কলকাতা, 6 অগস্ট : নেতাজি ইন্ডোরে 'খেলা হবে' দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, " আমি চাই ইস্টবেঙ্গল আইএসএল খেলুক ৷ " এরপরেই আশার আলো দেখতে শুরু করেছে লাল-হলুদ শিবির ৷ এবার চুক্তিজট ছাড়ানোর উপায় খুঁজতে ফের বৈঠকে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কর্তৃপক্ষ । আজ দুপুরে জরুরি ভিত্তিতে ফের কার্যকরী কমিটির বৈঠক ডেকেছেন ক্লাব কর্তারা । তবে নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসার আগে আবার প্রাক্তন ফুটবলারদের বৈঠকে ডাকা হয়েছে ।
কয়েকদিন আগে চুক্তিজট খুলতে ক্লাবের কি করণীয় সেই বিষয়ে পরামর্শ নিতে প্রাক্তন ফুটবলারদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন ক্লাব কর্তারা । চুক্তির কোন কোন জায়গায় ক্লাবের আপত্তি তা প্রাক্তনদের সামনে তুলে ধরা হয়েছিল । যা দেখে এবং শুনে সেদিনের মিটিংয়ে উপস্থিত 57 জনকে চুক্তিতে স্বাক্ষর না করার ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছিলেন । একইসঙ্গে তাঁরা বলেছিলেন প্রাথমিক চুক্তিতে স্বাক্ষরের সময় ক্লাবের আরও যত্নবান হওয়া উচিত ছিল । সুকুমার সমাজপতি, চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়রা সেদিন বলেছিলেন প্রয়োজনে ক্লাব কর্তাদের সামনে রেখে এই চুক্তিজট কাটাতে তারা মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হবেন । এরপর মাঝে অনেকটা সময় চলে গিয়েছে । ক্লাব কর্তারা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে ক্লাবের প্রাক্তন সচিব আইনজীবী পার্থসারথী সেনগুপ্তকে অনুরোধ করেছিলেন সাতটি আপত্তির নিষ্পত্তির বিষয়ে লগ্নিকারীর সঙ্গে আলোচনা করতে । সেইমতো প্রাক্তন সচিব তা করেছেন ।
আরও পড়ুন: চুক্তিজট খুলতে এবার মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল
ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে চুক্তিজট মেটাতে লাল হলুদ কর্তাদের ছেড়ে খেলার নির্দেশ দিয়েছেন । কার্যত লগ্নিকারীরা বাঙ্গুর গোষ্ঠীর সমর্থনে ব্যাট ধরেন । একবছর আগে এই সংস্থাকে ইস্টবেঙ্গলের লগ্নিকারী হওয়ার কাজটি মুখ্যমন্ত্রী নেপথ্যে থেকে করেছিলেন । ফলে মুখ্যমন্ত্রী ফের নির্দেশ দেওয়ায় এবং চুক্তিজট কাটার আশ্বাস দেওয়ায় চাপে পড়ে যান লাল-হলুদ কর্তারা । তাঁরা তড়িঘড়ি বৈঠক করে আরও দুটি শর্তে শিথিলতা দাবি করে প্রাক্তন সচিবের দ্বারস্থ হন । কিন্তু এবার মধ্যস্থতায় রাজি হননি পার্থ সেনগুপ্ত । এদিকে পরিবর্তিত সূচি লগ্নিকারীর তরফে ক্লাবে পাঠানো হয়েছে । নতুন লোগোও ক্লাবে পৌঁছেছে । বাড়তি হিসেবে যোগ হয়েছে লগ্নিকারীর কর্ণধার হরিমোহন বাঙ্গুরের কলকাতা শহরে উপস্থিতি । তিনি এই রাজ্যে লগ্নি করার প্রস্তাব নিয়ে আজ নবান্নে বৈঠক করবেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে । ফলে জোড়া চাপে ইস্টবেঙ্গলের ক্লাব কর্তারা । এই অবস্থায় ক্লাব কর্তারা স্বাক্ষর করে পদত্যাগের পথে হাঁটতে পারেন । কিন্তু এই প্রস্তাব নাকি কর্মসমিতির একাংশ মানতে রাজি নন । ফলে, চুক্তিজট নিয়ে লেসলি ক্লডিয়াস সরণিতে নাটক এখন জমে উঠেছে ।