কল্যাণী, 12 সেপ্টেম্বর : পছন্দের কল্যাণী স্টেডিয়ামেই ব্যর্থতার অন্ধকার মোহনবাগানে । চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল জয়ে ফেরার দিনেই কলকাতা লিগে হেরে বসল কিবু ভিকুনার দল । কল্যাণীতে তারা 1-2 গোলে হেরে গেল অপেক্ষাকৃত দুর্বল এরিয়ানের বিরুদ্ধে । ম্যাচের শেষ ভাগটি ছিল যথেষ্ট ঘটনাবহুল । মাঠে জলের বোতলও পড়ে ।
আগের দিন ঘরের মাঠে দুরন্ত ফুটবল খেলেছিলেন বেইতিয়া, সালভা চামারোরা । কিন্তু এ দিন শুরু থেকেই ছন্নছাড়া ফুটবল । পাসের মায়াজালে প্রতিপক্ষ রক্ষণ ভাঙার কৌশল কার্যত মাঠে মারা গেল । এরিয়ান কোচ রাজদীপ নন্দী রক্ষণভাগ জমাট রেখেছিলেন । ফলে সুযোগ পাচ্ছিল না বাগান । তবে তার মধ্যেই সুযোগ তৈরি হয় । কঠিন দিনে অর্ধেক সুযোগ কাজে লাগাতে হয় । কিন্তু একাধিক সহজ সুযোগ নষ্ট করেন চামারো । ফলে গোলশূন্য ভাবেই শেষ হয় প্রথমার্ধ ।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে বাগান । প্রতিপক্ষের তাড়াহুড়োর সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাজিমাত রাজদীপ নন্দীর দলের । 63 মিনিটের মাথায় গোল করে এরিয়ানকে এগিয়ে দেন এজোগো । অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গল কালীঘাটের বিরুদ্ধে এগিয়ে যাওয়ার খবর মাঠে পৌঁছতেই চাপ বাড়তে থাকে । সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা । তাঁদের এই অস্থিরতা এরিয়ানকে রাশ তুলে নেওয়ার সুযোগ করে দেয় । 80 মিনিটে বাগানকে ফের ধাক্কা দেয় এরিয়ান । গোল করে ব্যবধান বাড়ান সন্দীপ ।
খেলার শেষদিকে কিছুটা খেলায় ফেরে মোহনবাগান । 89 মিনিটের মাথায় ব্যবধান কমান তরুণ শুভ ঘোষ । তবে সেটা কাজে আসেনি । শেষ পর্যন্ত 1-2 ব্যবধানে হারতে হয় মোহনবাগানকে । শেষ দিকে মাঠে উত্তেজনা ছড়ায় । উত্তেজনা ছড়ায় গ্যালারিতেও । ম্যাচ শেষ মাঠে বোতল পড়ে । দু'দলের খেলোয়াড়দের মধ্যেও বচসা শুরু হয় ।
এ দিন হারের ফলে সাত ম্যাচে 11 পয়েন্ট নিয়ে ইস্টবেঙ্গলের থেকে পিছিয়ে পড়ল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড । ফের জমে গেল লিগের লড়াই ।
ম্যাচ পরবর্তী সাংবাদিক বৈঠকে মোহনবাগান কোচ বলেছেন, একটা দল জয়ের জন্য খেলতে নেমেছিল । অন্য দল সময় নষ্ট করতে মনযোগী ছিল । দলের পারফরমেন্সে খুশি তিনি । হারের ময়নাতদন্তের পরে তিনি মনে করেন সুযোগ কাজে লাগাতে না পারাতেই পরাজয় । এগারো পয়েন্টে থমকে দল । খেতাব জয় অঙ্কের ওপর নির্ভর করবে । সবুজ মেরুন হেডস্যার মানছেন খেতাব রক্ষা কঠিন হয়ে দাঁড়াল ।