কলকাতা, 18 মার্চ: কোরোনা আতঙ্কে বিশ্বজুড়ে খেলাধুলা বন্ধ । দেশেও একই ছবি । সামান্য দেরিতে হলেও কলকাতা ময়দানে খেলা বন্ধ হয়েছে । আর খেলা বন্ধের জেরে মাথায় হাত ময়দানের ক্যান্টিনগুলোর । ক্লাবগুলোর ক্রীড়াবিদদের খাবার সরবরাহ হয় এই ক্যান্টিনগুলো থেকে । কিন্তু ময়দানে খেলা বন্ধ হওয়ায় ব্যবসা লাটে উঠেছে । আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে । চিন্তায় মাথায় হাত ক্যান্টিক মালিকদের ।
মোহনবাগান ক্যান্টিনের মালিক পলাশ মুখোপাধ্যায় জানান, কোরোনা আতঙ্কের জেরে বুধবার থেকে বন্ধ করে দেওয়া হল ক্যান্টিন । ময়দানের সেন্ট্রাল এক্সারসাইজ এবং তার উলটো দিকে তালতলা ক্লাবের ক্যান্টিন আপাতত খোলা থাকলেও দ্রুত তারাও একই পথে হাটতে চলেছে । মোহনবাগান ছাড়াও ময়দানে সিটি ক্লাব এবং কবাডি টেন্টের ক্যান্টিন চালান পলাশ মুখোপাধ্যায় । ক্রিকেট মরশুম, হকি মরশুম চলছে । ফলে বিভিন্ন ক্লাবের ক্রিকেটারদের লাঞ্চ, হকি খেলোয়াড়দের খাবার, ফুটবল কোচিং ক্যাম্পের টিফিনের জোগান দেয় ময়দানের এই ক্যান্টিনগুলিই । কিন্তু কোরোনা আতঙ্কের জেরে ইতিমধ্যে ক্যান্টিনগুলি বন্ধের নোটিস ঝোলানো হয়েছে । এই অবস্থায় আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ক্যান্টিন মালিকরা ।
পলাশবাবু বলেন,"ক্লাবের প্র্যাকটিস বন্ধ, লোক আসা যাওয়া বন্ধ, সবই বন্ধ । আর্থিক ক্ষতি প্রচুর হবে । যবে থেকে এটা আরম্ভ হয়েছে তবে থেকেই ক্লাবে লোকজন আসা কমে গেছে । আমাদের বিক্রিও অনেক কমে গেছে । তাও যাই হোক চলছিল । কিন্তু কাল শুনলাম কলকাতায় কোরোনা সংক্রমণ পজেটিভ রোগীর খোঁজ মিলেছে । সঙ্গে সঙ্গেই আজ ক্লাব নির্দেশ দিয়েছে ক্যান্টিন বন্ধ করে দেওয়ার । আমরা বন্ধ করে দিচ্ছি । "