কলকাতা, 27 জুলাই : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ ছাড়া ইস্টবেঙ্গল এবং লগ্নিকারীর মধ্যেকার চুক্তি জট খোলা সম্ভব নয় ৷ মনে করছেন লাল হলুদের প্রাক্তনীরা । সেই জন্য কর্তাদের সামনে রেখে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দরবার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা । এবং তা দ্রুত বাস্তবায়নের চেষ্টা করছেন । লগ্নিকারীর সঙ্গে মউ চুক্তি করার সময়ই ক্লাব কর্তাদের যত্নবান হওয়া উচিত ছিল বলে একমত প্রাক্তনীরা ।
সুকুমার সমাজপতি এবং চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বানে সোমবার বিকেলে ক্লাব তাঁবুতে আলোচনায় বসেছিলেন ফুটবলাররা । প্রশান্ত বন্দোপাধ্যায়, অলোক মুখোপাধ্যায়, সুভাষ ভৌমিক, অতনু ভট্টাচার্য, সুমিত মুখোপাধ্যায়, অনীত ঘোষ, রহিম নবি, মেহতাব হোসেন, সূর্যবিকাশ চক্রবর্তী, রজত ঘোষদস্তিদার, ক্রিকেটার শরদিন্দু মুখোপাধ্যায়, আবদুল মুনায়েম সহ মোট 57 জন ক্রীড়াব্যক্তিত্ব আলোচনায় বসেন ৷ চুক্তি জটের কোথায় সমস্যা তা বোঝার চেষ্টা করেন । বর্তমান অবস্থায় এই অযত্নের ছবি মাথায় রেখেও ইস্টবেঙ্গলকে কীভাবে অষ্টম আইএসএলে খেলানোর ব্যবস্থা করা যায় সেই ব্যাপারে উদ্যোগী হলেন প্রাক্তন ফুটবলাররা ।
ক্লাব কর্তারা প্রাক্তনীদের সামনে মউ চুক্তি এবং চূড়ান্ত চুক্তির খসড়া মেলে ধরেন । একই সঙ্গে কোন কোন শর্তে ক্লাব অরাজি তাদের সামনে তুলে ধরা হয় । ক্লাবের তরফে উপস্থিত আইনজীবী চুক্তির আইনি মারপ্যাঁচ ব্যাখ্যা করেন । সবকিছু দেখে খেলোয়াড়রা সকলেই একমত, মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছাড়া এই সমস্যার সমাধান কঠিন ।
আরও পড়ুন : habas : ইউরো কাপার জনি কাউকোকে সঙ্গে নিয়ে শহরে গুরু হাবাস
ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলেছেন, গতবছর চাপের মধ্যে কোণঠাসা করে তাঁদের চুক্তিতে স্বাক্ষর করার দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল । সেই অনুসারে ক্লাবের ফুটবল স্বত্ব লগ্নিকারীর কাছে রয়েছে । প্রাথমিক চুক্তি অনুসারে এই মরসুমে দলগঠনে বাধা নেই বলে তিনি দাবি করেছেন । তাঁর মতে চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে ক্লাবের স্বাধিকার হাতছাড়া হবে চিরকালের জন্য । এই কথাটা সমর্থক সদস্য সকলকে বুঝতে হবে । ক্লাব কর্তারা চুক্তির প্রতিবন্ধকতা নিয়ে সরব । তবে দেবব্রত সরকার বলছেন, তাঁরা সমস্যা মেটার ব্যাপারে আশাবাদী । এবং সেই প্রক্রিয়া চলছে।