কলকাতা, 31 জুলাই: ইস্টার্ন রেলের পরে উয়াড়ি ক্লাব । টানা দুই ম্যাচে পাঁচ গোলে জয় । দেরিতে হলেও ইস্টবেঙ্গল ছন্দে ফিরছে । চার জয় দুই ড্র’য়ে বিনো জর্জের ছেলেরা আশা জাগাচ্ছেন । 3 অগস্ট পরবর্তী ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের প্রতিপক্ষ টানা ম্যাচে জয় পাওয়া ভবানীপুর ক্লাব । পরপর বড় ব্যবধানে জয় পেয়ে কোচ বিনো জর্জ দল নিয়ে আশাবাদী । পাঁচ গোলের জয়ে অভিষেক কুঞ্জমের জোড়া গোল । বাকি তিনটি দীপ সাহা, তন্ময় দাস, আমন সি কের । ম্যাচের সেরা গুণরাজ সিং গ্রেওয়াল ।
শ্রাবণে বৃষ্টি না-হলে ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয় । সেখানে 90 মিনিট ম্যাচ খেলা সত্যিই প্রাণান্তকর । বাড়তি হিসেবে মাঠ খারাপ হলে সমস্যা বৃদ্ধি পায় । দেরিতে মাঠ তৈরি হয়েছে । ফলে এখন আন্ডার প্রিপেয়ার্ড । বালি দিয়ে অবস্থা সামাল দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে । কিন্তু গরমে সেই মাঠ ফুটবলারদের ভালো খেলার অন্তরায় হয়ে ওঠে । দু'দলের অন্তত পাঁচজন ফুটবলার চোট পেলেন । ইস্টবেঙ্গলের অতুল কৃষ্ণন এবং গ্রেওয়াল চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লেন ।
ওপার বাংলার প্রকৃত শিকড় যদি কলকাতা ময়দানে কোনও ক্লাবের থাকে সেটা উয়াড়ি ক্লাবের । মেয়ো রোডের ধারে শতবর্ষ পার করা ফুটবল ক্লাব অতীতে জায়ান্ট কিলার হলেও বর্তমানে তালপুকুর । শেষ কবে প্রিমিয়ার ডিভিশনে খেলেছিল তা বলতে গিয়ে পরিসংখ্যানবিদরাও মাথা চুলকালেন । ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে প্রথম দিকে শুরুটা ভালো করলেও উয়াড়ি খেলা যত গড়িয়েছে ততই আত্মসমর্পণ করেছে । 25 মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয় উয়াড়ি । লাল্লসমাঙ্গার শট আদিত্য পাত্রর পা দিয়ে দুরন্ত সেভ করে । এই ব্যর্থতার রেশ উয়াড়ি বাকি সময় শুধু কাটাতে পারেনি বরং অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে ।
আরও পড়ুন : সংযুক্তি সময়ে গোল, বিতর্ক গায়ে মেখে জয়ে ফিরল মহামেডান
প্রথমার্ধ গোল শূন্য । দ্বিতীয়ার্ধে পাঁচ গোল ইস্টবেঙ্গলের । 51 মিনিটে আমন সিকের পাস থেকে দীপ সাহার গোল দিয়ে লাল-হলুদ গোলের লক গেট খোলে । 69 মিনিটে তন্ময় দাস দ্বিতীয় গোল । পাঁচ গোলের বাকি তিনটি গোল এল অতিরিক্ত সময়ে । 91 মিনিটে অভিষেক কুঞ্জমের দূর পাল্লার শটে দুরন্ত গোল ম্যাচের সেরা । তিন মিনিট পরে চতুর্থ গোল জেসন টিকের । 95 মিনিটে পাঁচ নম্বর গোল ফের অভিষেকের পা থেকে । সুনীল ছেত্রীর ভক্ত অভিষেক বলছেন, জোড়া গোল করে ভালো লাগলেও গোল নষ্টের আক্ষেপ রয়েছে । পাঁচ গোল করলেও ইস্টবেঙ্গলের নিশ্চিত সুযোগ নষ্টের সংখ্যাও পাঁচ । দুটো পোস্ট এবং একটি বল বাড়ে লেগে প্রতিহত হয়েছে ।
প্রেসবক্সে বসে ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ দেখলেন ভবানীপুর ক্লাবের কোচ রঞ্জন চৌধুরী । প্রতিপক্ষ নিয়ে হোমওয়ার্ক সারলেন তিনি । বিনো জর্জ বলছেন, তাঁর দল চোট এবং অসুস্থতা কাটিয়ে উঠছে । সোমবার যে দু'জন চোট পেয়েছেন তাঁদের অবস্থা গুরুতর নয় । সব মিলিয়ে পাঁচ গোলে পরপর দুই ম্যাচে জয় । ইস্টবেঙ্গল লিগ দৌড়ে থাকার বার্তা দিচ্ছে । এদিন ম্যাচের সেরার হাতে পুরস্কার তুলে দিলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন ফুটবলার আসলাম । তিনি 1991 সালে ইস্টবেঙ্গলের লিগ জয়ী দলের সদস্য।