কলকাতা, 11 এপ্রিল: শারজা কাপে চেতন শর্মাকে শেষ বলে ছয় মেরে পাকিস্তানকে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন জাভেদ মিঁয়াদাদ ৷ গুজরাত টাইটান্সের যশ দয়ালের ক্ষেত্রে বিষয়টা হয়তো আরও গভীর ৷ শেষ ওভারে পাঁচ বলে 5টা ছয় খাওয়া যে কোনও বোলারের পক্ষে বিভীষিকা ৷ 9 এপ্রিলের রাত তাই শুধু যশ দয়াল নয় ৷ তাঁর পরিবারের কাছেও কঠিন ছিল ৷ মাঠে ছেলের ভেঙে পড়া চোখমুখ দেখে তাই খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন তাঁর মা রাধা দয়াল ৷ ছেলে কেমন আছে তা জানতে অস্থির হয়ে উঠেছিলেন তিনি ৷ সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে এ কথা জানিয়েছেন যশ দয়ালের বাবা চন্দ্রপল দয়াল ৷
কেকেআর-এর বিরুদ্ধে ম্যাচে রিঙ্কু সিং 20তম ওভারের শেষ 5 বলে রীতিমতো তাণ্ডব করেছিলেন আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ৷ সেই রাতটা যেমন আমেদাবাদে যশ দয়ালের কাছে বিভীষিকা ছিল, তেমনই এলাহাবাদে তাঁর পরিবারও রবিবার রাত অস্থিরভাবে কাটিয়েছে ৷ যশের বাবা চন্দ্রপল নিজে একসময় ক্রিকেট খেলতেন ৷ তিনি নর্থ জোন ইউনিভার্সিটির হয়ে বিজি ট্রফি খেলেছিলেন একটা সময় ৷ একজন স্পোর্টস পার্সন হওয়ার সুবাদে, তাই তিনিই একমাত্র শক্ত ছিলেন ৷
জানালেন, ওইদিন যশের বোন সূচি পুরো পরিবারকে সামলেছিলেন ৷ তাঁর মা রাধা দয়াল ছেলের চিন্তায় খাওয়া-দাওয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছিলেন ৷ কিন্তু, চন্দ্রপল দয়াল মনে করেন, প্রত্যেক স্পোর্টস পার্সনের জীবনে এমন মুহূর্ত আসে ৷ ব্যর্থতা জীবনে আসবেই ৷ তাই সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেকে তুলে ধরতে হবে নতুন উদ্যমের সঙ্গে ৷ রবিবার রাতে তিনি ছেলেকে ফোন করেছিলেন ৷ সেদিন যশ জানিয়েছিলেন, বলের গ্রিপ পাচ্ছিলেন না । ফলে উত্তরপ্রদেশের এই বাঁ-হাতি মিডিয়াম পেসার যাই করতে যাচ্ছিলেন, তার উলটোটা হচ্ছিল ৷ সেই কারণেই 3টি ইয়র্কার ফুলটস পড়ে যায় ৷
আরও পড়ুন: ক্রিকেটকে বাহন করে গলি থেকে রাজপথে রিঙ্কু সিং
রবিবার বিকেলের ওই ম্যাচে গুজরাত টাইটান্সের অধিনায়কত্ব করেছিলেন রাশিদ খান ৷ অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া অসুস্থ থাকায় খেলেননি ৷ ম্যাচ নিয়ে চন্দ্রপল দয়াল জানান, রিঙ্কু এবং যশ উত্তরপ্রদেশের হয়ে একসঙ্গে খেলেন ৷ তাই একে অপরের সম্পর্কে খুব ভালো করে জানেন ৷ সেটাই এই ম্যাচে ফারাক গড়ে দিয়েছে ৷ বিশেষ করে যখন যশের প্রতিটি চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে ৷ তখন রিঙ্কুর পক্ষে কাজটা আরও সহজ হয়েছে বলে মনে করেন সিনিয়র দয়াল ৷