কলকাতা, 5 সেপ্টেম্বর : রবিবাসরীয় সকালে ঢাকুরিয়া স্টেশন পল্লির মাঠে কলকাতা শহরের আফগানদের সঙ্গে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছিল ৷ আয়োজক ঢাকুরিয়ার তরুণ মহল ৷ বাইশ গজে ক্রিকেটীয় উত্তাপে 2000 কিলোমিটার দূরের অস্থির আফগান ভুখণ্ডের উদ্দেশ্যে মৈত্রীর বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে ৷ ভারত আফগানিস্তানের মৈত্রীর বন্ধন সুদৃঢ় করতে এই ক্রিকেট ম্যাচ ঘিরে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মত ৷
আজ এই প্রীতি ম্যাচ শুরু আগে দুই দেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় ৷ তার পর দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া এবং পায়রা ওড়ানো হয় ৷ যা একদিকে শান্তির বার্তা, অপরদিকে মানব বন্ধনের মধ্যে দিয়ে দুই দেশের ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় করে তোলার চেষ্টা । অল পাকতুল জিকর-ই-হিন্দ-এর সভাপতি ইয়াসমিন নিগার খান উপস্থিত ছিলেন আজকের এই প্রীতি ম্যাচে । আর্ন্তজাতিক সৌভ্রাতৃত্বের মধ্যে দিয়ে হানাহানির বিরুদ্ধে শান্তির বার্তা দেওয়াই ছিল এই অভিনব উদ্যোগের উদ্দেশ্য ৷
তালিবান অভ্যুত্থানে সীমান্ত গান্ধির দেশ আজ অশান্ত । অথচ এই দেশটির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বহু পুরনো ৷ কলকাতা শহরে আফগানদের আনাগোনা ও বসবাস কবে শুরু হয়েছিল তা হলপ করে বলা যায় ৷ তিলোত্তমা আফগানদের হাতেই শুকনো ফল, মশলার স্বাদ পেয়েছিল ৷ আফগানরা আবার কর্জদার হিসেবেও এই শহরে পরিচিত ৷ একসময় আফগান স্নো ছিল প্রসাদনের আবিশ্যিক অঙ্গ ৷ আফগান পরোটা এবং মাংসের পদ বাঙালির জিভে নতুন স্বাদের ছোঁয়া নিয়ে এসেছিল ৷
আর পড়ুন : Afghanistan Cricket : তালিবান রাজে প্রথম বিদেশ সফরে বাংলাদেশে আফগান ক্রিকেট দল
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখায় মিনি এবং কাবুলিওয়ালার আত্মীয়তা কাঁটাতারের সীমা না মেনে হয়ে ওঠে বাবা এবং মেয়ের স্নেহের উপাখ্যান ৷ তাই শহরের আফগানরা তাঁদের মুলুকের কালোদিনে যাতে নিজেদের অসহায় মনে না করেন, সেই জন্য সম্প্রীতির এই ক্রিকেটের আয়োজন ৷ বন্ধুত্বের কসম খেয়ে কঠিন সময়ে জীবনের ক্রিজে টিকে থাকাই এখন একমাত্র লক্ষ্য ৷ তাই রবিবাসরীয় সকালের ক্রিকেটে সহমর্মিতা প্রকাশিত হল ৷