কলকাতা, 22 সেপ্টেম্বর : নরমে-গরমে আলেয়ান্দ্রোর মেনেনদেজ় গার্সিয়ার ছেলেদের সমালোচনা করলেন ইস্টবেঙ্গল সচিব কল্যাণ মজুমদার । শনিবার ক্লাব তাঁবুতে ছিল ক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভা । শতবর্ষে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের বার্ষিক সভা । গতানুগতিক নিষ্প্রাণ আলোচনায় শেষ হবে না সবকিছু, তা আগেই জানানো হয়েছিল । প্রাক্তন ফুটবলার তরুণ দে-র গান, শতবর্ষ অনুষ্ঠানের ভিডিয়ো দেখিয়ে উপস্থিত সদস্যদের আগামী দিনে আরও ভালো কিছু করার অঙ্গীকার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্তাদের ।
ক্লাবের সভাপতি প্রণব দাশগুপ্ত চলতি মরসুমে আই লিগ জয়ের প্রত্যাশার কথা বলেছেন । সচিব কল্যাণ মজুমদার শুরুটা নরমভাবে করেছিলেন । জীবনের উত্থান-পতনের কথা বলে ক্লাবের সাফল্য ব্যর্থতাকে মেনে নিয়ে সামনে তাকানোর কথা বলেছেন । একই সঙ্গে বিনিয়োগকারী সংস্থার পাশে দাঁড়ানোর কথাও বলেছেন । যা নিঃসন্দেহে চমকপ্রদ । কিন্তু বর্তমান ফুটবল দলের পারফরমেন্স নিয়ে কথা বলার সময় খোঁচা দিয়েছেন ক্লাব সচিব কল্যাণ মজুমদার । তিনি স্বীকার করেছেন মাঠের অবস্থা খারাপ । কিন্তু এই সমস্যা নতুন নয় বলে মনে করিয়ে দিয়েছেন । বলেন, "শুক্রবার রেনবোর বিরুদ্ধে খেলা দেখতে দেখতে আমার 1953 সালের একটি ম্যাচের কথা মনে পড়ছিল । তখন আমি হয়ত ক্লাস সিক্সে পড়তাম । কিন্তু সেই সময়ের ফুটবলারদের খেলা আজও চোখে ভাসে । আমি কোনও তুলনা করতে চাই না । কারণ সময় বদলের সঙ্গে ফুটবলারের মান বদলে যায় । আমাদের মাঠের সংস্কার প্রয়োজন । তা করাও হবে । কিন্তু মনে রাখতে হবে ময়দানে সংস্কার করলেও সম্পূর্ণ বদল সম্ভব নয় । একমাত্র মাঠ অন্য জায়গায় নিয়ে গেলেই সমস্যা দূর করা সম্ভব । যা অবাস্তব ৷ " এ ভাবেই দলের বর্তমান ফুটবলারদের খোঁচা দিলেন কল্যাণ মজুমদার ।
সভায় আই লিগের জন্য কল্যাণী স্টেডিয়ামকে হোম গ্রাউন্ড না করার দাবি ওঠে । প্রয়োজনে বারাসত স্টেডিয়ামে খেলা করার অনুরোধ আসে । একই সঙ্গে বর্তমান দল আই লিগ জিততে কতটা সক্ষম তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে । প্রয়োজনে নতুন ফুটবলার নিয়ে দল শক্তিশালী করার ব্যাপারে কর্তাদের হস্তক্ষেপ করার কথা বলা হয় । আয় ব্যয়ের যে হিসাব পেশ করা হয়েছে তাতে পঞ্চান্ন লাখ টাকার কিছু বেশি তহবিলে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে ।