হুগলি, 27 জুন : লকডাউনের জেরে ক্ষতির মুখে জেলাক্রীড়া মহল । কোরোনার জন্য সকলেই আতঙ্কিত ৷ তার উপর লকডাউন দীর্ঘদিন ধরে চলার ফলেসমস্যায় জেলা স্পোর্টস এসোসিয়েশন । হুগলি জেলাতেই দুটি এসোসিয়েশনের আছে । হুগলিডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস এসোসিয়েশন ও চন্দননগর ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস এসোসিয়েশন ।কোরোনা আর লকডাউনে সমস্ত খেলা বন্ধ হয়ে গেছে । আর সেই কারণে জেলার দুই ক্রীড়াসংস্থার ক্লাবগুলি একের পর এক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন । শুধু ক্লাবগুলিই নাজেলাতে স্পোর্টস এসোসিয়েশনের তরফে আন্তরাজ্য ও দেশের খেলা থেকেও বঞ্চিত খেলোয়াড়রা। সেই সঙ্গে যারা কোচ ও খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ দেন তারাও নানারকম সমস্যার সম্মুখীন। বিশেষ করে যারা খেলোয়াড়দের কোচিং করিয়েই জীবিকা নির্বাহ করেন তারা এখন দিশাহারা।
হুগলিডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস এসোসিয়েশনের মোট ক্লাবের সংখ্যা 200টি ৷ হুগলি জেলা স্পোর্টসঅ্যাসোসিয়েশনের কর্মীদের 25 থেকে30 হাজারটাকা প্রতি মাসে বেতন দিতে হয় । এছাড়া 10 থেকে 15 হাজার টাকা মাঠ পরিচর্যার জন্য খরচহয় । বিভিন্ন রকম খেলা এবং মাঠ পরিচর্যার জন্য সরঞ্জাম কিনতে হয় স্পোর্টসএসোসিয়েশনের মোট 40 থেকে50 হাজারটাকা প্রতি মাসে খরচ আছে । মোট কোচের সংখ্যা 25 ।
অন্যদিকেচন্দননগর ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস এসোসিয়েশনের মোট ক্লাবের সংখ্যা 26টি । ফুটবল ,ক্রিকেট ছাড়াও বেশকিছু খেলা যেমনকাবাডি, হকি,ভলি বল,সাঁতার ও টেনিস সহ ইনডোর খেলাগুলি বন্ধহয়ে পড়ে আছে ৷ এই ক্লাবগুলিতে কয়েকশো কোচ যুক্ত । কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেইঅর্থ তুলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনগুলিকে ৷
প্রাক্তনখেলোয়াড় ও ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টসের সভাপতি তনুময় বসু বলেন,‘‘ স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন 17 মার্চ থেকে বন্ধ হয়ে পড়ে আছে ।সমস্ত খেলাধুলা বন্ধ হয়ে আছে । একটা জেলার ক্রীড়া সংস্থায় যদি খেলাধুলাই না হয়সংস্থার কোনও মূল্যই থাকে না ।
চুঁচুড়া ইউনিয়ন ক্লাবের সীতেশ দাসবলেন, ‘‘ক্লাবগুলিবন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে কোনওভাবেই টাকা পয়সা পাওয়া যাচ্ছে না । সরকারি নিয়মঅনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব রেখে খেলাধুলা করতে হবে । কিন্তু এই সময় প্রচন্ড সমস্যারমধ্যে পড়তে হচ্ছে ।’’
চুঁচুড়ারএকটি ক্লাবের কোচ অমরনাথ মুখার্জি বলেন, ‘‘ডিস্ট্রিক্ট অ্যাসোসিয়েশন যতক্ষণপর্যন্ত না অনুমতি দিচ্ছে ততক্ষণ আমরা খেলা চালু করতে পারছি না । পরিস্থিতি খুবইখারাপ । এভাবে বেশিদিন চলা সম্ভব নয় । চন্দননগর ডিস্ট্রিক্ট অ্যাসোসিয়েশনতরফে বামাপদ চট্টোপাধ্যায় বলেন,‘‘ কোরোনা পরিস্থিতির মধ্যে খেলোয়াড় কোচ এবং যারা মাঠ বন্ধুতারা প্রত্যেকেই কিছু না কিছু ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ।’’