ETV Bharat / sports

অবশেষে আইএসএলে পয়েন্টের মুখ দেখল এসসি ইস্টবেঙ্গল

আইএসএলে পয়েন্ট টেবিলে খাতা খোলার জন্য পিলকিংটন, মাঘোমা, স্টেইনম্যান এবং স্কট নেভিলকে কৃতিত্ব দিতেই হবে । গোয়ার আদ্র আবহাওয়াতে গড়ে সাত মাইলের বেশি দৌড়লেন তাঁরা । তাঁদের নাছোড় মনোভাবের সামনে ভালকিস দিগভ্রষ্ট ।

এসসি ইস্টবেঙ্গল
এসসি ইস্টবেঙ্গল
author img

By

Published : Dec 10, 2020, 10:10 PM IST

পানাজি, 10 ডিসেম্বর : গোয়ার গরম, আদ্র আবহাওয়ায় একঘণ্টার বেশি সময় দশজনে খেলা শুধু কঠিনই নয়, কার্যত অসম্ভব । জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে সেই কঠিন কাজ করতে হল । একই সঙ্গে জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করে প্রথম পয়েন্ট পেল লাল হলুদ । একঘণ্টার বেশি সময় দশজনে প্রতিপক্ষকে আটকে রাখার জন্য ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণভাগকে কৃতিত্ব দিতেই হবে ।

আইএসএলে পয়েন্ট টেবিলে খাতা খোলার জন্য পিলকিংটন, মাঘোমা, স্টেইনম্যান এবং স্কট নেভিলকে কৃতিত্ব দিতেই হবে । গোয়ার আদ্র আবহাওয়াতে গড়ে সাত মাইলের বেশি দৌড়লেন তাঁরা । তাঁদের নাছোড় মনোভাবের সামনে ভালকিস দিগভ্রষ্ট । গত তিন ম্যাচের প্রথম একাদশ থেকে চারটে বদল করে জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে দল সাজিয়েছিলেন রবি ফাওলার । পয়েন্টের খোঁজে লাল হলুদ ব্রিগেড মরিয়া ছিল । ফলে ভুল ত্রুটি সারিয়ে ইস্টবেঙ্গল যখন খেলায় ফেরার চেষ্টা করছে তখন দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন লিংডো ।

19 মিনিটে প্রথম হলুদ কার্ড দেখানোর যথেষ্ট কারণ রয়েছে । কিন্তু 24 মিনিটে লঘু পাপে লিংডোকে কড়া দণ্ড দিলেন রেফারি রাহুল কুমার গুপ্তা । মনে করছেন প্রাক্তনীরা ৷ যে ফাউলের কারণে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড তাতে লিংডোর বুট প্রতিপক্ষের গায়ে স্পর্শ করেনি । ইস্টবেঙ্গল ফের নিম্নমানের রেফারিংয়ের শিকার ।

এটিকে-মোহনবাগানের বিরুদ্ধে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নেওয়ার পরে আত্মবিশ্বাসী ছিল জামশেদপুর এফসি । কোচ ওয়েন কোয়েলে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ভালকিসকে একটু পিছন থেকে খেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন । যাতে প্রতিপক্ষ রক্ষণভাগের কড়া নজরদারি এড়াতে পারেন । এক্ষেত্রে উইলিয়ামকে এগিয়ে দিয়েছিলেন জামশেদপুর এফসির কোচ । তাঁর এই কৌশল যে ভুল ছিল না তা প্রথমার্ধের তিনটে সুযোগের মধ্যে প্রমাণিত । তিন মিনিটে উইলিয়াম লাল হলুদ গোলরক্ষক শংকর রায়কে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন । এর পাশাপাশি ভালকিসের সাইডভলি অল্পের জন্য বাইরে যায় এবং স্টিফেনজির হেড বারে লেগে প্রতিহত হয় । তুলনায় ইস্টবেঙ্গলের গোলের সুযোগ বিরতির আগে কার্যত নেই ।

পিলকিংটন এবং মাঘোমা, স্টেইনম্যানের মরিয়া চেষ্টা বাস্তবায়ন হয়নি জেজের নিষ্প্রভ পারফরম্যান্সের কারণে । চোট সারিয়ে মাঠে ফেরার পর জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে প্রথমবার প্রথম থেকে শুরু করেছিলেন মিজো স্ট্রাইকার । কিন্তু তাঁকে পুরানো ছন্দে তো দূরে থাক, চিনতে হল জার্সির নম্বর দেখে । দ্বিতীয়ার্ধে রবি ফাওলার কৌশলে পরিবর্তন করেন । জেজের পরিবর্তে মাঝমাঠে ওয়াংবাম লুয়াংকে নিয়ে আসেন । মাঘোমাকে স্ট্রাইকার করে দেওয়া হয় । ফলস নাইন কৌশলে প্রতিআক্রমণে পয়েন্ট পেতে চেয়েছিলেন । অবস্থার বিচারে এটাই একমাত্র পথ ছিল । এই সময় চিন্তা বাড়িয়ে ছিল চোট পেয়ে গোলরক্ষক শংকর রায়ের বাইরে চলে যাওয়া । পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমে নির্ভরতা দিলেন দেবজিৎ মজুমদার ।

পানাজি, 10 ডিসেম্বর : গোয়ার গরম, আদ্র আবহাওয়ায় একঘণ্টার বেশি সময় দশজনে খেলা শুধু কঠিনই নয়, কার্যত অসম্ভব । জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে সেই কঠিন কাজ করতে হল । একই সঙ্গে জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করে প্রথম পয়েন্ট পেল লাল হলুদ । একঘণ্টার বেশি সময় দশজনে প্রতিপক্ষকে আটকে রাখার জন্য ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণভাগকে কৃতিত্ব দিতেই হবে ।

আইএসএলে পয়েন্ট টেবিলে খাতা খোলার জন্য পিলকিংটন, মাঘোমা, স্টেইনম্যান এবং স্কট নেভিলকে কৃতিত্ব দিতেই হবে । গোয়ার আদ্র আবহাওয়াতে গড়ে সাত মাইলের বেশি দৌড়লেন তাঁরা । তাঁদের নাছোড় মনোভাবের সামনে ভালকিস দিগভ্রষ্ট । গত তিন ম্যাচের প্রথম একাদশ থেকে চারটে বদল করে জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে দল সাজিয়েছিলেন রবি ফাওলার । পয়েন্টের খোঁজে লাল হলুদ ব্রিগেড মরিয়া ছিল । ফলে ভুল ত্রুটি সারিয়ে ইস্টবেঙ্গল যখন খেলায় ফেরার চেষ্টা করছে তখন দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন লিংডো ।

19 মিনিটে প্রথম হলুদ কার্ড দেখানোর যথেষ্ট কারণ রয়েছে । কিন্তু 24 মিনিটে লঘু পাপে লিংডোকে কড়া দণ্ড দিলেন রেফারি রাহুল কুমার গুপ্তা । মনে করছেন প্রাক্তনীরা ৷ যে ফাউলের কারণে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড তাতে লিংডোর বুট প্রতিপক্ষের গায়ে স্পর্শ করেনি । ইস্টবেঙ্গল ফের নিম্নমানের রেফারিংয়ের শিকার ।

এটিকে-মোহনবাগানের বিরুদ্ধে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নেওয়ার পরে আত্মবিশ্বাসী ছিল জামশেদপুর এফসি । কোচ ওয়েন কোয়েলে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ভালকিসকে একটু পিছন থেকে খেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন । যাতে প্রতিপক্ষ রক্ষণভাগের কড়া নজরদারি এড়াতে পারেন । এক্ষেত্রে উইলিয়ামকে এগিয়ে দিয়েছিলেন জামশেদপুর এফসির কোচ । তাঁর এই কৌশল যে ভুল ছিল না তা প্রথমার্ধের তিনটে সুযোগের মধ্যে প্রমাণিত । তিন মিনিটে উইলিয়াম লাল হলুদ গোলরক্ষক শংকর রায়কে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন । এর পাশাপাশি ভালকিসের সাইডভলি অল্পের জন্য বাইরে যায় এবং স্টিফেনজির হেড বারে লেগে প্রতিহত হয় । তুলনায় ইস্টবেঙ্গলের গোলের সুযোগ বিরতির আগে কার্যত নেই ।

পিলকিংটন এবং মাঘোমা, স্টেইনম্যানের মরিয়া চেষ্টা বাস্তবায়ন হয়নি জেজের নিষ্প্রভ পারফরম্যান্সের কারণে । চোট সারিয়ে মাঠে ফেরার পর জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে প্রথমবার প্রথম থেকে শুরু করেছিলেন মিজো স্ট্রাইকার । কিন্তু তাঁকে পুরানো ছন্দে তো দূরে থাক, চিনতে হল জার্সির নম্বর দেখে । দ্বিতীয়ার্ধে রবি ফাওলার কৌশলে পরিবর্তন করেন । জেজের পরিবর্তে মাঝমাঠে ওয়াংবাম লুয়াংকে নিয়ে আসেন । মাঘোমাকে স্ট্রাইকার করে দেওয়া হয় । ফলস নাইন কৌশলে প্রতিআক্রমণে পয়েন্ট পেতে চেয়েছিলেন । অবস্থার বিচারে এটাই একমাত্র পথ ছিল । এই সময় চিন্তা বাড়িয়ে ছিল চোট পেয়ে গোলরক্ষক শংকর রায়ের বাইরে চলে যাওয়া । পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমে নির্ভরতা দিলেন দেবজিৎ মজুমদার ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.