কলম্বো, 12 সেপ্টেম্বর: বোলিং কৌশল বদলেই এসেছে সাফল্য, এমনটাই বিশ্বাস কুলদীপ যাদবের ৷ যেখানে সবচেয়ে বেশি সাহায্য় করেছে তাঁর বোলিং রান-আপে বদল এবং আক্রমণাত্মক ছন্দ ৷ এই বদলগুলি ওয়ান-ডে ক্রিকেটে তাঁর সাফল্যের রহস্য বলে জানালেন ভারতের 'চায়নাম্যান' ৷ 28 বছরের কুলদীপ এ বছর 14টি ওয়ান-ডে খেলে 27 উইকেট নিয়েছেন ৷ ভারতীয় বোলার হিসেবে এই মরশুমে এখনও পর্যন্ত যা সর্বাধিক ৷
পাকিস্তানকে 228 রানে হারিয়ে এশিয়া কাপ সুপার ফোরের শুরুটা দুরন্ত করেছে ভারত ৷ সেই ম্যাচে 5 উইকেট তুলেছেন কুলদীপ যাদব ৷ সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর এই সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে চায়নাম্যান বলেন, ‘‘অস্ত্রোপচারের পর (গতবছর হাঁটুর অস্ত্রোপচার হয় কুলদীপের) আমার রান-আপ অনেক সোজা হয়ে গিয়েছে ৷ সেই সঙ্গে বোলিং করার ছন্দ অনেক আগ্রাসী হয়েছে ৷ আগে আমার ডান হাত অনেক আগে পড়ে যেত ৷ কিন্তু, এখন তা অনেক সোজা থাকে এবং ব্যাটারের দিকে যায় ৷’’
একই সঙ্গে বলের গতি, স্পিন এবং হাওয়ার বলের ড্রিফট নিয়ে অনেক পরিশ্রম করেছেন বলে জানান কুলদীপ ৷ বিশেষত, অস্ত্রোপচারের পর এই বিষয়গুলি নিয়ে প্রচুর খেটেছেন তিনি ৷ আর তার জন্য লাগাতার অনুশীলন করে গিয়েছেন ৷ পেস না-কমিয়ে কীভাবে বলের স্পিন ও ড্রিফট ধরে রাখা যায়, তার চেষ্টা করে গিয়েছেন ৷ আর সেই চেষ্টার ফল তিনি পাচ্ছেন ৷ তাঁর কথায়, একজন লেগ স্পিনার যদি লাগাতার গুড লেংথে বল ফেলতে পারেন, তাহলে তিনি অবশ্যই উইকেট তুলতে পারবেন ৷ আর এতে খারাপ বলের সংখ্যা আপনা থেকেই কমে যাবে বলে মনে করেন ভারতীয় স্পিনার ৷
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টস জিতে ব্যাটিং ভারতের, শার্দূলের পরিবর্তে দলে অক্ষর
এমনকী হাঁটুর চোটের অস্ত্রোপচারের পর তিনি জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে দীর্ঘদিন ছিলেন ৷ সেখানে বোলিং অ্যাকশনে পিচে ফাইনাল ল্যান্ডিংয়ের সময় যাতে হাঁটুতে প্রভাব না পড়ে, সেই বিষয়টি নিয়েও প্রচুর পরিশ্রম করেছেন কুলদীপ যাদব ৷ এক্ষেত্রে এনসিএ'র ফিজিও আশিস কৌশিক তাঁকে অনেক সাহায্য করেছেন বলে জানিয়েছেন কুলদীপ ৷ এই পুরো প্রক্রিয়াটিকে রপ্ত করতে তিন মাসের দীর্ঘ পরিশ্রম এবং পরবর্তী সময়ে ম্যাচে প্রয়োগ করে আজকের সফল কুলদীপ যাদবকে পেয়েছে ভারতীয় দল ৷
(খবর সূত্র- সংবাদসংস্থা পিটিআই)