কলকাতা, 11 সেপ্টেম্বর: রঞ্জন চৌধুরীকে সন্তোষ ট্রফির জন্য বাংলা দলের কোচ হিসেবে বেছে নিল আইএফএ । চার বছর পর ফের বাংলার কোচ হলেন রঞ্জন চৌধুরী । সোমবার কোচেস কমিটির সভায় তাঁকে কোচ হিসেবে বেছে নেওয়া হয় । 2018 সালে সন্তোষে বাংলাকে ফাইনালে তুলেছিলন রঞ্জন । ওই বছর ফাইনালে টাইব্রেকারে কেরলের কাছে হেরে যায় বাংলা। সোমবার কোচেস কমিটির সভা শেষে চেয়ারম্যান মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "অনেক কোচের নাম আলোচনায় উঠেছিল । কিন্তু গত কয়েকবছর ধরে রঞ্জন কোচ হিসেবে ভালো কাজ করছে। স্বাভাবিকভাবেই কোচেস কমিটির সকল সদস্যই রঞ্জন চৌধুরীকেই কোচ করার পক্ষে রায় দেন। সন্তোষের দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোচকেই পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।"
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলা সন্তোষ ট্রফি জিততে পারেনি। এবছর আইএফএ সন্তোষ ট্রফি জয়ে বাড়তি নজর দিতে চাইছে । তাই কোচ নির্বাচন থেকে দল গঠন সব বিভাগেই আইএফএ বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে । এই বছর সন্তোষ ট্রফি কোচ হওয়ার জন্য আগ্রহী কোচেদের কাছে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার ঘোষণা করেছিল আইএফএ । অনেকটা ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ বেছে নেওয়ার পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে । কোচ নির্বাচনে বিতর্ক এবং পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এড়াতেই এই ব্যবস্থা করেছে রাজ্য ফুটবল নিয়ামক সংস্থা ।
সন্তোষ ট্রফিতে বাংলার কোচ হতে চেয়ে 10 জন আবেদন করেছিলেন । তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম হল- সঞ্জয় সেন ও জহর দাস । কিন্তু এই দুই বর্ষীয়ান কোচ যতটা ঘরের মাঠের বর্তমান ফুটবলারদের চর্চা করেন তাঁর থেকে বেশি চর্চায় আছেন রঞ্জন চৌধুরী । তাছাড়া গত দু'বছর ধরে কলকাতা প্রিমিয়ার লিগে ভবানীপুর দল নিয়ে খুব ভালো কাজ করে আসছেন রঞ্জন । চলতি বছরেও সুপার সিক্সে প্রবেশ করেছে ভবানীপুর । সেদিক দিয়ে এবারের সন্তোষ ট্রফিতে বাংলা দলের কোচ হিসেবে রঞ্জনই কমিটির প্রথম পছন্দ ছিলেন ।
বাংলা দলের কোচের চেয়ারে ফের তিনি । খবর পাওয়ার পর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, "আমাকে বাংলা দলের কোচ নির্বাচন করায় আইএফএর কোচেস কমিটিকে ধন্যবাদ জানাই । অতীত নয়, বর্তমানে দাঁড়িয়ে দলকে সাজানোর চেষ্টা করব । অবশ্যই দায়িত্ব বেড়ে গেল । খুব তাড়াতাড়ি দল গঠনের কাজ শুরু করে দেব । এবার আমাদের কোয়ালিফাইংয়ের ম্যাচ খেলতে হবে পঞ্জাবে । সেটা টপকানো কঠিন । তাই আমাদের সেইভাবেই প্রস্তুতি নিতে হবে ।"
গত বছর সন্তোষ ট্রফিতে বাংলা দলের কোচ নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল । বিতর্কের উত্তাপ এতটাই ছিল যে আইএফএ আড়াআড়ি ভাগ হয়ে গিয়েছিল । সেই বিতর্কে জড়িয়ে গিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য ও রঞ্জন ভট্টাচার্য । এবছর বাংলার কোচ হওয়ার জন্য দু'জনের কেউ আবেদন করেননি ।
আরও পড়ুন : জাতীয় গেমসে সোনা জয়ী বাংলা দলকে সংবর্ধনা আইএফএ-এর