হায়দরাবাদ, 19 জানুয়ারি : আইপিএল শুরুর সময় মূল ভাবনাই ছিল ভারতীয় ক্রিকেটারদের উন্নতি সাধন । এরপর আইপিএল শুরুর 13 বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেছে । নাম না জানা ক্রিকেটারদের বিশ্ব ক্রিকেটের দরবারে নতুন নাম এনে দিয়েছে আই পি এল । আই পি এল হয়ে উঠেছে এমন এক মঞ্চ, যা ক্রিকেট বিশ্বকে বরাবরই উপহার দিয়েছে একের পর এক রত্ন । বিশ্বের তাড়কা খেলোয়াড়দের সঙ্গে সাজঘর ভাগ করে নেওয়া, তাঁদের সঙ্গে সময় কাটানো, অনুশীলন করা থেকে শুরু করে তাঁদের থেকে উপদেশ নেওয়া- এযেন সমস্ত জুনিয়ার খেলোয়াড়ের স্বপ্ন ।
প্রতি বছরের মতো এই বছরও ক্রিস মরিস, শাকিব কিনবা স্টিভ স্মিথের মতো খেলোয়াড় যেমন সুযোগ পেয়েছেন, তেমনই জায়গা করে নিয়েছেন অনেক অজানা খেলোয়াড়ও । বড়ো নামের দলগুলিতে এঁরা নিজেদের জায়গা করে নিয়েছেন । এঁরা নজর কাড়তে পারেন এই বছরের আইপিএলে ।
মহম্মদ আজ়হারউদ্দিন (20 লাখ)
বাঁ হাতি এই উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যানকে 20 লাখ টাকায় কেনে আরসিবি । সম্প্রতি হওয়া সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে মুম্বাইয়ের বিরুদ্ধে 37 বলে শতরান করে, সকলের নজর কাড়েন এই ক্রিকেটার । চড়াই উতরাইয়ে ভরা কেরিয়ারে, ধারাবাহিকতার অভাবে সুযোগ করে নিতে ব্যর্থ । তবে ফর্মে থাকলে, তিনি যে কোনও প্রতিপক্ষের কাছেই বিপদজনক ।
রিপল প্যাটেল (20 লাখ)
25 বছর বয়সী রিপল প্যাটেলকে 20 লাখ টাকায় কেনে দিল্লি । তাঁর ব্যাপারে সব থেকে আকর্ষণীয় বিষয় হল তাঁর স্ট্রাইক রেট । 190 স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করে এই খেলোয়াড় । এই বছর সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে তেমন বড় ইনিংস না খেললেও তিনি তাঁর ঝোড়ো ইনিংসের জন্যই বিখ্যাত ।
রজত পাতিদার (20 লাখ)
ইন্দোরের এই ছেলেটি সৈয়দ মুস্তার আলি ট্রফিতে নজর কাড়া পারফরমেন্স দেন । তারই ফলস্বরূপ আরসিবি 20 লাখ টাকায় কিনে নেয় এই ডান হাতি ব্যাটসম্যানকে । মাত্র 22 টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা এই ব্যাটসম্যানের স্ট্রাইক রেট 143.53 । এছাড়াও তাঁর ঝুলিতে রয়েছে 3 টি অর্ধশতরান ।
আরও পড়ুন : শাকিব-ভাজ্জি... আর কাকে কেকেআর ক্রয় করল
লুকমান মেরিওয়ালা (20 লাখ)
দিল্লির জন্য তুরুপের তাস হতে পারেন 29 বছরের লুকমান । সম্প্রতি সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে তিনি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট প্রাপক । 6.52 ইকোনমিতে তিনি 15 টি উইকেট নিয়েছেন । এই কারণেই 20 লাখ টাকায় দিল্লি তাঁকে কিনে নেয় এই বছরে ।
এম সিদ্ধার্থ (20 লাখ)
বাঁ হাতি এই স্পিনারকে দিল্লি ক্যাপিটাল কেনে 20 লাখ টাকায় । সিদ্ধার্থের বাবা ইন্দোনেশিয়ার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলে খেলেছেন । ছেলের ক্রিকেট কেরিয়ারের স্বপ্নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে, ভারতে আসেন বাবা এবং ছেলে । 22 বছর বয়সী সিদ্ধার্থের অনুপ্রেরণা ছিলেন ইরফান পাঠান । তাই ইরফানের মতোই বাঁ হাতি দ্রুত গতিতে কেরিয়ার শুরু করেন তিনি । এরপর কোচের পরামর্শে তিনি বাঁ হাতি স্পিনারে পরিণত হন । 6 টি ম্যাচে 16 উইকেট নেওয়া সিদ্ধার্থের ইকোনমি 4.95 ।