লিসবন, 16 ডিসেম্বর: ফিফা বিশ্বকাপের (FIFA World Cup 2022) কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছিল পর্তুগাল ৷ আর তার 5 দিন পর জাতীয় দলের কোচের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ফার্নান্দো স্যান্টোস (Portugal Coach Fernando Santos Quits) ৷ 8 বছর পর্তুগাল জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি ৷ তবে, পর্তুগিজ সকার ফেডারেশনের সঙ্গে আরও 2 বছরের চুক্তি বাকি ছিল স্যান্টোসের ৷ কিন্তু, সেই চুক্তি শেষ হওয়ার আগেই কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কোর বিরুদ্ধে হারের দায় নিয়ে সরে দাঁড়ালেন 68 বছরের ফার্নান্দো ৷
তবে, ফার্নান্দো স্যান্টোসের কোনও বদলি এখনও ঘোষণা করেনি পর্তুগাল ৷ ফেডারেশনের তরফে জানানো হয়েছে, তারা স্যান্টোসের পরিবর্তের খোঁজ শুরু করেছে ৷ পর্তুগালের 2016 ইউরো কাপ জয়ে বড় ভূমিকা ছিল ফার্নান্দো স্যান্টোসের ৷ যা পর্তুগাল জাতীয় দলের প্রথম কোনও আন্তর্জাতিক ট্রফি জয় ছিল ৷ পাশাপাশি, 2019 সালে শুরু হওয়া উয়েফা নেশনস লিগে প্রথম ট্রফিও পর্তুগাল জেতে ফার্নান্দো স্যান্টোসের কোচিংয়ে ৷
তবে, 2022 কাতার বিশ্বকাপে মরক্কোর বিরুদ্ধে 1-0 গোল হারের পর স্যান্টোসের কোচিং সমালোচনার মুখে পড়ে ৷ প্রি-কোয়ার্টারে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo)-কে প্রথম একাদশে রাখেননি তিনি ৷ সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে পর্তুগাল 6-1 গোলে জেতে ৷ কোয়ার্টার ফাইনালেও সেই একই ছকে দল নামান ফার্নান্দো স্যান্টোস ৷ কিন্তু, তাঁর সেই সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়ে দাঁড়ায় ৷ প্রথম হাফেই 1-0 গোল পিছিয়ে পড়ে পর্তুগাল ৷ যার পর দ্বিতীয় হাফের শুরুতেই রোনাল্ডোকে মাঠে নামান তিনি ৷ কিন্তু, পর্তুগাল গোল শোধ করতে ব্যর্থ হয় ৷ এর পরেই ফার্নান্দো স্যান্টোসের ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে শুরু থেকে না-খেলানোর সিদ্ধান্তের সমালোচনা শুরু হয় ৷ লুই ফিগোর মতো প্রাক্তন তারকারা কোচের সিদ্ধান্তকেই পর্তুগালের হারের জন্য দায়ী করেন ৷
আরও পড়ুন: কঠিন প্রতিপক্ষ মেসির আর্জেন্তিনা, প্রতিপক্ষকে সমীহ লরিসের
এবার সেই দায় মাথায় নিয়েই চুক্তি শেষের আগেই পর্তুগাল জাতীয় দলের কোচের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন স্যান্টোস ৷ প্রসঙ্গত, রোনাল্ডোকে গ্রুপের শেষ ম্যাচেও 70 মিনিটের পর তুলে নিয়েছিলেন স্যান্টোস ৷ যে সিদ্ধান্তে মাঠের মধ্যেই রোনাল্ডো অসন্তোষ প্রকাশ করেন ৷ পরবর্তী সময়ে রোনাল্ডোর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে নানান কথা শুরু হয় ৷ তবে, ফার্নান্দো স্যান্টোস সেই সব গুজব বলে উড়িয়ে দেন ৷ কিন্তু, রোনাল্ডোর তরফে এনিয়ে কোনও মন্তব্য আসেনি ৷ কোয়ার্টার হারের পর ফার্নান্দোর ইস্তফা আরও বেশ কিছু প্রশ্ন তুলে দিয়ে গেল ৷