ETV Bharat / sports

ছকভাঙা ঘোড়দৌড়ে নারীত্বের "আরতি" - International Women's day

আরতি ডক্টর দেশের একমাত্র মহিলা হর্স ট্রেনার । বয়স পঞ্চাশোর্ধ্ব । ছোটোবেলা থেকেই জকি হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন । কিন্তু বয়স বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় । শেষ পর্যন্ত সমস্ত বাধা অতিক্রম করে ঘোড়ার ট্রেনার হিসাবে পরিচিতি পান । তবে , তাঁর একটাই আক্ষেপ, নতুনরা কেউ এগিয়ে এই কাজে আসছে না ।

Arti doctor
আরতি ডক্টর
author img

By

Published : Mar 7, 2020, 11:55 PM IST

কলকাতা , 7 মার্চ : ঘরকন্যায় জীবনটা সাদামাটাভাবে কাটিয়ে দিতে পারতেন কিংবা গ্রাফিক্স ডিজ়াইনার হিসেবে নামজাদা অফিসের বড় এগজ়িকিউটিভ হওয়ার সম্ভাবনাও ছিল । কিন্তু, চেনা ছকের বাইরের জীবনই তাঁর ভালোবাসা । তাই বড় চাকরি , নিশ্চিন্ত জীবন ছেড়ে কর্মক্ষেত্র হিসেবে ঘোড়ার আস্তাবলকে বেছে নিয়েছিলেন । গত তিরিশ বছর ধরে ঘোড়দৌড়ের ঘোড়াদের উপযুক্ত ট্রেনিং দিয়ে তৈরি করাতেই আনন্দ পান এই মহিলা । আরতি ডক্টর, দেশের একমাত্র মহিলা হর্স ট্রেনার ।

"ঘোড়া গেলে মদ আর মদ গেলে ঘোড়া ।" ঘোড়দৌড় এবং তার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের এভাবেই সরলীকরণ করে আমজনতা । আসলে ঘোড়দৌড় একটা খেলা, তা এখনও আধুনিক সমাজ ভাবতে পারে না । তাই ঘোড়দৌড় আজও আমজনতার অধিকাংশের কাছে গুরুত্বহীন । এই প্রেক্ষাপটে একজন মহিলার কর্মক্ষেত্র রেসকোর্স হতে পারে , তা সত্যিই চমকপ্রদ । সামাজিক প্রতিকূলতা ,পুরুষশাসিত রেসকোর্স এবং প্রথাগত প্রশিক্ষণের অভাব সত্ত্বেও আরতি ডক্টর ঘোড়ার রেসে জীবনের আলো খুঁজে পেয়েছিলেন । মুম্বই-এর ডক্টর পরিবারে ঘোড়দৌড় বিষয়টি অচ্ছুত নয় । তাই বাবা-দাদাদের আগ্রহেই ঘোড়ার প্রতি ভালোলাগা এবং ভালোবাসা গড়ে উঠেছিল আরতির মধ্যে । যা থেকে তিনি আর বেরোতে পারেননি । স্বপ্ন দেখতেন জকি হওয়ার । কিন্তু, তা হওয়ার জন্য বয়সের সময়সীমা রয়েছে তা জানা ছিল না । তাই ঠিক করেছিলেন, কলেজের পাঠ চুকিয়ে ঘোড়দৌড়ে জকি হিসেবে নাম লেখাবেন । সেইমতো, আহমেদাবাদের ন্যাশনাল স্কুল অব গ্রাফিক্স ডিজ়াইন থেকে পাঠ শেষ করেন । তারপর বছর দু'য়েক গ্রাফিক্স ডিজ়াইনের কাজ করলেও শেষ পর্যন্ত জকি হওয়ার স্বপ্নপূরণে দৌড়েছিলেন । কিন্তু, অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল তাঁর বয়স । "তখন জানতাম না জকি হতে হলে ট্রেনিংটা পনেরো বছর বয়স থেকে শুরু করতে হয় । যখন পাশ করে বেরিয়ে গেলাম , তখন আমার বয়স 22 । তবে হাল ছাড়িনি । জকি না হলেও ঘোড়াদের ট্রেনার হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম", হাসতে হাসতে বলছেন আরতি ডক্টর ।

ছোটোবেলায় ঘোড়ার প্রতি মেয়ের ভালোবাসাকে পিঠ চাপড়ানি দিলেও ট্রেনার হওয়ার এই ইচ্ছেতে মত ছিল না আরতি ডক্টরের বাবার । কারণ, ঘোড়দৌড়ের নেশার ভালো-খারাপ, সিনিয়র ডক্টরের জানা ছিল । পাশাপাশি, ঘোড়দৌড়ের দুনিয়ায় পুরুষ শাসনের ছবিটা চেনা ছিল । তাই নিজের মেয়ে কীভাবে পুরোটা সামলাবে তা নিয়ে চিন্তা তো ছিলই । "শেষপর্যন্ত আমার জেদ-ভালোবাসার কাছে বাবা মত বদলেছিলেন," স্মৃতির সরণিতে হাঁটলেন আরতি ডক্টর । পরিবারের অনুমতি তো মিলল । কিন্তু শিখবেন কোথায় ? কারণ জকি হওয়ার স্কুল থাকলেও ঘোড়ার ট্রেনার হওয়ার স্কুল নেই । হাতে-কলমে পুরো বিষয়টি জানতে হবে ।এবং সেক্ষেত্রে সিনিয়রের কাছে যাওয়াই একমাত্র পথ । কাঁচাপাকা চুলে হাত চালাতে চালাতে আরতি ডক্টর বললেন," 1983 সালে আমি মুম্বইয়ের রেসকোর্সে উত্তম সিংয়ের অধীনে কাজ শুরু করেছিলাম । সেটাই ছিল দস্তুর । সাড়ে চার বছর কাজ করার পর 1988 সালে ট্রেনার লাইসেন্স পেয়েছিলাম ।" ব্যস, সেই শুরু । তারপর টানা মুম্বইয়ে ঘোড়াদের ট্রেনিং করানোর কাজ । সেখান থেকে 2009 সালে কলকাতায় চলে আসা । রেসকোর্সের আস্তাবলে সকাল এবং বিকেলে গেলে দেখবেন একজন পঞ্চাশোর্ধ্ব মহিলা ঘোড়াদের নির্দেশ দিচ্ছেন । এবং তিনি যে আরতি ডক্টর তা বলে দিতে হবে না ।

হর্স ট্রেনারের কাজের ধরনটা কীরকম ? পনি থেকে হর্স হয়ে ওঠার মাঝের সময়টা যাবতীয় শিক্ষা দেওয়া হর্স ট্রেনারের কাজ । যাবতীয় শিক্ষা মানে - রেসকোর্সে পেশাদার ভাবে দৌড়ানোর পাঠ । এবং তা আরতি ডক্টরের নির্দেশে আরও চার থেকে পাঁচজন করে থাকেন । যা কলকাতা রেসকোর্সের একমাত্র মহিলা ট্রেনারের কথায়, "It's a collective effort।" 2020 সালে মেয়েদের সামনে জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনেক রাস্তা । কর্মক্ষেত্রেও তাঁরা অধীনস্থ হওয়ার বদলে নির্দেশকের ভূমিকায় । আরতি ডক্টররা যখন জীবন শুরু করেছিলেন , তখন ছবিটা মোটেই এরকম ছিল না । বরং পর্দার মধ্যে রাখাতেই পরিবারের আব্রু বজায় থাকবে মনে করা হত । সেখান থেকে রেসকোর্সে ঘোড়াদের ট্রেনার হওয়ার ইচ্ছে, চোখ কপালে তুলেছিল অনেকের । বন্ধুরা আরতি ডক্টরের এই ইচ্ছেয় পাগলামির ছোঁয়া দেখেছিলেন । তবে "থোড়া হটকে" ভাবনা ধারায় তারিফও ছিল । তিরিশ বছরের বেশি সময় ঘোড়াদের সঙ্গে বাস । ওদের পালনে জীবনের মানে খুঁজে পান তিনি । কলকাতা রেসকোর্সের সামনের দিকটা যতটা ঝকঝকে, পিছনটা ততটাই বিবর্ণ । কাদা, নোংরা আবর্জনার মধ্যে দু'বেলা ঘোড়াদের তৈরি করার কাজে অক্লান্ত আরতি ডক্টর । 20টি ঘোড়াকে ট্রেনিং দেন তিনি । সকালে তাদের প্র্যাকটিস করানোর পর খাদ্য তালিকা তৈরি করা, মালিশ করা , বিশ্রামের রুটিন খতিয়ে দেখে ফিরে যান । বিকেলে ফের রেসকোর্সে এসে তত্ত্বাবধান করা । "কাজের মধ্যে প্যাশন জড়িয়ে থাকলে আপনি মানে খুঁজে পাবেন । একটা আটকে পড়া বা আনন্দ না পাওয়ার ব্যাপার থাকবে না," অক্লান্ত আরতি ডক্টর এভাবেই তাঁর প্যাশনের ব্যাখ্যা দেন । কিন্তু তার পর? এখানেই থমকে যান আরতি ডক্টর । নতুনদের না আসার আক্ষেপ তাঁর রয়েছে । তবে মেয়েদের সামনে জীবনের নানান পথ উন্মোচনে আশায় বুক বাঁধেন ।

আরব দুনিয়ায় নারী বিষয়ক সম্মেলনে আজও ব্রাত্য নারীরা । তুলনায় ভারতের ছবিটা সম্পূর্ণ আলাদা । রাজনীতি থেকে খেলার মাঠ নারীরা কাঁপাচ্ছেন । দেশ, সমাজ এগোচ্ছে । আশার আলো জোরাল হচ্ছে । ইচ্ছে ডানায় ভর দিয়ে ভিন্ন ধারার জীবিকায় মেয়েরা জীবন খুঁজে পাচ্ছেন । আরতি ডক্টর তাঁদের সামনে এমনই এক লাইট-হাউজ় । তাই তাঁর জীবন জীবিকা ছকভাঙা ঘোড়দৌড়ে নারীত্বের "আরতি"।

কলকাতা , 7 মার্চ : ঘরকন্যায় জীবনটা সাদামাটাভাবে কাটিয়ে দিতে পারতেন কিংবা গ্রাফিক্স ডিজ়াইনার হিসেবে নামজাদা অফিসের বড় এগজ়িকিউটিভ হওয়ার সম্ভাবনাও ছিল । কিন্তু, চেনা ছকের বাইরের জীবনই তাঁর ভালোবাসা । তাই বড় চাকরি , নিশ্চিন্ত জীবন ছেড়ে কর্মক্ষেত্র হিসেবে ঘোড়ার আস্তাবলকে বেছে নিয়েছিলেন । গত তিরিশ বছর ধরে ঘোড়দৌড়ের ঘোড়াদের উপযুক্ত ট্রেনিং দিয়ে তৈরি করাতেই আনন্দ পান এই মহিলা । আরতি ডক্টর, দেশের একমাত্র মহিলা হর্স ট্রেনার ।

"ঘোড়া গেলে মদ আর মদ গেলে ঘোড়া ।" ঘোড়দৌড় এবং তার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের এভাবেই সরলীকরণ করে আমজনতা । আসলে ঘোড়দৌড় একটা খেলা, তা এখনও আধুনিক সমাজ ভাবতে পারে না । তাই ঘোড়দৌড় আজও আমজনতার অধিকাংশের কাছে গুরুত্বহীন । এই প্রেক্ষাপটে একজন মহিলার কর্মক্ষেত্র রেসকোর্স হতে পারে , তা সত্যিই চমকপ্রদ । সামাজিক প্রতিকূলতা ,পুরুষশাসিত রেসকোর্স এবং প্রথাগত প্রশিক্ষণের অভাব সত্ত্বেও আরতি ডক্টর ঘোড়ার রেসে জীবনের আলো খুঁজে পেয়েছিলেন । মুম্বই-এর ডক্টর পরিবারে ঘোড়দৌড় বিষয়টি অচ্ছুত নয় । তাই বাবা-দাদাদের আগ্রহেই ঘোড়ার প্রতি ভালোলাগা এবং ভালোবাসা গড়ে উঠেছিল আরতির মধ্যে । যা থেকে তিনি আর বেরোতে পারেননি । স্বপ্ন দেখতেন জকি হওয়ার । কিন্তু, তা হওয়ার জন্য বয়সের সময়সীমা রয়েছে তা জানা ছিল না । তাই ঠিক করেছিলেন, কলেজের পাঠ চুকিয়ে ঘোড়দৌড়ে জকি হিসেবে নাম লেখাবেন । সেইমতো, আহমেদাবাদের ন্যাশনাল স্কুল অব গ্রাফিক্স ডিজ়াইন থেকে পাঠ শেষ করেন । তারপর বছর দু'য়েক গ্রাফিক্স ডিজ়াইনের কাজ করলেও শেষ পর্যন্ত জকি হওয়ার স্বপ্নপূরণে দৌড়েছিলেন । কিন্তু, অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল তাঁর বয়স । "তখন জানতাম না জকি হতে হলে ট্রেনিংটা পনেরো বছর বয়স থেকে শুরু করতে হয় । যখন পাশ করে বেরিয়ে গেলাম , তখন আমার বয়স 22 । তবে হাল ছাড়িনি । জকি না হলেও ঘোড়াদের ট্রেনার হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম", হাসতে হাসতে বলছেন আরতি ডক্টর ।

ছোটোবেলায় ঘোড়ার প্রতি মেয়ের ভালোবাসাকে পিঠ চাপড়ানি দিলেও ট্রেনার হওয়ার এই ইচ্ছেতে মত ছিল না আরতি ডক্টরের বাবার । কারণ, ঘোড়দৌড়ের নেশার ভালো-খারাপ, সিনিয়র ডক্টরের জানা ছিল । পাশাপাশি, ঘোড়দৌড়ের দুনিয়ায় পুরুষ শাসনের ছবিটা চেনা ছিল । তাই নিজের মেয়ে কীভাবে পুরোটা সামলাবে তা নিয়ে চিন্তা তো ছিলই । "শেষপর্যন্ত আমার জেদ-ভালোবাসার কাছে বাবা মত বদলেছিলেন," স্মৃতির সরণিতে হাঁটলেন আরতি ডক্টর । পরিবারের অনুমতি তো মিলল । কিন্তু শিখবেন কোথায় ? কারণ জকি হওয়ার স্কুল থাকলেও ঘোড়ার ট্রেনার হওয়ার স্কুল নেই । হাতে-কলমে পুরো বিষয়টি জানতে হবে ।এবং সেক্ষেত্রে সিনিয়রের কাছে যাওয়াই একমাত্র পথ । কাঁচাপাকা চুলে হাত চালাতে চালাতে আরতি ডক্টর বললেন," 1983 সালে আমি মুম্বইয়ের রেসকোর্সে উত্তম সিংয়ের অধীনে কাজ শুরু করেছিলাম । সেটাই ছিল দস্তুর । সাড়ে চার বছর কাজ করার পর 1988 সালে ট্রেনার লাইসেন্স পেয়েছিলাম ।" ব্যস, সেই শুরু । তারপর টানা মুম্বইয়ে ঘোড়াদের ট্রেনিং করানোর কাজ । সেখান থেকে 2009 সালে কলকাতায় চলে আসা । রেসকোর্সের আস্তাবলে সকাল এবং বিকেলে গেলে দেখবেন একজন পঞ্চাশোর্ধ্ব মহিলা ঘোড়াদের নির্দেশ দিচ্ছেন । এবং তিনি যে আরতি ডক্টর তা বলে দিতে হবে না ।

হর্স ট্রেনারের কাজের ধরনটা কীরকম ? পনি থেকে হর্স হয়ে ওঠার মাঝের সময়টা যাবতীয় শিক্ষা দেওয়া হর্স ট্রেনারের কাজ । যাবতীয় শিক্ষা মানে - রেসকোর্সে পেশাদার ভাবে দৌড়ানোর পাঠ । এবং তা আরতি ডক্টরের নির্দেশে আরও চার থেকে পাঁচজন করে থাকেন । যা কলকাতা রেসকোর্সের একমাত্র মহিলা ট্রেনারের কথায়, "It's a collective effort।" 2020 সালে মেয়েদের সামনে জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনেক রাস্তা । কর্মক্ষেত্রেও তাঁরা অধীনস্থ হওয়ার বদলে নির্দেশকের ভূমিকায় । আরতি ডক্টররা যখন জীবন শুরু করেছিলেন , তখন ছবিটা মোটেই এরকম ছিল না । বরং পর্দার মধ্যে রাখাতেই পরিবারের আব্রু বজায় থাকবে মনে করা হত । সেখান থেকে রেসকোর্সে ঘোড়াদের ট্রেনার হওয়ার ইচ্ছে, চোখ কপালে তুলেছিল অনেকের । বন্ধুরা আরতি ডক্টরের এই ইচ্ছেয় পাগলামির ছোঁয়া দেখেছিলেন । তবে "থোড়া হটকে" ভাবনা ধারায় তারিফও ছিল । তিরিশ বছরের বেশি সময় ঘোড়াদের সঙ্গে বাস । ওদের পালনে জীবনের মানে খুঁজে পান তিনি । কলকাতা রেসকোর্সের সামনের দিকটা যতটা ঝকঝকে, পিছনটা ততটাই বিবর্ণ । কাদা, নোংরা আবর্জনার মধ্যে দু'বেলা ঘোড়াদের তৈরি করার কাজে অক্লান্ত আরতি ডক্টর । 20টি ঘোড়াকে ট্রেনিং দেন তিনি । সকালে তাদের প্র্যাকটিস করানোর পর খাদ্য তালিকা তৈরি করা, মালিশ করা , বিশ্রামের রুটিন খতিয়ে দেখে ফিরে যান । বিকেলে ফের রেসকোর্সে এসে তত্ত্বাবধান করা । "কাজের মধ্যে প্যাশন জড়িয়ে থাকলে আপনি মানে খুঁজে পাবেন । একটা আটকে পড়া বা আনন্দ না পাওয়ার ব্যাপার থাকবে না," অক্লান্ত আরতি ডক্টর এভাবেই তাঁর প্যাশনের ব্যাখ্যা দেন । কিন্তু তার পর? এখানেই থমকে যান আরতি ডক্টর । নতুনদের না আসার আক্ষেপ তাঁর রয়েছে । তবে মেয়েদের সামনে জীবনের নানান পথ উন্মোচনে আশায় বুক বাঁধেন ।

আরব দুনিয়ায় নারী বিষয়ক সম্মেলনে আজও ব্রাত্য নারীরা । তুলনায় ভারতের ছবিটা সম্পূর্ণ আলাদা । রাজনীতি থেকে খেলার মাঠ নারীরা কাঁপাচ্ছেন । দেশ, সমাজ এগোচ্ছে । আশার আলো জোরাল হচ্ছে । ইচ্ছে ডানায় ভর দিয়ে ভিন্ন ধারার জীবিকায় মেয়েরা জীবন খুঁজে পাচ্ছেন । আরতি ডক্টর তাঁদের সামনে এমনই এক লাইট-হাউজ় । তাই তাঁর জীবন জীবিকা ছকভাঙা ঘোড়দৌড়ে নারীত্বের "আরতি"।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.