কলকাতা, 14 জুন : কাশিম আইদারা এবং ফিজ়িও কার্লোস নোদারের দেশে ফেরার দিন স্থির হয়েছিল আগেই ৷ এবার বিমানের টিকিট মিলল জনি অ্যাকোস্টারও । ইস্টবেঙ্গলের বিদায়ি বিনিয়োগকারী সংস্থা এই তিন বিদেশির দেশে ফেরার উদ্যোগ নিলেও তা বাস্তবায়িত করতে সফল হয়নি। এই অবস্থায় ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফে এই তিন বিদেশিকে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়। ঠিক ছিল 11 জুন কেন্দ্রীয় সরকারের বন্দে ভারত প্রকল্পে এই তিন বিদেশির ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু ফিজ়িও কার্লোস নোদারের স্পেনে ফেরার এবং ফ্রান্সের ফুটবলার কাশিম আইদারার বিমানের টিকিট মিললেও, অ্যাকোস্টার দেশ কোস্টারিকার বিমান এতদিন মেলেনি।
কাশিম আইদারা 13 জুন দিল্লি যাবেন । সেখান থেকে 14 জুন সকালে লন্ডন যাওয়ার বিমান ধরবেন। কার্লোস নোদার 14 জুন মুম্বাই যাওয়ার জন্য কলকাতা ছাড়বেন। 19 জুন ফ্র্যাঙ্কফুট উড়ে যাবেন। সেখান থেকে মাদ্রিদের বিমান ধরবেন তিনি। জনি অ্যাকোস্টার দেশে ফেরার বিষয়টি কোনও ভাবেই নিশ্চিত করা যাচ্ছিল না। এতদিন ধৈর্য ধরলেও বিশ্বকাপার ডিফেন্ডার মেজাজ হারাতে শুরু করেছিলেন। বেতন কাটা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। এবার যাত্রা বিভ্রাট নিয়েও অসন্তোষ গোপন করেননি। বলছিলেন মারিও রিবেরা, কোলাডোদের সঙ্গে বিমান ধরতে পারতেন। কিন্তু তাঁকে রেখে দেওয়া হয়েছিল। এখন অজুহাতের পালা চলছে। পুরো বিষয়টি বিরক্তিকর পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। এটা ঠিক যে কোস্টারিকার বিমান পাওয়া কঠিন। তবে অ্যামেরিকা হয়ে যাওয়ার পথ থাকলেও তা এখন বন্ধ। ফলে অ্যাকোস্টার দেশে ফেরার বিষয়টি ক্রমশই ঘোরালো হয়ে উঠছিল। অবশেষে তিনিও নিজের দেশ কোস্টারিকার পথে। এবং সেটা সম্ভবত নিজস্ব প্রভাব খাটিয়ে। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কিংবা বিদায়ি বিনিয়োগ সংস্থার সৌজন্যে নয়।
সোমবার সকালে কলকাতা থেকে রওনা হয়ে দিল্লি থেকে ওয়াশিংটন যাবেন। সেখান থেকে কোস্টরিকা পৌঁছাবেন তিনি। বিদায়বেলায় ইস্টবেঙ্গল সদস্য সমর্থকদের ভালোবাসার জন্য ধন্যবাদ দিয়েছেন। কিন্তু বেতন বিভ্রাট এবং দেশে ফেরা নিয়ে লাল-হলুদ ম্যানেজমেন্টের মানসিকতায় আঘাত পেয়েছেন তা গোপন করেননি। বলেছেন, "আমার জীবনের একটা বৃত্ত পূর্ণ হল। এবারের অভিজ্ঞতা মোটেই সুখকর নয়। এই প্রতিষ্ঠানের প্রতি আমার যথেষ্ট সম্মান এবং ভালোবাসা ছিল। কিন্তু শেষে চুক্তি থেকে বেতন সমস্যা নিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা হল। আমার দেশে ফেরার ক্ষেত্রে ম্যানেজমেন্ট কোনও সহযোগিতা করেনি। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব গোটা বিষয়ে নীরব থেকেছে। তবে আমি ভালোটুকু মনে রাখতে চাই।"