ETV Bharat / sports

পা পড়ল লাল-হলুদ তাঁবুতে, মজিদের চোখে সেরা ডিফেন্ডার সুব্রত ভট্টাচার্য - Mohun Bagan vs East Bengal

ইস্টবেঙ্গল পা তাঁবুতে পা পড়ল মজিদ বিশকারের ৷ ফিরে গেলেন সোনালি ইতিহাসে ৷

মজিদ
author img

By

Published : Aug 12, 2019, 9:38 PM IST

কলকাতা, 12 অগাস্ট : 32 বছর পর পা পড়ল ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে ৷ তখন যেভাবে মজিদ বিশকারের জন্য উদ্বেলিত হত ফুটবলপ্রেমীরা, তিন দশক পরও একইভাবে তাঁকে উত্তেজিত হল শহর ৷ আর খোদ মজিদ ফিরে গেলেন পুরোনো দিনের স্মৃতিচারণায় ৷ আচ্ছন্ন হলেন প্রবল নস্টালজিয়ার জ্বরে ৷

রবিবার ভোররাতে শহরে পা দেওয়ার 36 ঘণ্টা পর লাল-হলুদ ডেরায় পা রাখলেন মজিদ । আটের দশকের গোড়ায় ভারতে পড়তে এসে কলকাতা ময়দানে কিছুটা হঠাৎ করে অভিষেক হয়েছিল । বাকিটা ইতিহাস । বাঙালি ফুটবল আবেগে প্রহেলিকার নাম মজিদ । তাঁর ফুটবল ঘিরে আজও ময়দানি রোমান্টিসিজ়ম অব্যাহত । যা এড়াতে পারে না নতুন প্রজন্ম । তাই মজিদ নামের নস্টালজিয়ার পিছনে গত দেড় দিনে পাগল দৌড় ফুটবলপ্রেমীদের ।

Majid Bishkar
ভাসলেন আবেগের জোয়ারে

"বাদশা বুড্ডা হো গায়া ।" নিজের সম্বন্ধে মূল্যায়ন মজিদের । 32 বছর আগে যখন শহর ছেড়েছিলেন তখন ছিলেন কপর্দকশূন্য । শহরে ফিরলেন অগাধ ফুটবল আবেগকে পুঁজি করে । যা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি ৷ বিমানে থাকার সময় মনে হয়েছিল, হয়তো কয়েক জন ইস্টবেঙ্গল কর্তা অপেক্ষা করবেন তাঁকে নিয়ে যেতে । কিন্তু, শহরে পা দেওয়ার পরে তাঁকে ঘিরে উন্মাদনার বহর দেখে বিস্মিত মজিদ ।

Majid Bishkar
ফুটবল পায়ে দেখালেন নিজের জাদু

ইদের সকালে নমাজ় পড়ে তিন ক্লাব ঘুরে দেখেন । দশ বছর যেখানে মণিমুক্ত ছড়িয়েছেন সেই স্মৃতি কতটা তাজা তার আন্দাজ করতে চেয়েছিলেন বোধহয় । গঙ্গার সৌন্দর্য উপভোগ করার পরে বিকেলে পা দিলেন ইস্টবেঙ্গলে তাঁবুতে । চেনা লাল-হলুদ জার্সিতে । ইস্টবেঙ্গলে বছর দুয়েকে মণিমুক্ত ছড়ানো সোনাঝরা বিকেলের বাদশা মজিদ বিশকার । স্মৃতির সরণিতে সেরা ম্যাচের প্রসঙ্গ বলতে গিয়ে আজও উজ্বল দার্জিলিং গোল্ড কাপ ফাইনাল । যেখানে শেষ 12 মিনিটে তিন গোল করিয়ে 3-2 গোলে সবুজ-মেরুন স্বপ্নে জোরালো ধাক্কা দিয়েছিলেন । মনে আছে, রোভার্স কাপে মহামেডানের বিরুদ্ধে দুরন্ত ম্যাচের কথা । ভারতীয় ক্লাব ফুটবলে যে কজন ডিফেন্ডারকে টপকাতে বেগ পেতে হয়েছিল সেই তালিকার শীর্ষে রাখছেন সুব্রত ভট্টাচার্যকে । এখন ফুটবল থেকে বহু দূরে থাকা মানুষটি সময় পেলেই অবশ্য বল পায়ে নেমে পড়েন ৷ খেলেন কচিকাঁচাদের সঙ্গে । বর্তমান ফুটবলের খবর রাখার চেষ্টা করেন । সেই নিরিখে মজিদের চোখে বর্তমানের সেরা লিওনেল মেসি ।

Majid Bishkar
পুরোনো সঙ্গীর সঙ্গে মজিদ

ফুটবল তাঁকে অনেক কিছু দিয়েছে । ফিরিয়ে নিয়েছে ততোধিক । ব্যক্তিগত দুঃখ নিয়ে কথা বলতে নারাজ । তবে ইডেনে 1980 সালের 16 অগাস্ট ডার্বি ম্যাচে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনা ভুলতে পারেন না । 16 জন দর্শকের প্রাণ হারানোর খবরে দুঃখ পেয়েছিলেন । তবে খেলার সময় দুর্ঘটনা হয়েছে বুঝতে পারেননি । আগামীকাল স্পোর্টস ডে'তে ইস্টবেঙ্গলের 100 বছরের ইতিহাসে জীবিত অধিনায়কদের সম্মান জানানো হবে । সম্মানিত হবেন ফুটবলের বাইরের দুনিয়ার তিন ব্যক্তিত্ব সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদার ও নাট্যব্যক্তিত্ব রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত । তবে আকর্ষণ অবশ্যই দিগভ্রষ্ট ফুটবল বাদশা মজিদ বিসকার ।

Majid Bishkar
ফিরে গেলেন পুরোনো দিনের স্মৃতিচারণায়

কলকাতা, 12 অগাস্ট : 32 বছর পর পা পড়ল ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে ৷ তখন যেভাবে মজিদ বিশকারের জন্য উদ্বেলিত হত ফুটবলপ্রেমীরা, তিন দশক পরও একইভাবে তাঁকে উত্তেজিত হল শহর ৷ আর খোদ মজিদ ফিরে গেলেন পুরোনো দিনের স্মৃতিচারণায় ৷ আচ্ছন্ন হলেন প্রবল নস্টালজিয়ার জ্বরে ৷

রবিবার ভোররাতে শহরে পা দেওয়ার 36 ঘণ্টা পর লাল-হলুদ ডেরায় পা রাখলেন মজিদ । আটের দশকের গোড়ায় ভারতে পড়তে এসে কলকাতা ময়দানে কিছুটা হঠাৎ করে অভিষেক হয়েছিল । বাকিটা ইতিহাস । বাঙালি ফুটবল আবেগে প্রহেলিকার নাম মজিদ । তাঁর ফুটবল ঘিরে আজও ময়দানি রোমান্টিসিজ়ম অব্যাহত । যা এড়াতে পারে না নতুন প্রজন্ম । তাই মজিদ নামের নস্টালজিয়ার পিছনে গত দেড় দিনে পাগল দৌড় ফুটবলপ্রেমীদের ।

Majid Bishkar
ভাসলেন আবেগের জোয়ারে

"বাদশা বুড্ডা হো গায়া ।" নিজের সম্বন্ধে মূল্যায়ন মজিদের । 32 বছর আগে যখন শহর ছেড়েছিলেন তখন ছিলেন কপর্দকশূন্য । শহরে ফিরলেন অগাধ ফুটবল আবেগকে পুঁজি করে । যা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি ৷ বিমানে থাকার সময় মনে হয়েছিল, হয়তো কয়েক জন ইস্টবেঙ্গল কর্তা অপেক্ষা করবেন তাঁকে নিয়ে যেতে । কিন্তু, শহরে পা দেওয়ার পরে তাঁকে ঘিরে উন্মাদনার বহর দেখে বিস্মিত মজিদ ।

Majid Bishkar
ফুটবল পায়ে দেখালেন নিজের জাদু

ইদের সকালে নমাজ় পড়ে তিন ক্লাব ঘুরে দেখেন । দশ বছর যেখানে মণিমুক্ত ছড়িয়েছেন সেই স্মৃতি কতটা তাজা তার আন্দাজ করতে চেয়েছিলেন বোধহয় । গঙ্গার সৌন্দর্য উপভোগ করার পরে বিকেলে পা দিলেন ইস্টবেঙ্গলে তাঁবুতে । চেনা লাল-হলুদ জার্সিতে । ইস্টবেঙ্গলে বছর দুয়েকে মণিমুক্ত ছড়ানো সোনাঝরা বিকেলের বাদশা মজিদ বিশকার । স্মৃতির সরণিতে সেরা ম্যাচের প্রসঙ্গ বলতে গিয়ে আজও উজ্বল দার্জিলিং গোল্ড কাপ ফাইনাল । যেখানে শেষ 12 মিনিটে তিন গোল করিয়ে 3-2 গোলে সবুজ-মেরুন স্বপ্নে জোরালো ধাক্কা দিয়েছিলেন । মনে আছে, রোভার্স কাপে মহামেডানের বিরুদ্ধে দুরন্ত ম্যাচের কথা । ভারতীয় ক্লাব ফুটবলে যে কজন ডিফেন্ডারকে টপকাতে বেগ পেতে হয়েছিল সেই তালিকার শীর্ষে রাখছেন সুব্রত ভট্টাচার্যকে । এখন ফুটবল থেকে বহু দূরে থাকা মানুষটি সময় পেলেই অবশ্য বল পায়ে নেমে পড়েন ৷ খেলেন কচিকাঁচাদের সঙ্গে । বর্তমান ফুটবলের খবর রাখার চেষ্টা করেন । সেই নিরিখে মজিদের চোখে বর্তমানের সেরা লিওনেল মেসি ।

Majid Bishkar
পুরোনো সঙ্গীর সঙ্গে মজিদ

ফুটবল তাঁকে অনেক কিছু দিয়েছে । ফিরিয়ে নিয়েছে ততোধিক । ব্যক্তিগত দুঃখ নিয়ে কথা বলতে নারাজ । তবে ইডেনে 1980 সালের 16 অগাস্ট ডার্বি ম্যাচে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনা ভুলতে পারেন না । 16 জন দর্শকের প্রাণ হারানোর খবরে দুঃখ পেয়েছিলেন । তবে খেলার সময় দুর্ঘটনা হয়েছে বুঝতে পারেননি । আগামীকাল স্পোর্টস ডে'তে ইস্টবেঙ্গলের 100 বছরের ইতিহাসে জীবিত অধিনায়কদের সম্মান জানানো হবে । সম্মানিত হবেন ফুটবলের বাইরের দুনিয়ার তিন ব্যক্তিত্ব সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদার ও নাট্যব্যক্তিত্ব রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত । তবে আকর্ষণ অবশ্যই দিগভ্রষ্ট ফুটবল বাদশা মজিদ বিসকার ।

Majid Bishkar
ফিরে গেলেন পুরোনো দিনের স্মৃতিচারণায়
Intro:ইস্টবেঙ্গলে ফিরলেন মজিদ বিসকার। রবিবার ভোররাতে শহরে পা দেওয়ার চব্বিশ ঘন্টার বেশি সময় পরে লাল হলুদ ডেরায় পা রাখলেন। আশির দশকের গোড়ায় ভারতে পড়তে এসে কলকাতা ময়দানে কিছুটা হঠাৎ করে অভিষেক হয়েছিল। পরবর্তী ইতিহাস।
বাঙালি ফুটবল আবেগে প্রহেলিকা র নাম মজিদ। তার ফুটবল ঘিরে আজও ময়দানি রোমান্টিসিজম অব্যাহত। যা এড়াতে পারে না নতুন প্রজন্ম। তাই মজিদ নামের নস্টালজিয়ার পেছনে গত দেড় দিনে পাগল দৌড় উন্মত্ত জনতার।
বাদশা বুড্ডা হো গায়া। নিজের সম্বন্ধে বর্তমান মুল্যায়ন মজিদ বিসকারের। 32বছর আগে শহর ছেড়ে ছিলেন। সেদিন ছিলেন কপর্দক শূন্য। শহরে ফিরলেন অগাধ ফুটবল আবেগকে পুজি করে। যা তার স্বপ্নেও ছিল না। বিমানে থাকার সময় মনে হয়েছিল হয়ত কয়েক জন ইস্টবেঙ্গল কর্তা অপেক্ষা করবে তাকে নিয়ে যেতে। কিন্তু পা দেওয়ার পরে তাকে ঘিরে উন্মাদনার বহর দেখে বিস্মিত হয়েছিলেন।
সকালে ইদের নামাজ পড়ে তিন ক্লাব ঘুরে দেখেন।দশ বছর যেখানে মনিমুক্ত ছড়িয়ে ছিলেন তার স্মৃতি কতটা তাজা তার আন্দাজ করতে চেয়েছিলেন বোধহয়। গঙ্গার সৌন্দর্য উপভোগ করার পরে বিকেলে ইস্টবেঙ্গলে তাবুতে এলেন। চেনা লাল হলুদ জার্সিতে।
ইস্টবেঙ্গলের বছর দুয়েকের মনিমুক্ত ছড়ানো সোনাঝড়া বিকেলের বেতাজ বাদশা মজিদ বিসকার। স্মৃতির সরনি তে সেরা ম্যাচের প্রসঙ্গ বলতে গিয়ে আজও উজ্বল দার্জিলিং গোল্ড কাপ ফাইনাল।যেখানে শেষ বারো মিনিটে তিন গোল করিয়ে 3-2গোলে সবুজ মেরুন স্বপ্নে জোরালো ধাক্কা দিয়েছিলেন। মনে আছে রোভার্স কাপে মহমেডানের বিরুদ্ধে দুরন্ত ম্যাচের কথা। ভারতীয় ক্লাব ফুটবলে যে কজন প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারকে টপকাতে বেগ পেতে হয়েছিল সেই তালিকায় শীর্ষে রাখছেন সুব্রত ভট্টাচার্য কে।
ফুটবল থেকে বহু দূরে থাকা মানুষ টি সময় পেলে কচি কাচাদের সঙ্গে খেলেন। চেষ্টা করেন বর্তমান ফুটবলের হাল হকিকতের খবর রাখতে। তারই নিরিখে মজিদের চোখে বর্তমানের সেরা লিওনেল মেসি।
ফুটবল তাকে অনেক দিয়েছে।ফিরিয়ে নিয়েছে ততধিক।ব্যাক্তিগত দুঃখ নিয়ে কথা বলতে নারাজ।তবে ইডেন উদ্যানে 1980 সালের 16অগস্ট ডার্বি ম্যাচে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনা ভুলতে পারেন না। 16জন দর্শকের প্রান হারানোর খবরে দুঃখ পেয়েছিলেন। তবে খেলার সময় দূর্ঘটনা হয়েছে বুঝতে পারেননি।
13অগস্ট মঙ্গলবার স্পোর্টস ডে তে ইস্টবেঙ্গলের একশো বছবের ইতিহাসে জীবিত অধিনায়ক দের সম্মান জানানো হবে। সম্মানিত হবেন ফুটবলের বাইরের দুনিয়ার তিন ব্যাক্তিত্ব সাহিত্যিক শীর্ষে ন্দু মুখোপাধ্যায়, চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদার ও নাট্যব্যক্তিত্ব রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত।তবে আকর্ষণ অবশ্যই দিগভ্রষ্ট ফুটবল বাদশা মজিদ বিসকার।


Body:বাসকার


Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.