ETV Bharat / sports

সমস্যার অন্ধকারে মহমেডান, কর্তাদের মতের অমিল প্রকট - Mohammedan Club officials disagreement

সম্ভবত 2010 সালে তদানীন্তন ক্লাব প্রশাসনের কয়েকজন চিটফান্ড কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন । সেই সময় মহমেডান ক্লাব সচিব ছিলেন প্রয়াত সুলতান আমেদ ।

M
author img

By

Published : Sep 26, 2020, 5:22 PM IST

কলকাতা, 26 সেপ্টেম্বর : মহমেডান ক্লাব চত্বরে বিক্ষোভের আঁচ । কর্তারা যখন ক্লাবের সাম্প্রতিককালের সমস্যা নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত তখন সমর্থকরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে বিক্ষোভ দেখাল । সমর্থকদের একাংশ ক্লাব প্রশাসনের দুর্নীতি সরিয়ে বিনিয়োগকারীকে স্বাগত জানানোর দাবি তুলল । অন্যপক্ষ ক্লাবের অংশীদারিত্ব বিক্রি না করার পক্ষে সরব হল ।

প্রশাসনিক স্তরে রদবদল ঘটিয়ে নতুনভাবে যাত্রা শুরুর চেষ্টা শুরু হয়েছিল মহমেডান ক্লাবে । আই লিগ দ্বিতীয় ডিভিশন ফুটবল লিগে অংশ নেওয়ার জন্য শক্তিশালী দল গঠন করা হয়েছে । প্রস্তুতিও চলছিল জোরকদমে । ইনভেস্টরের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার কথাও দ্রুত ঘোষণা কথা হয় । কিন্তু তা এখন স্থগিত । কারণ এরই মধ্যে বিতর্কের গন্ধ রেড রোডের ধারের শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবে । যা তাদের ফের বড়সড় সমস্যার দিকে ঠেলে দিতে চলেছে । বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ময়দানে খবর ছিল, CBI দপ্তরে ডাক পড়েছে সাদা-কালো কর্তাদের । খবর ঘিরে জল্পনার পারদ চড়তে থাকে । এই ব্যাপারে মহমেডানের সচিব ওয়াসিম আক্রমকে ফোনে ধরা হলে তিনি বলেন, "ইনভেস্টর বা স্পনসর আগ্রহী হয় ব্যবসার জন্য । তারা একটা ক্লিন ইমেজ বা স্বচ্ছভাবমূর্তি খোঁজে । এই অবস্থায় তারা কতটা আগ্রহী হবে আমি জানি না ।"

ক্লাব প্রশাসনের অন্যতম শীর্ষকর্তা ইস্তেয়াক আমেদ জানিয়েছেন, "আমরা ইনভেস্টরের পক্ষে। একটি কেন, একাধিক স্পনসর বা ইনভেস্টরের সঙ্গে ক্লাবের গাঁটছড়া হোক । কিন্তু তা কখনও ক্লাবের স্বার্থ বিক্রি করে নয় । ময়দানের আর দুটো ক্লাব কীভাবে বিনিয়োগকারীর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে তা দেখার দরকার আমাদের নেই । মহমেডান চলবে নিজের মতো করে । সেখানে সদস্য সমর্থকদের আবেগকে মর্যাদা দিতে হবে ।"

সমস্যার কেন্দ্রবিন্দু না কি বছর দশেকের পুরানো । সম্ভবত 2010 সালে তদানীন্তন ক্লাব প্রশাসনের কয়েকজন চিটফান্ড কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন । সেই সময় মহমেডান ক্লাব সচিব ছিলেন প্রয়াত সুলতান আমেদ । একযুগ পরে সেই তদন্তের ফাইল ঝেড়ে বার করতেই না কি মহমেডান স্পোর্টিংয়ের বর্তমান সচিবকে ডেকে পাঠানো হয়েছে । এই অবস্থায় কী হবে পদক্ষেপ ? ওয়াসিম আক্রম বলছেন, "সবার আগে ক্লাব । তার ভালোর জন্য আমাকে সরে যেতে হলে রাজি আছি । তবে দেশের আইন ব্যবস্থার উপর আস্থা রয়েছে । আশা করি সঠিক বিচার পাব ।"

পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে শুক্রবার বিকেলে আলোচনায় বসেছিলেন সাদাকালো কর্তারা । সেখানে বিষয়টি নিয়ে উত্তপ্ত আলোচনা হয় । ইস্তেয়াক আমেদ বলছেন, "বর্তমান কমিটি এই দায় নেবে না । আজ হিসাবে দেখা গেল কুড়ি লাখ টাকা ফান্ডে এসেছে । বাকি টাকা কোথায় কীভাবে কারা নিয়েছে তার দায় ক্লাব নেবে না । কেউ যদি এরমধ্যে মারা গিয়ে থাকেন তার পরিবার সেই দায় নেবে না ।"

সাদা-কালো শিবিরের অন্দরে মতভেদের আগুন জ্বলছে তা পরিষ্কার । পরিস্থিতি কঠিন পরোক্ষভাবে স্বীকার করছেন সবাই । অর্থসচিব শারিক আহমেদ বলেন, "আশা করি তদন্ত তার পথে এগোবে । ক্লাবের ফুটবল বিষয়ক কাজে প্রভাব ফেলবে না ।" ক্লাবের অন্দরর খবর, বর্তমান সচিব ওয়াসিম আক্রম না কি সরে যেতে চেয়েছিলেন । কর্তাদের একাংশ বলছেন, কেউ যদি সরে যেতে চান তো চলে যেতে পারেন । ব্যক্তির চেয়ে প্রতিষ্ঠান বড়। 100 বছরের বেশি সময় ধরে মহমেডান ক্লাব রয়েছে ।

কলকাতা, 26 সেপ্টেম্বর : মহমেডান ক্লাব চত্বরে বিক্ষোভের আঁচ । কর্তারা যখন ক্লাবের সাম্প্রতিককালের সমস্যা নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত তখন সমর্থকরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে বিক্ষোভ দেখাল । সমর্থকদের একাংশ ক্লাব প্রশাসনের দুর্নীতি সরিয়ে বিনিয়োগকারীকে স্বাগত জানানোর দাবি তুলল । অন্যপক্ষ ক্লাবের অংশীদারিত্ব বিক্রি না করার পক্ষে সরব হল ।

প্রশাসনিক স্তরে রদবদল ঘটিয়ে নতুনভাবে যাত্রা শুরুর চেষ্টা শুরু হয়েছিল মহমেডান ক্লাবে । আই লিগ দ্বিতীয় ডিভিশন ফুটবল লিগে অংশ নেওয়ার জন্য শক্তিশালী দল গঠন করা হয়েছে । প্রস্তুতিও চলছিল জোরকদমে । ইনভেস্টরের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার কথাও দ্রুত ঘোষণা কথা হয় । কিন্তু তা এখন স্থগিত । কারণ এরই মধ্যে বিতর্কের গন্ধ রেড রোডের ধারের শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবে । যা তাদের ফের বড়সড় সমস্যার দিকে ঠেলে দিতে চলেছে । বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ময়দানে খবর ছিল, CBI দপ্তরে ডাক পড়েছে সাদা-কালো কর্তাদের । খবর ঘিরে জল্পনার পারদ চড়তে থাকে । এই ব্যাপারে মহমেডানের সচিব ওয়াসিম আক্রমকে ফোনে ধরা হলে তিনি বলেন, "ইনভেস্টর বা স্পনসর আগ্রহী হয় ব্যবসার জন্য । তারা একটা ক্লিন ইমেজ বা স্বচ্ছভাবমূর্তি খোঁজে । এই অবস্থায় তারা কতটা আগ্রহী হবে আমি জানি না ।"

ক্লাব প্রশাসনের অন্যতম শীর্ষকর্তা ইস্তেয়াক আমেদ জানিয়েছেন, "আমরা ইনভেস্টরের পক্ষে। একটি কেন, একাধিক স্পনসর বা ইনভেস্টরের সঙ্গে ক্লাবের গাঁটছড়া হোক । কিন্তু তা কখনও ক্লাবের স্বার্থ বিক্রি করে নয় । ময়দানের আর দুটো ক্লাব কীভাবে বিনিয়োগকারীর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে তা দেখার দরকার আমাদের নেই । মহমেডান চলবে নিজের মতো করে । সেখানে সদস্য সমর্থকদের আবেগকে মর্যাদা দিতে হবে ।"

সমস্যার কেন্দ্রবিন্দু না কি বছর দশেকের পুরানো । সম্ভবত 2010 সালে তদানীন্তন ক্লাব প্রশাসনের কয়েকজন চিটফান্ড কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন । সেই সময় মহমেডান ক্লাব সচিব ছিলেন প্রয়াত সুলতান আমেদ । একযুগ পরে সেই তদন্তের ফাইল ঝেড়ে বার করতেই না কি মহমেডান স্পোর্টিংয়ের বর্তমান সচিবকে ডেকে পাঠানো হয়েছে । এই অবস্থায় কী হবে পদক্ষেপ ? ওয়াসিম আক্রম বলছেন, "সবার আগে ক্লাব । তার ভালোর জন্য আমাকে সরে যেতে হলে রাজি আছি । তবে দেশের আইন ব্যবস্থার উপর আস্থা রয়েছে । আশা করি সঠিক বিচার পাব ।"

পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে শুক্রবার বিকেলে আলোচনায় বসেছিলেন সাদাকালো কর্তারা । সেখানে বিষয়টি নিয়ে উত্তপ্ত আলোচনা হয় । ইস্তেয়াক আমেদ বলছেন, "বর্তমান কমিটি এই দায় নেবে না । আজ হিসাবে দেখা গেল কুড়ি লাখ টাকা ফান্ডে এসেছে । বাকি টাকা কোথায় কীভাবে কারা নিয়েছে তার দায় ক্লাব নেবে না । কেউ যদি এরমধ্যে মারা গিয়ে থাকেন তার পরিবার সেই দায় নেবে না ।"

সাদা-কালো শিবিরের অন্দরে মতভেদের আগুন জ্বলছে তা পরিষ্কার । পরিস্থিতি কঠিন পরোক্ষভাবে স্বীকার করছেন সবাই । অর্থসচিব শারিক আহমেদ বলেন, "আশা করি তদন্ত তার পথে এগোবে । ক্লাবের ফুটবল বিষয়ক কাজে প্রভাব ফেলবে না ।" ক্লাবের অন্দরর খবর, বর্তমান সচিব ওয়াসিম আক্রম না কি সরে যেতে চেয়েছিলেন । কর্তাদের একাংশ বলছেন, কেউ যদি সরে যেতে চান তো চলে যেতে পারেন । ব্যক্তির চেয়ে প্রতিষ্ঠান বড়। 100 বছরের বেশি সময় ধরে মহমেডান ক্লাব রয়েছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.