ETV Bharat / sports

Bengal Football Team: মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো মিষ্টির হাঁড়ি দিয়ে সোনার ছেলেদের বরণ করল আইএফএ - Bengal Footballer

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পাঠানো শুভেচ্ছা মাখা মিষ্টির হাঁড়ি হাতে তুলে দিয়ে সোনাজয়ী বাংলা দলকে বরণ করল আইএফএ। সঙ্গে ঢাকের বাদ্যিও শোনা গেল ৷ কিন্তু এই বাংলার সোনার ছেলেরা ফিরলেন ট্রেনে ৷ পদাধিকারীরা ফিরেছেন বিমানে ৷ যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে সমালোচনা (Bengal Football Controversy) ৷

Bengal Football Team
সোনার ছেলেদের বরণ আইএফএর
author img

By

Published : Oct 14, 2022, 10:48 PM IST

কলকাতা, 14 অক্টোবর: শুক্রবার বিকেলে কলকাতা স্টেশনে হঠাৎ করেই ঢাকের শব্দে চমকে গিয়েছিলেন ট্রেন ধরতে আসা অন্য যাত্রীরা। ঢাক বাজার কারণ জানতে পেরে তাঁরাও অভিনন্দনের হাত বাড়ালেন বাংলার ফুটবল দলের ফুটবলারদের (Bengal Footballer) দিকে। কাগজে নাম পড়েছেন নরহরি শ্রেষ্টাদের। তাঁদের হাতের সামনে পেয়ে অচেনা যাত্রীরাও আপ্লুত (IFA Welcomes Bengal Football Team)। আর বাংলার ফুটবলাররাও এইরকম অচেনা মানুষদের অভিনন্দন পেয়ে অভিভূত।

আমেদাবাদ থেকে দু'দিন ট্রেন যাত্রা করে শুক্রবার বিকেলে বাংলা দল যখন কলকাতায় পা রাখল তখন তাদের বরণ করতে উপস্থিত আইএফএ (IFA) সচিব অনির্বাণ দত্ত, কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য এবং রাজ্য ফুটবল সংস্থার অন্যান্য পদাধিকারীরা। ছিলেন ফুটবলারদের পরিবারের সদস্যরাও। ইতিমধ্যে ফুটবলারদের ট্রেনে আসার ব্যবস্থা করে কোচ এবং ফুটবলারদের বিমানে ফিরে আসা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে।

যার রেশ সুতারকিন স্ট্রিটের অন্দরমহলের একাংশেও রয়েছে। কিন্তু প্রকৃত সত্য না জেনেই সমালোচনার চেষ্টা হচ্ছে বলে একই সঙ্গে মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য তাঁর পরিবারের দুই সদস্যের গুরুতর অসুস্থতার খবর জেনেও ফিরে আসেননি। দলকে চ্যাম্পিয়ন করার পরে ফিরে আসার বিমান ধরেছিলেন। আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত-সহ বাকি কর্তারা আমেদাবাদ গিয়েছিলেন নিজের খরচে।

আরও পড়ুন: মিশন কেরালার আগে ফুটবলারদের 'পেপ টক' ফেরান্দোর

বিমানের টিকিট আগেই কেটে রেখেছিলেন তাঁরা। ফুটবলারদের যাতায়াতের বিষয়টি আর্থিক পৃষ্ঠপোষক নির্ভর ছিল। এক তরফের বিমান ভাড়া দেওয়ার কথা ছিল। এই অবস্থায় রেল না বিমান কোনও মাধ্যমে ফেরত নিয়ে আসা হবে তা ঠিক করার ভার ফুটবলারদের ওপর দেওয়া হয়েছিল। একইসঙ্গে প্রতিশ্রুতি ছিল বিমান ভাড়ার টাকা ফুটবলারদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে। এরপরেই ফুটবলারদের সিংহভাগ ট্রেনে ফিরে আসার ব্যাপারে মত দেন। সেইভাবেই ব্যবস্থা করা হয়।

সোনার ছেলেদের বরণ আইএফএর

শুক্রবার অবশ্য অবাঞ্ছিত বিষয় সরিয়ে বাংলা দলের কোচ এবং কর্তারা ফুটবলারদের বরণ করতেই বেশি আগ্রহী ছিলেন। কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বলছেন, "এই জয় সম্পূর্ণভাবেই ছেলেদের। ওরা পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝতে পেরে নিজেদের নিংড়ে দিয়েছেন। কোচ হিসেবে তাই কাজটা সহজ হয়ে গিয়েছিল। পুষ্পস্তবক এবং স্টেশন থেকে বাড়ি পৌঁছনোর জন্য সামান্য অর্থ তুলে দেওয়া ফুটবলারদের হাতে।"

আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডকে 74 রানে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের মেয়েরা

আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত জানিয়েছেন, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য তাঁরা দ্রুতই সংবর্ধনার ব্যবস্থা করা হবে। সেখানেই প্রতিশ্রুতিমতো টাকা এবং পুরষ্কার বাবদ অর্থ তুলে দেওয়া হবে। ফাইনালের সেরা নরহরি শ্রেষ্টা জানিয়েছেন বদলা নয় সোনা জয়ের স্বপ্নই তাঁদের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছিল। পাশাপাশি টুর্নামেন্ট জুড়ে ভালো খেলার ধারাবাহিকতা রাখাই একমাত্র লক্ষ্য ছিল জানিয়েছেন ফাইনালের নায়ক।

কলকাতা, 14 অক্টোবর: শুক্রবার বিকেলে কলকাতা স্টেশনে হঠাৎ করেই ঢাকের শব্দে চমকে গিয়েছিলেন ট্রেন ধরতে আসা অন্য যাত্রীরা। ঢাক বাজার কারণ জানতে পেরে তাঁরাও অভিনন্দনের হাত বাড়ালেন বাংলার ফুটবল দলের ফুটবলারদের (Bengal Footballer) দিকে। কাগজে নাম পড়েছেন নরহরি শ্রেষ্টাদের। তাঁদের হাতের সামনে পেয়ে অচেনা যাত্রীরাও আপ্লুত (IFA Welcomes Bengal Football Team)। আর বাংলার ফুটবলাররাও এইরকম অচেনা মানুষদের অভিনন্দন পেয়ে অভিভূত।

আমেদাবাদ থেকে দু'দিন ট্রেন যাত্রা করে শুক্রবার বিকেলে বাংলা দল যখন কলকাতায় পা রাখল তখন তাদের বরণ করতে উপস্থিত আইএফএ (IFA) সচিব অনির্বাণ দত্ত, কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য এবং রাজ্য ফুটবল সংস্থার অন্যান্য পদাধিকারীরা। ছিলেন ফুটবলারদের পরিবারের সদস্যরাও। ইতিমধ্যে ফুটবলারদের ট্রেনে আসার ব্যবস্থা করে কোচ এবং ফুটবলারদের বিমানে ফিরে আসা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে।

যার রেশ সুতারকিন স্ট্রিটের অন্দরমহলের একাংশেও রয়েছে। কিন্তু প্রকৃত সত্য না জেনেই সমালোচনার চেষ্টা হচ্ছে বলে একই সঙ্গে মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য তাঁর পরিবারের দুই সদস্যের গুরুতর অসুস্থতার খবর জেনেও ফিরে আসেননি। দলকে চ্যাম্পিয়ন করার পরে ফিরে আসার বিমান ধরেছিলেন। আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত-সহ বাকি কর্তারা আমেদাবাদ গিয়েছিলেন নিজের খরচে।

আরও পড়ুন: মিশন কেরালার আগে ফুটবলারদের 'পেপ টক' ফেরান্দোর

বিমানের টিকিট আগেই কেটে রেখেছিলেন তাঁরা। ফুটবলারদের যাতায়াতের বিষয়টি আর্থিক পৃষ্ঠপোষক নির্ভর ছিল। এক তরফের বিমান ভাড়া দেওয়ার কথা ছিল। এই অবস্থায় রেল না বিমান কোনও মাধ্যমে ফেরত নিয়ে আসা হবে তা ঠিক করার ভার ফুটবলারদের ওপর দেওয়া হয়েছিল। একইসঙ্গে প্রতিশ্রুতি ছিল বিমান ভাড়ার টাকা ফুটবলারদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে। এরপরেই ফুটবলারদের সিংহভাগ ট্রেনে ফিরে আসার ব্যাপারে মত দেন। সেইভাবেই ব্যবস্থা করা হয়।

সোনার ছেলেদের বরণ আইএফএর

শুক্রবার অবশ্য অবাঞ্ছিত বিষয় সরিয়ে বাংলা দলের কোচ এবং কর্তারা ফুটবলারদের বরণ করতেই বেশি আগ্রহী ছিলেন। কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বলছেন, "এই জয় সম্পূর্ণভাবেই ছেলেদের। ওরা পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝতে পেরে নিজেদের নিংড়ে দিয়েছেন। কোচ হিসেবে তাই কাজটা সহজ হয়ে গিয়েছিল। পুষ্পস্তবক এবং স্টেশন থেকে বাড়ি পৌঁছনোর জন্য সামান্য অর্থ তুলে দেওয়া ফুটবলারদের হাতে।"

আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডকে 74 রানে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের মেয়েরা

আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত জানিয়েছেন, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য তাঁরা দ্রুতই সংবর্ধনার ব্যবস্থা করা হবে। সেখানেই প্রতিশ্রুতিমতো টাকা এবং পুরষ্কার বাবদ অর্থ তুলে দেওয়া হবে। ফাইনালের সেরা নরহরি শ্রেষ্টা জানিয়েছেন বদলা নয় সোনা জয়ের স্বপ্নই তাঁদের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছিল। পাশাপাশি টুর্নামেন্ট জুড়ে ভালো খেলার ধারাবাহিকতা রাখাই একমাত্র লক্ষ্য ছিল জানিয়েছেন ফাইনালের নায়ক।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.