ETV Bharat / sports

রিয়াল কাশ্মীরের বিরুদ্ধে শুরু "আলে স্যারের" আই লিগ অভিযান - I League 2019-20

গত মরশুমে আই লিগের আগে দায়িত্ব নিয়ে ইস্টবেঙ্গলকে প্রায় চ্যাম্পিয়ন করে ফেলেছিলেন । এবার মরশুমের শুরু থেকে দল গড়েছেন নিজের হাতে । আই লিগ পাখির চোখ । তাই ডুরান্ড কাপ ও কলকাতা লিগকে প্রস্তুতি টুর্নামেন্ট বলতে দ্বিধা করেননি আলেয়ান্দ্রো । তা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি । এবার সেই লক্ষপূরণের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে ।

EAST BENGAL
ইস্টবেঙ্গল
author img

By

Published : Dec 3, 2019, 7:22 PM IST

কলকাতা, 3 ডিসেম্বর : কিংবদন্তি কোচ পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের সোনালি সময়ের সঙ্গে নতুন প্রজন্মের ফুটবলপ্রেমীরা পরিচিত নন । তারকা কোচ সুভাষ ভৌমিকের ক্যারিশমা প্রায় অস্তাচলে । পরবর্তী সময়ে লাল-হলুদ ডাগ আউটে বসে ইস্টবেঙ্গল জনতার হৃদয় জিতেছেন ট্রেভর জেমস মরগ্যান এবং বর্তমান কোচ আলেয়ান্দ্রো মেনেনদেজ় গার্সিয়া । দলে ভালো কুশলী ফুটবলার থাকা সত্ত্বেও ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের ভরসার নাম এখন "আলে স্যার"।

সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল,"বর্তমান দলে তো আপনি তারকা । ইস্টবেঙ্গল আই লিগ জিতবে কি না তার উত্তর সবাই আপনার কাছে জানতে চায় । এই প্রত্যাশা কি বাড়তি চাপ?" প্রশ্ন শুনে লাল-হলুদ কোচের মুখে তৃপ্তির হাসি পলকের জন্যে ফুটে উঠেই মিলিয়ে যায় । গম্ভীর্যের আড়ালে নিজেকে ফের ঢুকিয়ে নিয়ে লাল হলুদের স্প্যানিশ কোচ বলেন, "সমর্থকদের জন্যে আমি লিগটা জিততে চাই ।"

গত মরশুমে আই লিগের আগে দায়িত্ব নিয়ে ইস্টবেঙ্গলকে প্রায় চ্যাম্পিয়ন করে ফেলেছিলেন । এবার মরশুমের শুরু থেকে দল গড়েছেন নিজের হাতে । আই লিগ পাখির চোখ । তাই ডুরান্ড কাপ ও কলকাতা লিগকে প্রস্তুতি টুর্নামেন্ট বলতে দ্বিধা করেননি আলেয়ান্দ্রো । তা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি । এবার সেই লক্ষপূরণের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে ।

আই লিগের প্রস্তুতির জন্যে পছন্দসই পরিকাঠামো মেলেনি । বিদেশে প্রি-সিজন করার বদলে দেশেই সারতে হয়েছে । বিষয়টি পছন্দ না হলেও মানিয়ে নিয়েছেন । লক্ষ্যপূরণে পরিশ্রমই শেষ কথা তা প্রথমেই বলেছিলেন । একমাসের কড়া অনুশীলন ও গোটা পাঁচেক প্রস্তুতি ম্যাচের পরে আলেয়ান্দ্রো বলছেন তার দল তৈরি । তবে ঘণ্টা দুয়েকের বাস যাত্রা করে মাঠে পৌঁছানো আলেয়ান্দ্রোর না পসন্দ ।

দলের এক নম্বর বিদেশি ডিফেন্ডার বোরহা গোমেজ চোট সারিয়ে সবে মাঠে নেমেছেন । ম্যাচ ফিট হতে আরও দুসপ্তাহ দরকার । অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার লালরিনডিকা রালতেও চোট সারিয়ে ম্যাচ ফিট হওয়ার অপেক্ষায় । দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার "না পাওয়ার তালিকায়" থাকলেও আলে স্যার অকুতোভয় ।

ঘরের মাঠে আই লিগের প্রথম ম্যাচ রিয়াল কাশ্মীরের বিরুদ্ধে খেলতে হবে । গত মরশুম ঘরের মাঠে ড্র করলেও কাশ্মীরের মাটিতে জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল । এবার ডেভিড রবার্টসনের বিরুদ্ধে হিসাবটা উন্নত করতে চান লাল-হলুদ কোচ । মার্তি ক্রিসপি, আসির আখতার কিংবা মেহতাব সিং দুই সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার । সাইডব্যাক হিসেবে সামাদ আলি মল্লিক ও অভিষেক আম্বেকর সম্ভবত খেলবেন । মাঝমাঠে অধিনায়ক কাশিম আইদারার সঙ্গে নওরেম ডিফেন্সিভ ব্লকার হিসেবে থাকবেন । দুই উইংয়ের দায়িত্ব সামলাবেন জুয়ান মেরা গঞ্জালেজ় ও পিন্টু মাহাত । আক্রমণে মার্কোসের সঙ্গে থাকছেন হাইমে কোলাডো ।

প্রতিপক্ষের টাফ ফুটবল যেকোনও দলের কাছে চ্যালেঞ্জ। ইস্টবেঙ্গল সেই চ্যালেঞ্জ সামলাতে তৈরি । অন্তত আলেয়ান্দ্রো স্যার সেরকমই আশ্বাস দিচ্ছেন । তিনি ইস্টবেঙ্গল জনতার স্বপ্নের ফেরিওয়ালা । তাঁকে ঘিরে আশার বলয় তৈরি হয়েছে তা জানেন আলেয়ান্দ্রো । তাই কল্যাণী স্টেডিয়ামে মিশন কাশ্মীর শুধু একটা ম্যাচ নয় কাঙ্খিত স্বপ্নপূরণের প্রথম পরীক্ষা ।

কলকাতা, 3 ডিসেম্বর : কিংবদন্তি কোচ পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের সোনালি সময়ের সঙ্গে নতুন প্রজন্মের ফুটবলপ্রেমীরা পরিচিত নন । তারকা কোচ সুভাষ ভৌমিকের ক্যারিশমা প্রায় অস্তাচলে । পরবর্তী সময়ে লাল-হলুদ ডাগ আউটে বসে ইস্টবেঙ্গল জনতার হৃদয় জিতেছেন ট্রেভর জেমস মরগ্যান এবং বর্তমান কোচ আলেয়ান্দ্রো মেনেনদেজ় গার্সিয়া । দলে ভালো কুশলী ফুটবলার থাকা সত্ত্বেও ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের ভরসার নাম এখন "আলে স্যার"।

সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল,"বর্তমান দলে তো আপনি তারকা । ইস্টবেঙ্গল আই লিগ জিতবে কি না তার উত্তর সবাই আপনার কাছে জানতে চায় । এই প্রত্যাশা কি বাড়তি চাপ?" প্রশ্ন শুনে লাল-হলুদ কোচের মুখে তৃপ্তির হাসি পলকের জন্যে ফুটে উঠেই মিলিয়ে যায় । গম্ভীর্যের আড়ালে নিজেকে ফের ঢুকিয়ে নিয়ে লাল হলুদের স্প্যানিশ কোচ বলেন, "সমর্থকদের জন্যে আমি লিগটা জিততে চাই ।"

গত মরশুমে আই লিগের আগে দায়িত্ব নিয়ে ইস্টবেঙ্গলকে প্রায় চ্যাম্পিয়ন করে ফেলেছিলেন । এবার মরশুমের শুরু থেকে দল গড়েছেন নিজের হাতে । আই লিগ পাখির চোখ । তাই ডুরান্ড কাপ ও কলকাতা লিগকে প্রস্তুতি টুর্নামেন্ট বলতে দ্বিধা করেননি আলেয়ান্দ্রো । তা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি । এবার সেই লক্ষপূরণের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে ।

আই লিগের প্রস্তুতির জন্যে পছন্দসই পরিকাঠামো মেলেনি । বিদেশে প্রি-সিজন করার বদলে দেশেই সারতে হয়েছে । বিষয়টি পছন্দ না হলেও মানিয়ে নিয়েছেন । লক্ষ্যপূরণে পরিশ্রমই শেষ কথা তা প্রথমেই বলেছিলেন । একমাসের কড়া অনুশীলন ও গোটা পাঁচেক প্রস্তুতি ম্যাচের পরে আলেয়ান্দ্রো বলছেন তার দল তৈরি । তবে ঘণ্টা দুয়েকের বাস যাত্রা করে মাঠে পৌঁছানো আলেয়ান্দ্রোর না পসন্দ ।

দলের এক নম্বর বিদেশি ডিফেন্ডার বোরহা গোমেজ চোট সারিয়ে সবে মাঠে নেমেছেন । ম্যাচ ফিট হতে আরও দুসপ্তাহ দরকার । অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার লালরিনডিকা রালতেও চোট সারিয়ে ম্যাচ ফিট হওয়ার অপেক্ষায় । দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার "না পাওয়ার তালিকায়" থাকলেও আলে স্যার অকুতোভয় ।

ঘরের মাঠে আই লিগের প্রথম ম্যাচ রিয়াল কাশ্মীরের বিরুদ্ধে খেলতে হবে । গত মরশুম ঘরের মাঠে ড্র করলেও কাশ্মীরের মাটিতে জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল । এবার ডেভিড রবার্টসনের বিরুদ্ধে হিসাবটা উন্নত করতে চান লাল-হলুদ কোচ । মার্তি ক্রিসপি, আসির আখতার কিংবা মেহতাব সিং দুই সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার । সাইডব্যাক হিসেবে সামাদ আলি মল্লিক ও অভিষেক আম্বেকর সম্ভবত খেলবেন । মাঝমাঠে অধিনায়ক কাশিম আইদারার সঙ্গে নওরেম ডিফেন্সিভ ব্লকার হিসেবে থাকবেন । দুই উইংয়ের দায়িত্ব সামলাবেন জুয়ান মেরা গঞ্জালেজ় ও পিন্টু মাহাত । আক্রমণে মার্কোসের সঙ্গে থাকছেন হাইমে কোলাডো ।

প্রতিপক্ষের টাফ ফুটবল যেকোনও দলের কাছে চ্যালেঞ্জ। ইস্টবেঙ্গল সেই চ্যালেঞ্জ সামলাতে তৈরি । অন্তত আলেয়ান্দ্রো স্যার সেরকমই আশ্বাস দিচ্ছেন । তিনি ইস্টবেঙ্গল জনতার স্বপ্নের ফেরিওয়ালা । তাঁকে ঘিরে আশার বলয় তৈরি হয়েছে তা জানেন আলেয়ান্দ্রো । তাই কল্যাণী স্টেডিয়ামে মিশন কাশ্মীর শুধু একটা ম্যাচ নয় কাঙ্খিত স্বপ্নপূরণের প্রথম পরীক্ষা ।

Intro:তারকা কোচ প্রদীপ ব্যানার্জির সোনালী সময়ের সঙ্গে নতুন প্রজন্মের ফুটবল প্রেমীরা পরিচিত নন। তারকা কোচ সুভাষ ভৌমিকের ক্যারিশমা প্রায় অস্তাচলে। পরবর্তী সময়ে লাল হলুদ ডাগ আউটে বসে ইস্টবেঙ্গল জনতার হৃদয় জিতেছেন তারা হলেন ট্রেভর জেমস মরগ্যান এবং বর্তমান কোচ আলেয়ান্দ্রো মেনেনদেস গার্সিয়া। দলে ভালো কুশলী ফুটবলার থাকা সত্ত্বেও ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের ভরসার নাম এখন "আলে স্যার"।
সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল,"বর্তমান দলে তো আপনি তারকা।ইস্টবেঙ্গল আই লিগ জিতবে কি না তার উত্তর সবাই আপনার কাছে জানতে চায়।এই প্রত্যাশা কি বাড়তি চাপ?"
প্রশ্ন শুনে তৃপ্তির হাসি পলকের জন্যে ফুটে উঠেই মিলিয়ে যায়।গম্ভীর্যের মুখোশ নিজেকে ফের ঢুকিয়ে নিয়ে লাল হলুদের স্প্যানিশ কোচ জানান,"সমর্থকদের জন্যে আমি লিগটা জিততে চাই।"
গত মরসুমে আই লিগের আগে দায়িত্ব নিয়ে প্রায় চ্যাম্পিয়ন করে ফেলেছিলেন ইস্টবেঙ্গল কে। এবার মরসুমের শুরু থেকে দল গড়েছেন নিজের হাতে। আই লিগ পাখির চোখ।তাই ডুরান্ড কাপ ও।কলকাতা লিগকে প্রস্তুতি টুর্নামেন্ট বলতে দ্বিধা করেননি আলেয়ান্দ্রো।তা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। এবার সেই লক্ষপূরনের মহান দায়। আই লিগের প্রস্তুতির জন্যে পছন্দসই পরিকাঠামো মেলেনি। বিদেশে প্রিসিজন করার বদলে দেশেই তা সারতে হয়েছে।বিষয়টি পছন্দ না হলেও মানিয়ে নিয়েছেন। লক্ষ্যপূরনে পরিশ্রমই শেষ কথা তা প্রথমেই বলেছিলেন। একমাসের কড়া অনুশীলন ও গোটা পাচেক প্রস্তুতি ম্যাচের পরে আলেয়ান্দ্রো বলছেন তার দল তৈরি। ঘণ্টা দুয়েকের বাস যাত্রা করে মাঠে পৌছনো আলেয়ান্দ্রোর না পসন্দ।
দলের এক নম্বর বিদেশি ডিফেন্ডার বোরহা গোমেজ চোট সারিয়ে সবে মাঠে নেমেছেন।ম্যাচ ফিট হতে আরও দুসপ্তাহ দরকার।অভিঞ্জ মিডফিল্ডার লালরিনডিকা রালতেও চোট সারিয়ে ম্যাচ ফিট হওয়ার অপেক্ষায়। দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার "না পাওয়ার তালিকায়" থাকলেও আলেয়ান্দ্রো মেনেনদেস গার্সিয়া অকুতোভয়।ঘরের মাঠে আই লিগের প্রথম ম্যাচ রিয়াল কাশ্মীরের বিরুদ্ধে খেলতে হবে। গত বছর এই দলটির বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে ড্র করলেও কাশ্মীরের মাটিতে জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল।এবার ডেভিড রবার্টসনের বিরুদ্ধে হিসাব টা উন্নত করতে চান। মার্তি ক্রিসপি, আসির আখতার কিংবা মেহতাব সিং দুই সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার।সাইডব্যাক হিসেবে সামাদ আলি মল্লিক ও অভিষেক আম্বেকর সম্ভবত খেলবেন। মাঝমাঠে অধিনায়ক কাশিম আইদারার সঙ্গে নওরেম ডিফেন্সিভ ব্লকার হিসেবে থাকবেন। দুই উইংব্যাকের দায়িত্ব সামলাবেন জুয়ান মেরা গঞ্জালেস ও পিন্টু মাহাতা।আক্রমনে মার্কোসের সঙ্গে কোলাডো।
প্রতিপক্ষের টাফ ফুটবল যেকোনও দলের কাছে চ্যালেঞ্জ।ইস্টবেঙ্গল সেই চ্যালেঞ্জ সামলাতে তৈরি।অন্তত আলেয়ান্দ্রো সেরকমই আশ্বাস দিচ্ছেন।
ইস্টবেঙ্গল জনতার স্বপ্নের ফেরিওয়ালা স্প্যানিশ ভদ্রলোক। তাকে ঘিরে আশার বলয় কথা জানেন।তাই কল্যানী স্টেডিয়ামে মিশন কাশ্মীর শুধু একটা ম্যাচ নয় কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নপূরণের প্রথম পরীক্ষা।



Body:ইস্টবেঙ্গল


Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.