ETV Bharat / sports

CFL 2023: কলকাতা লিগে ফিরেই ম্যাচের সেরা শৌভিক, দ্বিতীয় জয় ইস্টবেঙ্গলের - শৌভিক চক্রবর্তী

ইস্টবেঙ্গলের এই দলের সমস্যা অনভিজ্ঞতা এবং বোঝাপড়ার অভাব । যদিও নৈহাটিতে যথেষ্ট গুছনো ফুটবল খেলল লাল-হলুদ ৷ তুহিন দাস এবং শ্যামল বেসরার গোলে চলতি কলকাতা লিগে দ্বিতীয় জয় পেল ইস্টবেঙ্গল ।

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By

Published : Jul 20, 2023, 9:16 PM IST

কোচ বিনো জর্জের সঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলন শৌভিকের

নৈহাটি, 20 জুলাই: প্রায় ন'বছর পরে কলকাতা লিগে খেলতে নেমেছিলেন শৌভিক চক্রবর্তী । ইস্টবেঙ্গলের সিনিয়র দলের ফুটবলার কলকাতা লিগে খেলতে নেমে ম্যাচের সেরার পুরস্কার ছিনিয়ে নিলেন । হায়দরাবাদ এফসি থেকে গত মরসুমে ইস্টবেঙ্গলে খেলতে এলেও প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ ময়দানের বহু যুদ্ধের সৈনিক। চোট-আঘাত-অসুস্থতায় শৌভিককে চেনা ছন্দে পাওয়া যায়নি । এই বছর শৌভিককে কার্লোস কুয়াদ্রাত কীভাবে ব্যবহার করবেন, তা জানতে সময় বলবে। তবে বিনো জর্জের দলের মাঝমাঠের দায়িত্ব নিয়ে শৌভিক বোঝালেন তিনি তৈরি। খিদিরপুরকে 2-0 গোলে হারিয়ে চলতি কলকাতা লিগে দ্বিতীয় জয় পেল ইস্টবেঙ্গল । তুহিন দাস এবং শ্যামল বেসরার গোলে টানা দ্বিতীয় জয় লাল-হলুদের।

বিনো জর্জ ডাগ-আউটে বসলেও দলের নিয়ন্ত্রক কার্লোস কুয়াদ্রাত। স্পেন থেকে নির্দেশ দেন হোয়াটসঅ্যাপে কিংবা ফোনে । সেইমতো দল সাজান এবং বদল করেন বিনো জর্জ । চোটের জন্য রিজার্ভ দলের কয়েকজন ফুটবলারকে পাওয়া যাবে না । অথচ দলের প্রয়োজনে কয়েকজন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ফুটবলার দরকার । এই অবস্থায় বিনো জর্জের অনুরোধে সম্মতি কুয়াদ্রাতের । শৌভিক চক্রবর্তী, গুরসিমরত গিল এবং তুহিন দাসকে রেখে খিদিরপুরের বিরুদ্ধে একাদশ সাজিয়েছিলেন বিনো জর্জ । তিন সংযুক্তিতে দলের বোঝাপড়া বেড়েছিল । মাঝমাঠে শৌভিককে পাশে পেয়ে দীপ সাহা ঝলমলে । রক্ষণে গুরসিমরত গিল থাকায় শুভেন্দু মাণ্ডি অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী ।

বিনো জর্জের দলের সমস্যা অনভিজ্ঞতা এবং বোঝাপড়ার অভাব । দু'টোই দূর হয় একসঙ্গে খেলার মধ্যে দিয়ে । কিশোরভারতী স্টেডিয়ামে যে লাল-হলুদ ফুটবলারদের হতশ্রী মনে হয়েছিল নৈহাটিতে তারাই অনেক বেশি গোছানো । ম্যাচ পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনে বিনো বলছেন, দলকে গোছাতে সময় দরকার । ফুটবলাররা বড় ক্লাব এবং জার্সির চাপ নিয়ে ধীরে ধীরে মানিয়ে নিচ্ছে বলেই পারফরম্যান্সের উন্নতি হচ্ছে ।

বিরতির আগে 33 মিনিটে ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে যায় তুহিন দাসের গোলে । মাঝমাঠ থেকে দল ধরে সোলো রানে খিদিরপুর ডিফেন্স টপকে জোরালো শটে গোল তুহিনের। খিদিরপুর গোলরক্ষক প্রিয়ন্ত সিং বোঝার আগেই বল জালে চলে গিয়েছিল । প্রিয়ন্তের দাবি, একমাস পরে কার্যত প্র্যাকটিস না-করেই অনুশীলনে নেমেছিলেন । এই অবস্থায় গোটা তিনেক নিশ্চিত গোল রুখলেন । প্রথম গোলের আগে অন্তত গোটা চারেক সুযোগ নষ্ট করে ইস্টবেঙ্গল ।

আরও পড়ুন: শ্যাম থাপার স্মৃতি ফেরালেন কল্যাণীর সৈকত, বিস্ময় গোলের ঘোর কাটছে না ময়দানে !

গোলের সামনে অযথা তাড়াহুড়ো এবং মাথা ঠান্ডা রাখতে না-পারার জন্যই সাফল্য আসেনি। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বিরুদ্ধে সেরার পুরস্কার পাওয়া অভিষেক কুঞ্জম বৃহস্পতিবার সপ্রতিভ । প্রতিপক্ষ রক্ষণকে চাপে রাখার কাজটা দারুণভাবে করছিলেন । দ্বিতীয়ার্ধে পায়ে ব্যথা অনুভব করায় বিনো জর্জ তাঁকে তুলে নেন । ফলস্বরূপ পরবর্তী পঁয়তাল্লিশ মিনিট ইস্টবেঙ্গল নখদন্তহীন । এই অবস্থায় খেলার রাশ ধীরে ধীরে তুলে নিতে থাকে খিদিরপুর । এই সময় পরিবর্ত ফুটবলার হিসেবে নামেন তীর্থঙ্কর সরকার । বাঁ-পায়ের ফুটবলারটির মাপা সেন্টার, কর্নার এবং ডিফেন্স চেরা পাস সামলাতে লাল-হলুদ রক্ষণ অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিল । আক্রমণভাগে অভিষেকের বদলে নিয়াস নামলেও কাজের কাজটি করতে ব্যর্থ । ফলে খিদিরপুর রক্ষণ চাপহীন ভাবে খেলতে থাকে । এই অবস্থায় আরও একটি গোলই ইস্টবেঙ্গলকে ম্যাচে ফেরাতে পারত । সেটাই এল আরেক পরিবর্ত শ্যামল বেশরার গোলে ।

24 জুলাই ইস্টবেঙ্গল নিজেদের মাঠে খেলবে । প্রতিপক্ষ বিএসএস । টানা জয়ে প্রত্যাশা বাড়ছে । রিজার্ভ দল হলেও সমর্থকরা গ্যালারিতে গলা ফাটাচ্ছেন । জয় অভ্যাস করতে পারলে সমর্থন-ভালোবাসা-উচ্ছাস বাড়বে । নতুন ফুটবলাররা কীভাবে তা সামলান সেটাই দেখার ৷

কোচ বিনো জর্জের সঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলন শৌভিকের

নৈহাটি, 20 জুলাই: প্রায় ন'বছর পরে কলকাতা লিগে খেলতে নেমেছিলেন শৌভিক চক্রবর্তী । ইস্টবেঙ্গলের সিনিয়র দলের ফুটবলার কলকাতা লিগে খেলতে নেমে ম্যাচের সেরার পুরস্কার ছিনিয়ে নিলেন । হায়দরাবাদ এফসি থেকে গত মরসুমে ইস্টবেঙ্গলে খেলতে এলেও প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ ময়দানের বহু যুদ্ধের সৈনিক। চোট-আঘাত-অসুস্থতায় শৌভিককে চেনা ছন্দে পাওয়া যায়নি । এই বছর শৌভিককে কার্লোস কুয়াদ্রাত কীভাবে ব্যবহার করবেন, তা জানতে সময় বলবে। তবে বিনো জর্জের দলের মাঝমাঠের দায়িত্ব নিয়ে শৌভিক বোঝালেন তিনি তৈরি। খিদিরপুরকে 2-0 গোলে হারিয়ে চলতি কলকাতা লিগে দ্বিতীয় জয় পেল ইস্টবেঙ্গল । তুহিন দাস এবং শ্যামল বেসরার গোলে টানা দ্বিতীয় জয় লাল-হলুদের।

বিনো জর্জ ডাগ-আউটে বসলেও দলের নিয়ন্ত্রক কার্লোস কুয়াদ্রাত। স্পেন থেকে নির্দেশ দেন হোয়াটসঅ্যাপে কিংবা ফোনে । সেইমতো দল সাজান এবং বদল করেন বিনো জর্জ । চোটের জন্য রিজার্ভ দলের কয়েকজন ফুটবলারকে পাওয়া যাবে না । অথচ দলের প্রয়োজনে কয়েকজন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ফুটবলার দরকার । এই অবস্থায় বিনো জর্জের অনুরোধে সম্মতি কুয়াদ্রাতের । শৌভিক চক্রবর্তী, গুরসিমরত গিল এবং তুহিন দাসকে রেখে খিদিরপুরের বিরুদ্ধে একাদশ সাজিয়েছিলেন বিনো জর্জ । তিন সংযুক্তিতে দলের বোঝাপড়া বেড়েছিল । মাঝমাঠে শৌভিককে পাশে পেয়ে দীপ সাহা ঝলমলে । রক্ষণে গুরসিমরত গিল থাকায় শুভেন্দু মাণ্ডি অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী ।

বিনো জর্জের দলের সমস্যা অনভিজ্ঞতা এবং বোঝাপড়ার অভাব । দু'টোই দূর হয় একসঙ্গে খেলার মধ্যে দিয়ে । কিশোরভারতী স্টেডিয়ামে যে লাল-হলুদ ফুটবলারদের হতশ্রী মনে হয়েছিল নৈহাটিতে তারাই অনেক বেশি গোছানো । ম্যাচ পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনে বিনো বলছেন, দলকে গোছাতে সময় দরকার । ফুটবলাররা বড় ক্লাব এবং জার্সির চাপ নিয়ে ধীরে ধীরে মানিয়ে নিচ্ছে বলেই পারফরম্যান্সের উন্নতি হচ্ছে ।

বিরতির আগে 33 মিনিটে ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে যায় তুহিন দাসের গোলে । মাঝমাঠ থেকে দল ধরে সোলো রানে খিদিরপুর ডিফেন্স টপকে জোরালো শটে গোল তুহিনের। খিদিরপুর গোলরক্ষক প্রিয়ন্ত সিং বোঝার আগেই বল জালে চলে গিয়েছিল । প্রিয়ন্তের দাবি, একমাস পরে কার্যত প্র্যাকটিস না-করেই অনুশীলনে নেমেছিলেন । এই অবস্থায় গোটা তিনেক নিশ্চিত গোল রুখলেন । প্রথম গোলের আগে অন্তত গোটা চারেক সুযোগ নষ্ট করে ইস্টবেঙ্গল ।

আরও পড়ুন: শ্যাম থাপার স্মৃতি ফেরালেন কল্যাণীর সৈকত, বিস্ময় গোলের ঘোর কাটছে না ময়দানে !

গোলের সামনে অযথা তাড়াহুড়ো এবং মাথা ঠান্ডা রাখতে না-পারার জন্যই সাফল্য আসেনি। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বিরুদ্ধে সেরার পুরস্কার পাওয়া অভিষেক কুঞ্জম বৃহস্পতিবার সপ্রতিভ । প্রতিপক্ষ রক্ষণকে চাপে রাখার কাজটা দারুণভাবে করছিলেন । দ্বিতীয়ার্ধে পায়ে ব্যথা অনুভব করায় বিনো জর্জ তাঁকে তুলে নেন । ফলস্বরূপ পরবর্তী পঁয়তাল্লিশ মিনিট ইস্টবেঙ্গল নখদন্তহীন । এই অবস্থায় খেলার রাশ ধীরে ধীরে তুলে নিতে থাকে খিদিরপুর । এই সময় পরিবর্ত ফুটবলার হিসেবে নামেন তীর্থঙ্কর সরকার । বাঁ-পায়ের ফুটবলারটির মাপা সেন্টার, কর্নার এবং ডিফেন্স চেরা পাস সামলাতে লাল-হলুদ রক্ষণ অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিল । আক্রমণভাগে অভিষেকের বদলে নিয়াস নামলেও কাজের কাজটি করতে ব্যর্থ । ফলে খিদিরপুর রক্ষণ চাপহীন ভাবে খেলতে থাকে । এই অবস্থায় আরও একটি গোলই ইস্টবেঙ্গলকে ম্যাচে ফেরাতে পারত । সেটাই এল আরেক পরিবর্ত শ্যামল বেশরার গোলে ।

24 জুলাই ইস্টবেঙ্গল নিজেদের মাঠে খেলবে । প্রতিপক্ষ বিএসএস । টানা জয়ে প্রত্যাশা বাড়ছে । রিজার্ভ দল হলেও সমর্থকরা গ্যালারিতে গলা ফাটাচ্ছেন । জয় অভ্যাস করতে পারলে সমর্থন-ভালোবাসা-উচ্ছাস বাড়বে । নতুন ফুটবলাররা কীভাবে তা সামলান সেটাই দেখার ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.