কলকাতা, 25 মে : গত বছর বাবাকে হারিয়েছেন ৷ এ বছর মা চলে গেলেন এটিকে মোহনবাগানের গোলরক্ষক অরিন্দম ভট্টাচার্যের ৷ প্রাথমিক ধাক্কা সামলে এবার করোনা যুদ্ধে নেমে পড়লেন অরিন্দম ৷ শুরুটা করলেন নিজের পাড়া থেকে ৷ বন্ধুদের সাহায্যে করোনা আক্রান্তদের জন্য পাড়ার ক্লাবের দুর্গা দালানে গড়ে ফেললেন সেফ হোম ৷
দু'সপ্তাহের লড়াইয়ের পর 10 মে প্রয়াত হন অরিন্দম ভট্টাচার্যের মা অন্তরা ভট্টাচার্য ৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় মায়ের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন অরিন্দম । মায়ের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে এএফসি কাপে খেলতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি । কিন্তু শত চেষ্টা করেও মাকে বাঁচাতে পারেননি ৷ এরপর 15টা দিন কেটে গিয়েছে ৷ মাকে হারিয়ে দিশেহারা অরিন্দম কঠিন সময়টার উল্লেখ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, "কোভিডের অতিমারিতে নিজের মাকে হারানোর শোক কিভাবে ব্যক্ত করব জানি না । শেষ পনেরোটা দিন আমার কাছে পনেরো বছরের সমান । কতগুলো নিদ্রাহীন রাত, হাসপাতালের ভয়ঙ্কর পরিবেশ, শশ্মানের স্তব্ধতা আমার জীবনের গতি থমকে দিয়েছে ।"
আরও পড়ুন : করোনায় মাকে হারালেন সবুজ মেরুনের গোলরক্ষক অরিন্দম
তিনি আরও লিখেছেন, "হয়তো পারতাম ঘর বন্দি হয়ে নিরাপদে এই কঠিন সময়টা কাটিয়ে ফেলতে । তবে চোখের সামনে এই মৃত্যুমিছিল আমাকে প্রতিদিন যন্ত্রণা দেয় । তাই ঠিক করেছি ময়দানের লড়াইয়ে নেমে সামনে থেকে এই অতিমারির মোকাবিলা করব । আমি চাই আপনারাও আসুন । এ সময়টা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করার সময় ।"
টালিগঞ্জে নিজের পাড়ায় সেফ হোম খুলেছেন অরিন্দম ৷ দুর্গা ঠাকুরের জন্য নিবেদিত দালান রাতারাতি বদলে গেছে মিনি হাসপাতালে । আপাতত বেড সংখ্যা কম হলেও ভবিষ্যতে বাড়ানোর ইচ্ছে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ৷ সেফ হোমে রয়েছে 26টি অক্সিজেন সিলিন্ডার ৷ বহু চিকিৎসক নিজের ইচ্ছায় এগিয়ে এসেছেন । পাশাপাশি নিয়মিত প্রায় 200 জন মানুষকে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সবুজ মেরুন গোলরক্ষক । নিজের পোস্টে কয়েকটি ফোন নম্বর দিয়েছেন তিনি ৷