কলকাতা, 22 অগস্ট: কাস্টমসের কড়া পাহারা এড়িয়ে কলকাতা লিগের সুপার সিক্সে ইস্টবেঙ্গল। মঙ্গলবার ঘরের মাঠে বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের ছেলেদের একমাত্র গোলে হারাল বিনো জর্জের ছেলেরা। ম্যাচের নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে জয়সূচক গোলটি করেন মহিতোষ রায়। এই জয়ের ফলে 11 ম্যাচ থেকে 27 পয়েন্ট তুলে নিয়ে লিগ শীর্ষে জায়গা মজবুত করল লাল-হলুদ। সেই সঙ্গে চলতি কলকাতা লিগে প্রথম দল হিসেবে সুপার সিক্স নিশ্চিত কর ইস্টবেঙ্গলের জুনিয়র ব্যাচ।
ম্যাচ শেষ টানা চতুর্থ জয়ের তৃপ্তি ইস্টবেঙ্গল কোচ বিনো জর্জের গলায়। চোট-অসুস্থতা লাল-হলুদ ব্রিগেডকে ঘিরে ধরেছে। তাই বাকিদের ভুল-ত্রুটি আড়াল করে লড়াইয়ের প্রশংসা তাঁর মুখে। কিন্তু প্রতিপক্ষকে শেষ কুড়ি মিনিট দশজনে পেয়েও ফায়দা তুলতে ব্যর্থ লাল-হলুদ ফুটবলাররা। নিশ্চিত ড্র ধরে নিয়ে দর্শকরা রেফারি এবং লাইন্সম্যানের ওপর ক্ষোভ দেখালেন, জলের বোতলও ছুঁড়লেন। কাস্টমসের বিশ্বজিৎ হেমব্রম লাল কার্ড দেখে বাইরে গিয়েছিলেন ম্যাচের সত্তর মিনিটে। বাকি কুড়ি মিনিটে একজন কম নিয়ে খেলেও বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের ছেলেরা পিছু হটেনি। ম্যাচের একেবারে শেষদিকে সার্থক গোলুই একটি বল গোললাইন সেভ না-করলে ম্যাচের ফল অন্য হতে পারত ৷
আরও পড়ুন: বাগানের সামনে মুম্বই, লাল-হলুদ খেলবে গোকুলামের বিরুদ্ধে; ডুরান্ডের শেষ আটের সূচি প্রকাশ
ম্যাচের আট মিনিটে তুহিন দাসের ফ্রিকিক কাস্টমস গোলরক্ষক দুরন্ত ক্ষিপ্রতায় বাঁচান। এরপর নিয়মিত ব্যবধানে একাধিক আক্রমণ শানালেও কাস্টমসের কড়া চেকিংয়ে আটকে যাচ্ছিলেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। মাঝমাঠে গুরনাজ গ্রেওয়াল, সঞ্জীব ঘোষ, তন্ময় দাস, আমন সিকে'রা সেভাবে খেলা তৈরি করতে পারেননি এদিন। বিশেষ করে গ্রেওয়াল এবং আমন সিকে যতক্ষণ মাঠে ছিলেন ততক্ষণ প্রতিপক্ষকে অস্বস্তিতে ফেলতে পারেননি। ফলত মাঝমাঠের বিবর্ণ ফুটবলে নিষ্প্রভ ছিল ইস্টবেঙ্গলও। বিরতির পর বিনো জর্জ চারটি পরিবর্তন এনে খেলার রং বদলের চেষ্টা করলেও লাভ কিছু হয়নি। 87 মিনিটে কার্যত একক দক্ষতায় মহিতোষের গোল ছাড়া ইস্টবেঙ্গল সেভাবে সুযোগ তৈরিতে ব্যর্থ। সেদিক থেকে বলতে গেলে ইস্টবেঙ্গলের কষ্টার্জিত জয় এককথায় পুরো ম্যাচের ওয়ান লাইনার।