কলকাতা, 22 জুলাই: অশান্ত মণিপুর। দুর্বিপাকে মানুষ। সমস্ত ধরনের পরিষেবা বিপর্যস্ত। গত তিন মাস ধরেই চলছে এই অরাজকতা। দিন যত যাচ্ছে ততই ভয়াবহ হয়ে উঠছে মণিপুরের পরিস্থিতি। ফুটবলার চিঙ্গলেনসানা সিংয়ের বাড়ি পুড়েছে। ক্রিকেটাররাও ঘরবন্দী হয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। এই অবস্থায় আসন্ন মরশুমের প্রস্তুতি কীভাবে হবে তা নিয়ে ধন্ধে মণিপুর ক্রিকেট সংস্থার কর্তারা। সমস্যা মেটাতে মণিপুর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের দ্বারস্থ হলেন। বঙ্গ ক্রিকেটও জানিয়ে দিয়েছে তারা সাহায্যের হাত বাড়াতে প্রস্তুত ৷
দেশের প্রায় সব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনেরই দ্বারস্থ হয়েছে মণিপুর ক্রিকেট। সেই তালিকায় বাংলা যেমন আছে, তেমনই গুজরাতও রয়েছে । আছে অসমও ৷ মণিপুর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সচিব লাইসাংথেম রোনেল সিংয়ের ইমেল পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন সিএবির যুগ্মসচিব নরেশ ওঝা। বলেছেন, মণিপুর ক্রিকেট সংস্থার ইমেল পেয়েছি। ওরা প্রস্তুতির জন্য জায়গা চেয়েছে। এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি শহরে নেই। ফিরবেন আগামী সপ্তাহে। বুধবারের মধ্যে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।" তিনি আরও বলেন, "উত্তর-পূর্ব ভারতের ক্রিকেট উন্নয়নে আমরা আগেও সাহায্য করেছি। এবারও সব কিছু দেখে নিয়ে সম্ভব হলে নিশ্চয়ই সাহায্য করব।"
অভিষেক ডালমিয়া সিএবি প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন উত্তর-পূর্ব ভারতের ক্রিকেটের উন্নয়নে সাহায্য করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে সেই ধারা অব্যাহত। বর্তমানে মণিপুর ক্রিকেট টিম পণ্ডিচেরীতে দেওধর ট্রফি খেলছে। সেখান থেকে নিজের রাজ্যে ফেরার পরিকল্পনা আপাতত নেই। মণিপুর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের পছন্দ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল। বঙ্গ ক্রিকেট সংস্থাও সাহায্যের হাত বাড়াতে প্রস্তুত, এমনটাই ইঙ্গিত মিলেছে সিএবি সচিবের গলায়।
এদিকে, 21 জুলাইয়ের তৃণমূলের শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে শাসকদলের সমর্থকরা ইডেনে ঢুকে পড়েছিলেন। তা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হলেও সিএবি বিষয়টি পাত্তা দিতে নারাজ। সচিব নরেশ ওঝা বলেছেন, এই ধরনের যে কোনও অনুষ্ঠানে আমরা বারো নম্বর গেট খুলে দিয়ে থাকি। যারা ঢুকেছিল তারা গ্যালারিতে বসেছিল। বিষয়টি জানতে পেরে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কোনও বিতর্ক নেই।"
আরও পড়ুন: 'ক্যাচ দেম ইয়ং', অনূর্ধ্ব-17 সাফজয়ী ভারতীয় দলের দুই ফুটবলার লাল-হলুদে