বেঙ্গালুরু, 1 জুলাই: দিনকয়েক আগেই ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের ফাইনালে তাদের 2-0 গোলে হারিয়ে খেতাব জিতেছিলেন সুনীলরা ৷ অথচ দু'সপ্তাহেরও কম ব্যবধানে ভিন্ন প্রতিযোগিতায় একই প্রতিপক্ষকে হারাতে নাজেহাল অবস্থা ভারতীয় দলের ৷ তবে শেষমেশ জিতল ভারত ৷ সৌজন্যে দুর্গের শেষ প্রহরী গুরপ্রীত সিং সান্ধুর দস্তানা ৷ নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত সময়েও ম্যাচে ডেডলক খোলেনি ৷ শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে 4-2 গোলে লেবাননকে হারিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় সেরার লড়াইয়ে শেষ ধাপে পৌঁছল 'মেন ইন ব্লু' ৷
ফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ কুয়েত। এদিন প্রথম সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে 1-0 গোলে হারিয়ে আগেই ফাইনালের টিকিট কেটে রেখেছিল তারা। ফলত চলতি প্রতিযোগিতায় ভারত বনাম কুয়েতের দ্বিতীয় দ্বৈরথেই সাফ খেতাবের রং নির্ধারিত হবে। গ্রুপ স্টেজে এই দুই প্রতিপক্ষের লড়াই শেষ হয়েছিল 1-1 গোলে। এদিন সেমিফাইনালে পেনাল্টি শুট-আউটে ভারতের হয়ে জালে বল জড়ান সুনীল ছেত্রী, আনোয়ার আলি, উদান্তা সিং এবং নাওরেম মহেশ সিং। অন্যদিকে লেবানন আর ট্রফির মাঝে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ান গুরপ্রীত সিং সান্ধু।
ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে লেবাননকে হারালেও সাফে কষ্টার্জিত জয় নিয়ে বলতে গেলে ভারতীয় ফুটবলারদের সুযোগ নষ্টকেই দায়ী করা যায়। অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী একাধিক সুযোগ নষ্ট করেন। যা চোখে না-দেখলে বিশ্বাস করা শক্ত। লাল কার্ড দেখায় কোচ ইগর স্টিমাচ যেমন ডাগ-আউটে ছিলেন না, তেমনই জোড়া হলুদ কার্ড দেখে ভারতীয় রক্ষণে ছিলেন না সন্দেশ ঝিঙ্গান। তবে সদ্য এফসি গোয়ায় যোগ দেওয়া ডিফেন্ডারের অভাব পুষিয়ে দিল ভারতীয় রক্ষণ ৷ প্রথমার্ধে দুই দলই গোল করতে ব্যর্থ। বিরতির পর পায়ে বল রেখে ভারত একাধিকবার গোলমুখে পৌঁছে গেলেও ডেডলক খুলতে ব্যর্থ ৷
আরও পড়ুন: এশিয়া সেরা ভারত, জাতীয় কবাডি দলকে অভিনন্দন মোদি-শাহের
সে যাইহোক, সেমিতে জিতে আপাতত কুয়েত নিয়ে ভাবনা শুরু করার পালা ভারতের ৷ ফাইনালেও কোচকে ডাগ-আউটে পাবে না তারা ৷ তবে সন্দেশ ফিরছেন ৷ তাই গ্রুপ পর্বে আনোয়ার আলির আত্মঘাতী গোল ভুলে দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হওয়াই লক্ষ্য সুনীলদের ৷