কলকাতা, 9 ডিসেম্বর: পাঁচ গোলে জয়ের রেশ ঘরের মাঠে ধরে রাখতে পারল না ইস্টবেঙ্গল । পঞ্জাব এফসি-র বিরুদ্ধে হার না হলেও পুরো 90 মিনিটে গোলের মুখ খুলতে ব্যর্থ লাল-হলুদ ৷ গোল শূন্য ড্র-ই তাই স্বান্ত্বনা ইস্টবেঙ্গল এফসির । এই ড্র-এর জেরে লাল হলুদের প্রথম ছয়ে ঢুকে পড়ার আশাও থমকে গেল । পঞ্জাবের প্রতি আক্রমণ নির্ভর ফুটবলের সামনে ক্লেইটন সিলভারা ব্যর্থ । পরিসংখ্যান বলছে পঞ্জাব এফসির গোলরক্ষকের হাতে বল গিয়েছে মাত্র একবার ।
কার্লেস কুয়াদ্রাত আগেই জানিয়েছিলেন, সাতদিনের ব্যবধানে পরপর দু'টো জয় তুলে নেওয়া কঠিন । সেই কাজটা আরও কঠিন হল পঞ্জাব এফসির নিয়ন্ত্রিত রক্ষণাত্মক ফুটবলের কড়া নজরদারিতে । ম্যাচের সেরা সুরেশ । পঞ্জাব এফসির ডিফেন্ডার দলের রক্ষণকে মজবুত করার কাজে পুরো সময় নেতৃত্ব দেন । এই ড্র-এ অক্সিজেন পেল পঞ্জাব । আইএসএলে প্রথমবার পরপর দু'টো ম্যাচ জয়ের সুযোগ হাতছাড়া ইস্টবেঙ্গল এফসির ৷ যদিও চেন্নাইয়িন এফসিকে টপকে 9 পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরে উঠে এল তারা ।
প্রতিপক্ষের আল্ট্রাডিফেন্সিভ ফুটবলের সামনে প্রথমার্ধে জড়সড় ইস্টবেঙ্গল এফসি । উইং নির্ভর আক্রমণে পঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে শুরুটা আশা জাগিয়ে করেছিলেন ক্লেইটন সিলভা, মহেশ নওরেম সিং এবং বোরহা হেরেরা । কিন্তু সময় যত এগিয়েছে পঞ্জাব এফসি ততই তাদের পাতা ফাঁদে ইস্টবেঙ্গলকে পা দিতে বাধ্য করেছে । ফলে বলের দখল, কর্নার সংখ্যায় প্রতিপক্ষকে পিছনে ফেললেও লাল-হলুদ গোলের মুখ খুলতে ব্যর্থ ।
বরং দ্রুতলয়ের প্রতি আক্রমণে ইস্টবেঙ্গলকে অস্বস্তিতে ফেলেছে পঞ্জাব এফসি । অন্তত দু'বার গোলের মুখ প্রায় খুলেই ফেলেছিল তারা । ইস্টবেঙ্গল প্রাক্তনী জুয়ান মেরার শট পোস্টের কোনায় লেগে বাইরে যায় । আরেকবার প্রোভসুখন গিলের হাত বিপদ হতে দেয়নি । জুয়ান মেরা একাধিকবার ব্যক্তিগত স্কিলে লাল-হলুদ রক্ষণকে অস্বস্তিতে ফেলেন । পঞ্জাব এফসির মাঝমাঠে আশিস মিতেই এবং অভিষেক লাল-হলুদ আক্রমণকে বারবার নিষ্প্রভ করেছে ।
অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গল মাঝমাঠে শৌভিক চক্রবর্তী দাপট দেখালেও বোরহা এবং ক্রেসপো জ্বলে উঠতে ব্যর্থ । পঞ্জাব এফসি মূলত প্রতিআক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেললেও তার সঙ্গে ফিজিক্যাল ফুটবল মিশিয়ে ছিল । ফলে প্রথমার্ধে বারবার ইস্টবেঙ্গলকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে । ছন্দ হারিয়েছে দল । নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে যে প্রাণশক্তি দেখা গিয়েছিল তা শনিবার সন্ধ্যায় লাল-হলুদের ফুটবলে দেখা যায়নি । বিশেষ করে মাঝমাঠে বোরহা হেরেরার নিষ্প্রভ ফুটবল অনেকটাই দায়ী । দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম পনেরো মিনিটের পরেই বোরহাকে তুলে নেন কুয়াদ্রাত । বদলে নামানো হয় পার্দোকে । মহম্মদ রাকিপ এবং পিভি বিষ্ণু আসেন নিশুকুমার ও নন্দকুমারের বদলে । ক্রেসপোর বদলে মাঠে আসেন সিভেরিও । চার পরিবর্তনে প্রতিপক্ষকে ভাঙার কৌশল নিয়েছিলেন কুয়াদ্রাত । কিন্তু প্রতিপক্ষের সাহসী ফুটবলের সামনে কোনও কাজে এল সেই কৌশল ৷
আরও পড়ুন: