সুবিধা বারবার হাতছাড়া । অথচ ঘরের মাঠে বেঙ্গালুরু এফসিকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিল লাল-হলুদ ।

এই ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট না পাওয়ায় প্লে-অফের রাস্তা অনেকটাই কঠিন করে ফেলেছে স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের (Stephen Constantine) দল । তবুও অঙ্কের বিচারে প্লে-অফ খেলার সম্ভাবনা এখনও মুছে যায়নি । লিগে এখনও আট ম্যাচ বাকি । প্রথম ছয়ে থাকতে সবক'টা ম্যাচই প্রায় জিততে হবে । প্রতিটি ম্যাচ ফাইনাল ধরে এগোতে হবে । তাহলেই সুরক্ষিত জায়গায় পৌঁছে যাওয়া সম্ভব । পরের ম্যাচ থেকে সেই চেষ্টা করবে ইস্টবেঙ্গল । কাজটা কঠিন হলেও অসম্ভব নয় । ব্রিটিশ কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের কথায়, "এখনও আমাদের হাতে 24 পয়েন্ট রয়েছে । তাই অঙ্কের বিচারে আমাদের সামনে প্রথম ছয়ে জায়গা করার সুযোগ এখনও রয়েছে । এর জন্য প্রত্যেক ম্যাচে আমরা সর্বস্ব দিয়ে লড়াই করব । সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে হবে । তিন পয়েন্ট ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করব আমরা । চলতি সপ্তাহেই ঘরের মাঠে আমাদের ম্যাচ রয়েছে । ওই ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট তোলার চেষ্টা করতে হবে । ওড়িশা ম্যাচে শুরুটা ভালো করেছিলাম । কিন্তু তা ধরে রাখতে পারিনি । দিনটা আমাদের ছিল না ।"

আরও পড়ুন : সামনে দমন-দিউ, জয়ের সঙ্গে গোলের ব্যবধানও বাড়াতে চায় বাংলা

চলতি আইএসএলে ইস্টবেঙ্গল যেসব ম্যাচগুলিতে হেরেছে, সেই ম্যাচগুলির দিকে তাকালেই দেখা যাবে পরাজয়ের অন্যতম কারণ মনসংযোগের অভাব । নয়ত, কোনও ফুটবলারের ব্যক্তিগত ভুলের খেসারতে গোল হজম করতে হয়েছে দলকে । ওড়িশা ম্যাচেও অন্যথা হয়নি । প্রথমার্ধে দু'টি গোল খাওয়ার পিছনে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররাই দায়ী । এই কারণে খুব অখুশি স্টিফেন । হতাশা তাঁর গলায় ৷ বলছেন, "দু’টি গোল খাওয়ার ক্ষেত্রে ফুটবলাররা কিছু ভুল করেছে । কর্নারে সময় লালচুংনুঙ্গাকে মাউরিসিও পরাস্ত করে গোল করে । দ্বিতীয় গোলটা পুরোটাই ফ্লুক । অর্থাৎ, আচমকাই নন্দকুমারের সেন্টার গোলে চলে যায় ।"

ওড়িশার বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে ছিলেন হিমাংশু জাংরা । কিন্তু পুরো ম্যাচ খেলতে পারেননি । বিরতির আগেই জাংরাকে মাঠ থেকে উঠে যেতে হয়েছিল । ক্লেইটন সিলভাও তাই । সিলভার পরিবর্তে মাঠে নেমেছিলেন মহম্মদ রাকিপ । দুই ফুটবলারের চোট কতটা গুরুতর ? এই বিষয়ে স্টিফেনের বক্তব্য, "বাজেভাবে গোড়ালিতে আঘাত লেগেছে জাংরার । জানি না, চোট কতটা গুরুতর । ক্লেইটনকে পরিষ্কার ফাউল করা হয়েছে । ক্লেইটন মাঠে পড়েছিল কিছুক্ষণ । হাঁটুতে ব্যাথা অনুভব করছিল । আশা করছি, ক্লেইটন ঠিক আছে ৷"

পেনাল্টি না-পাওয়ার অভিযোগ এবং ন্যায্য গোল বাতিলের কথাও শোনা গিয়েছে স্টিফেনের মুখে । তবে এই অবস্থায় নতুন বিদেশি কোচ জ্যাক জারভিসকে পাওয়া যাবে কী না তা নিয়ে অবশ্য মুখ খুলছেন না স্টিফেন । অথচ জারভিস (Jake Jervis) না কী শহরে । ঘরের মাঠে জামশেদপুর এফসিকে হারাতে ক্লেইটন সিলভার শুধুমাত্র নির্ভর করলে চলবে না । তাই চোট আঘাত এবং ফুটবলারদের মানসিক সমস্যা সরিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর মধ্যেই নয় নম্বরে থাকা ইস্টবেঙ্গলের ছয়ে থাকার সম্ভাবনা বেঁচে থাকবে ।

আরও পড়ুন : জিততে পারি এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নামলে জয় আসবে, মত ক্লেটন সিলভার

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.