কলকাতা, 19 মে : কোস্টারিকার বিশ্বকাপার জনি অ্যাকোস্টার দেশে ফেরার ব্যাপারে দায়িত্ব নিচ্ছে ইস্টবেঙ্গলের বিনিয়োগকারী সংস্থা। তবে কাশিম আইদারা এবং দলের ফিজিও কার্লোস নোদারের প্রত্যাবর্তনের দায়িত্ব তাদের নয়। 31 মে ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে বিনিয়োগ কারী সংস্থার তরফে লাল হলুদ ফুটবলার এবং কোচ মারিও রিবেরাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মে মাসের মাইনে দেওয়া হবে না। তাই এপ্রিলেই চুক্তি ছেদ করা হচ্ছে। যা নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত। কোনও আলোচনা ছাড়া এই চুক্তি ছেদ আইন সিদ্ধ কি না তা নিয়ে অনেক শব্দ খরচ হয়েছে। ফুটবলার এবং বিনিয়োগকারীর মধ্যে চলছে চিঠি যুদ্ধ।
কোরোনার থাবায় ক্রীড়া দুনিয়া কার্যত স্তব্ধ । বিপুল ক্ষতির আশঙ্কা করে ইউরোপের ক্লাবগুলি ফুটবলারদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে মাইনে কমিয়েছে। ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ ফুটবলারদের সিংহভাগ তাঁদের দেশে ফিরে গিয়েছেন। কোলাডো ছাড়া তাঁদের বেশিরভাগ ফুটবলার বিনিয়োগকারী সংস্থার পাঠানো প্রস্তাবে সম্মত হয়ে স্বাক্ষর করে ফিরে গিয়েছেন। কোলাডোর যেহেতু দুই বছরের চুক্তি, তাই তিনি আইনি চিঠিতে এই সমস্যার হাল খুঁজছেন। স্প্যানিশ ফিজিও কার্লোস নোদার একমাসের মাইনে কাটার সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ। এবং তা আদায় করার পরেই দেশের বিমান ধরবেন বলে শোনা গিয়েছে। ফ্রান্সের ফুটবলার কাশিম আইদারা কেন স্প্যানিশ ফুটবলারদের সঙ্গে বিমান ধরেননি, তা বিনিয়োগকারী সংস্থাও জানে না। তবে কোস্টারিকার বিশ্বকাপার জনি অ্যাকোস্টার দেশে ফেরার ব্যাপারে তাঁরা সহানুভূতিশীল। কোস্টরিকার সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করা একটু সময় সাপেক্ষ। তাই চলতি মাসে চুক্তি শেষ হলেও জনি অ্যাকোস্টার ভারতে থাকার ব্যবস্থা বিনিয়োগকারী সংস্থা করবে। তবে ভারতে থাকা বিদেশিদের তাঁদের দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য যে বন্দে ভারত প্রকল্প নেওয়া হয়েছে তাতে অ্যাকোস্টার ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ইস্টবেঙ্গলের বিদেশিদের ফিরে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক থাকলেও মোহনবাগানে সেই সমস্যা নেই। তুর্সোনোভ,পাপা বাবাদিওয়াড়া এবং ড্যানিয়েল সাইরাস এখনও ফিরতে পারেননি। দলের স্প্যানিশ ব্রিগেড ইতিমধ্যে ফিরে গিয়েছে। মোহনবাগানের তরফে বলা হয়েছে, যতদিন এই তিন ফুটবলারের ফিরে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত না হচ্ছে ততদিন খরচ বহন করা হবে।