ETV Bharat / sports

Milkha Singh : আজও মিলখার "মছলি খাব" ডাক কানে বাজে মনোরঞ্জনের

author img

By

Published : Jun 20, 2021, 4:44 AM IST

1964সালের টোকিও অলিম্পিকের পরেই সার্ভিসেসের হয়ে ন্যাশনাল গেমসে অংশ নিতে এসেছিলেন মিলখা সিং । 1954-র এশিয়ান গেমসে 200 মিটারে এবং 400 মিটারে সোনা জেতার পরে 1962 সালের জাকার্তা এশিয়াডে 200মিটারে সোনা জিতেছিলেন তিনি । 1960 সালে রোম অলিম্পিকে ইতিহাস সৃষ্টি করে চতুর্থ হয়েছিলেন । স্বাভাবিকভাবেই মিলখা সিং শুধু ফ্লাইং শিখ নয় এই উপমহাদেশের দৌড়ের রূপকথার নায়ক ।

MILKHA
MILKHA

কলকাতা, 20 জুন : উড়ন্ত শিখের দৌড় থেমে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকের ছায়া দেশজুড়ে । সর্বস্তরের মানুষ শোকজ্ঞাপন করেছেন । বাংলার প্রবীণ অ্যাথলিট মনোরঞ্জন পোড়েলের চোখেও রয়েছে মিলখা স্মৃতি । সাহাগঞ্জ থেকে বাংলার প্রবীণ অ্যাথলিট বলছেন সেই সময়ের মহাতারকা অ্যাথলিটকে একঝলক দেখতে সেদিন রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে তিনিও ভিড় করেছিলেন ।

1964সালের টোকিও অলিম্পিকের পরেই সার্ভিসেসের হয়ে ন্যাশনাল গেমসে অংশ নিতে এসেছিলেন মিলখা সিং । 1954-র এশিয়ান গেমসে 200 মিটারে এবং 400 মিটারে সোনা জেতার পরে 1962 সালের জাকার্তা এশিয়াডে 200মিটারে সোনা জিতেছিলেন তিনি । 1960 সালে রোম অলিম্পিকে ইতিহাস সৃষ্টি করে চতুর্থ হয়েছিলেন । স্বাভাবিকভাবেই মিলখা সিং শুধু ফ্লাইং শিখ নয় এই উপমহাদেশের দৌড়ের রূপকথার নায়ক ।

1964 সালে কলকাতায় সার্ভিসেসের হয়ে ন্যাশনাল গেমসে নেমে সোনা জিততে পারেননি মিলখা সিং । সেবার মাখন সিংয়ের কাছে হেরে রূপো পেয়েছিলেন । তবে অ্যাথলিট হওয়ার স্বপ্ন দেখা মনোরঞ্জন পোড়েলের মনে পাকাপাকিভাবে জায়গা করে নিয়েছিলেন মিলখা । "আমি তখন অ্যাথলিট হওয়ার স্বপ্ন দেখছি । রাজ্যস্তর থেকে জাতীয় স্তরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার লড়াই করছি । সেই সময় ওই জাতীয় গেমসে মিলখার প্রতিটি পদক্ষেপ অনুসরণ এবং অনুকরণ করার চেষ্টা করেছিলাম । সেদিক থেকে পরোক্ষভাবে মিলখা সিংকে আমার গুরু বলতে আপত্তি নেই ৷", বলেন মনোরঞ্জন পোড়েল ।

সেই শুরু । পরবর্তী সময়ে একাধিকবার মিলখা সিংয়ের সান্নিধ্যে এসেছিলেন মনোরঞ্জন পোড়েল । কিংবদন্তি অ্যাথলিটের পরামর্শ, স্নেহ পেয়েছেন । মিলখা সিংয়ের প্রয়াণের খবর পেয়ে স্বভাবতই ভারাক্রান্ত প্রবীণ অ্যাথলিট । সারাদিন ধরে অ্যালবামের পাতা উলটে মিলখা সিংয়ের সঙ্গে নিজের ছবি দেখছেন ।

তিনি আরও বলেন,"জানেন আমাকে মজা করে মছলি খাব বলে ডাকতেন । সাতের দশকে আমি জাতীয় স্তরে প্রতিষ্ঠা পেয়েছি । সেই খবর তার কাছে ছিল । পরের দিকে পোড়েল বলে ডাকতেন ৷ আটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে তদানীন্তন ক্রীড়ামন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী শান্তির জন্য দৌড়ের আয়োজন করেছিলেন । সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে সরকারি অতিথি হয়ে এসেছিলেন মিলখা সিং । পার্ক স্ট্রীট থেকে নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়াম পর্যন্ত দৌড় হয়েছিল । বহু মানুষকে দৌড়তে দেখে মিলখাজি আমাদের সঙ্গে দৌড়তে শুরু করেছিলেন । তিনি যে সরকারি অতিথি তা ভুলে গিয়েছিলেন । আমার পাশাপাশি দৌড়লেন । সত্যিই অনন্য অভিজ্ঞতা ।"

আরও পড়ুন : করোনায় মৃত্যু গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্করের

ভারতীয় দলের কোচ থাকাকালীন আরও কাছ থেকে কিংবদন্তি অ্যাথলিটকে দেখার, চেনার সুযোগ পেয়েছিলেন মনোরঞ্জন পোড়েল । "পাতিয়ালায় ভারতীয় দলের শিবিরে চলে আসতেন । নিজের জীবনের গল্প বলে উদ্বুদ্ধ করতেন । পরবর্তী সময়ে দেশে বিদেশে ওনার সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়েছি । বিদেশে দেখেছি মিলখা সিংকে কতটা শ্রদ্ধা করে ওরা ৷" ঝাপসা চোখে কিংবদন্তির স্মৃতিচারণায় মগ্ন মনোরঞ্জন পোড়েল ।

কলকাতা, 20 জুন : উড়ন্ত শিখের দৌড় থেমে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকের ছায়া দেশজুড়ে । সর্বস্তরের মানুষ শোকজ্ঞাপন করেছেন । বাংলার প্রবীণ অ্যাথলিট মনোরঞ্জন পোড়েলের চোখেও রয়েছে মিলখা স্মৃতি । সাহাগঞ্জ থেকে বাংলার প্রবীণ অ্যাথলিট বলছেন সেই সময়ের মহাতারকা অ্যাথলিটকে একঝলক দেখতে সেদিন রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে তিনিও ভিড় করেছিলেন ।

1964সালের টোকিও অলিম্পিকের পরেই সার্ভিসেসের হয়ে ন্যাশনাল গেমসে অংশ নিতে এসেছিলেন মিলখা সিং । 1954-র এশিয়ান গেমসে 200 মিটারে এবং 400 মিটারে সোনা জেতার পরে 1962 সালের জাকার্তা এশিয়াডে 200মিটারে সোনা জিতেছিলেন তিনি । 1960 সালে রোম অলিম্পিকে ইতিহাস সৃষ্টি করে চতুর্থ হয়েছিলেন । স্বাভাবিকভাবেই মিলখা সিং শুধু ফ্লাইং শিখ নয় এই উপমহাদেশের দৌড়ের রূপকথার নায়ক ।

1964 সালে কলকাতায় সার্ভিসেসের হয়ে ন্যাশনাল গেমসে নেমে সোনা জিততে পারেননি মিলখা সিং । সেবার মাখন সিংয়ের কাছে হেরে রূপো পেয়েছিলেন । তবে অ্যাথলিট হওয়ার স্বপ্ন দেখা মনোরঞ্জন পোড়েলের মনে পাকাপাকিভাবে জায়গা করে নিয়েছিলেন মিলখা । "আমি তখন অ্যাথলিট হওয়ার স্বপ্ন দেখছি । রাজ্যস্তর থেকে জাতীয় স্তরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার লড়াই করছি । সেই সময় ওই জাতীয় গেমসে মিলখার প্রতিটি পদক্ষেপ অনুসরণ এবং অনুকরণ করার চেষ্টা করেছিলাম । সেদিক থেকে পরোক্ষভাবে মিলখা সিংকে আমার গুরু বলতে আপত্তি নেই ৷", বলেন মনোরঞ্জন পোড়েল ।

সেই শুরু । পরবর্তী সময়ে একাধিকবার মিলখা সিংয়ের সান্নিধ্যে এসেছিলেন মনোরঞ্জন পোড়েল । কিংবদন্তি অ্যাথলিটের পরামর্শ, স্নেহ পেয়েছেন । মিলখা সিংয়ের প্রয়াণের খবর পেয়ে স্বভাবতই ভারাক্রান্ত প্রবীণ অ্যাথলিট । সারাদিন ধরে অ্যালবামের পাতা উলটে মিলখা সিংয়ের সঙ্গে নিজের ছবি দেখছেন ।

তিনি আরও বলেন,"জানেন আমাকে মজা করে মছলি খাব বলে ডাকতেন । সাতের দশকে আমি জাতীয় স্তরে প্রতিষ্ঠা পেয়েছি । সেই খবর তার কাছে ছিল । পরের দিকে পোড়েল বলে ডাকতেন ৷ আটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে তদানীন্তন ক্রীড়ামন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী শান্তির জন্য দৌড়ের আয়োজন করেছিলেন । সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে সরকারি অতিথি হয়ে এসেছিলেন মিলখা সিং । পার্ক স্ট্রীট থেকে নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়াম পর্যন্ত দৌড় হয়েছিল । বহু মানুষকে দৌড়তে দেখে মিলখাজি আমাদের সঙ্গে দৌড়তে শুরু করেছিলেন । তিনি যে সরকারি অতিথি তা ভুলে গিয়েছিলেন । আমার পাশাপাশি দৌড়লেন । সত্যিই অনন্য অভিজ্ঞতা ।"

আরও পড়ুন : করোনায় মৃত্যু গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্করের

ভারতীয় দলের কোচ থাকাকালীন আরও কাছ থেকে কিংবদন্তি অ্যাথলিটকে দেখার, চেনার সুযোগ পেয়েছিলেন মনোরঞ্জন পোড়েল । "পাতিয়ালায় ভারতীয় দলের শিবিরে চলে আসতেন । নিজের জীবনের গল্প বলে উদ্বুদ্ধ করতেন । পরবর্তী সময়ে দেশে বিদেশে ওনার সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়েছি । বিদেশে দেখেছি মিলখা সিংকে কতটা শ্রদ্ধা করে ওরা ৷" ঝাপসা চোখে কিংবদন্তির স্মৃতিচারণায় মগ্ন মনোরঞ্জন পোড়েল ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.