কলকাতা, 10 মার্চ : ছেলে হুগো খেলার আগে বাবাকে অনুরোধ করেছিল, মজাদার ভঙ্গিতে গোলের আনন্দ উদযাপন করবে । আটত্রিশ মিনিটে রয় কৃষ্ণের পাস থেকে দুরন্ত গোল করার পরে ডেভিড উইলিয়ামসের মজাদার সেলিব্রেশন ছিল ছেলে হুগোকে খুশি করতে । ফাইনালে ফের গোল করে ছেলের জন্য আরও মজাদার গোল উৎসব করার ভাবনা রয়েছে সবুজ-মেরুনের নম্বর নাইনের মাথায় ।
পরপর দু'বার ফাইনালে । গত বছর চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল এটিকে । চলতি মরসুমে নতুন গাটছড়া বেধে এটিকে মোহনবাগান নাম নিয়ে খেলতে নেমেও ট্রফি জয়ের দৌড়ে শেষধাপে সবুজ-মেরুন । বুধবার ফুটবলারদের ছুটি দিয়েছিলেন কোচ আন্তেনিও লোপেজ হাবাস । জিম করা ছাড়া ফুটবলাররা হালকা মেজাজে সময় কাটালেন । শনিবার প্রতিপক্ষ মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে ট্রফি জয়ের ম্যাচ । লিগ পর্বে সের্গেই লোবেরার দলকে হারাতে পারেনি হাবাসের দল । তাই সবুজ-মেরুন সাজঘরে কারও মাথায় বদলা নেওয়ার পরিকল্পনা, কারও চোখ শুধুই ট্রফিতে ।
ডেভিড উইলিয়ামস বলছেন, পরিসংখ্যান বলছে আমি গোল করলে দল পরাজিত হয় না । খুব ভাল পরিসংখ্যান । ফাইনালে ভাল প্রস্তুতি নিয়ে গোল করতে চাই । নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে আমরা আরও গোল করতে পারতাম । তবে এখন তা ভেবে লাভ নেই । সামনের ম্যাচ নিয়ে ভাবা ভাল । লিগের দুটো সেরা দল শনিবার খেতাবের লক্ষ্যে মাঠে নামবে । আমরা মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে লিগ পর্যায়ে জিততে পারিনি । আমাদের দলের অনেকের মাথায় বদলা নেওয়ার ভাবনা । আবার কারও মাথায় ট্রফির স্বপ্ন । আমি ভাল খেলে ট্রফি জিততে চাই ।
আরও পড়ুন : ইতিহাস গড়ার হাতছানি এটিকে মোহনবাগানের সামনে
সেমিফাইনালে দুরন্ত জয়ের অন্যতম কারিগর মনবীর সিংয়ের চোখেও ট্রফি জয়ের স্বপ্ন । এফসি গোয়ার হয়ে ফাইনাল খেললেও ট্রফি জিততে পারেননি । এবার সেই অধরা স্বপ্ন পূরণ করতে চান তিনি । বললেন, ছ'টি গোল করেছি । তার মধ্যে সেমিফাইনালের গোলটাই সেরা । দু'জন ডিফেন্ডারকে টপকে গোল করেছি বলে নয়, গত দু'দিন ধরে সদস্য সমর্থকদের কাছ থেকে গোল করার অনুরোধ পেয়েছিলাম । তা রাখতে পেরে খুশি আমি । ম্যাচের সেরার পুরস্কার সমর্থকদের উৎসর্গ করছি ।
প্রতিপক্ষ মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে লিগের দুটো সাক্ষাতে সাফল্য আসেনি । সের্গেই লোবেরার ছেলেরা প্রথম আইএসএল ট্রফি ছোঁয়ার জন্য মরিয়া হবে, জানেন মনবীর । মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে গত দুটো ম্যাচের ভুল শুধরে জয়ের নীলনকশা সাজানোর কথা মনবীরের মুখে । তার মতে মুম্বই শক্তিশালী কিন্তু অপরাজেয় নয় । তার বাবা কুলদীপ সিং ফুটবলার ছিলেন । সেমিফাইনালের পরে গোল করার জন্য বাবার শুভেচ্ছা পেয়েছেন । একই সঙ্গে ফাইনালে গোল করার পিতৃ-আদেশ মিলেছে । যা পূরণ করতে নিজেকে নিংড়ে দিতে তৈরি হচ্ছেন মনবীর সিং ।