কলকাতা, 30 এপ্রিল: রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সকে হারিয়ে যেটুকু আশার আলো দেখা গিয়েছিল, গুজরাতের কাছে হেরে ফের ক্ষীণ হয়েছে আশা ৷ তবু তাঁর দল এখনও প্লে-অফ খেলতে পারে ৷ রবিবার নাইট গল্ফ চ্যারিটি ইভেন্টে এসে আশার কথা শোনালেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের সহকারী কোচ জেমস ফস্টার। টালিগঞ্জের রয়্যাল ক্যালকাটা গল্ফ ক্লাবে আয়োজিত এই টুর্নামেন্ট গত তিন-চার বছর আয়োজন করে চলেছে কেকেআর। শাহরুখের মীর ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই টুর্নামেন্টে যোগ দিয়ে জেমস ফস্টার বলেছেন, "আমাদের ফিরে আসার জায়গা রয়েছে। বছর দু'য়েক আগেও এমনই কঠিন অবস্থা থেকে আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম। এবার আমাদের সেই কাজটা ফের করতে হবে।"
চলতি টুর্নামেন্টে কোথায় বারবার পিছিয়ে পড়ছে কেকেআর ? ফস্টার যোগ করে বলেন, "কোনও সন্দেহ নেই শ্রেয়স আইয়ারের না-থাকা আমাদের বড় ধাক্কা। কিছুটা হলেও এইজন্য আমাদের দলকে পুনর্বিন্যাস করতে হয়েছে। তবে এটাও ঠিক আমরা কিছু ভালো ক্রিকেট উপহার দিয়েছি। কিছু ক্ষেত্রে জেতার মত পরিস্থিতিও তৈরি করেছিলাম। প্রতিটি ম্যাচেই আমাদের কয়েকজন ভালো পারফরম্যান্স করেছে। সেগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আরও কিছু ভালো পারফরম্যান্সের প্রয়োজন ছিল। দলের প্রত্যেকেই প্রচণ্ড পরিশ্রম করছে। আমরা সাফল্যের খুব দূরে নেই। সাফল্য এবং ব্যর্থতার মধ্যে একটা সূক্ষ্ম সীমারেখা রয়েছে। আমরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যর্থতার দিকেই থাকছি। আমাদের সামনে এখনও সুযোগ রয়েছে। তার মধ্যেই ঘুরে দাঁড়াতে হবে।"
আরও পড়ুন: শুভমন গিলকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিকই ছিল, মত কেকেআর সিইও-র
ঘরে-বাইরে মিলিয়ে আরও পাঁচটি ম্যাচ রয়েছে নাইটদের সামনে। প্রতিটি ম্যাচে জয় পেলে তবেই প্লে-অফের দরজা খুলতে পারে। ইতিমধ্যেই ষষ্ঠ হারের স্বাদ পেয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যাবর্তনের আশা ক্ষীণ। কিন্তু ফস্টার আত্মবিশ্বাসী। বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদ ম্যাচে শার্দূল ঠাকুর ফিট হয়ে একাদশে ফিরেছেন। শনিবারের ম্যাচে ব্যাট করলেও বল করেননি। ফস্টার বলছেন, "হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট সারিয়ে শার্দূল সবে ফিরেছে। তাই পুরো ছন্দে ফিরতে আরেকটু সময় দরকার।" ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে নাইট ক্রিকেটাররা রবিবার গল্ফ খেলেই কাটালেন।
সিইও ভেঙ্কি মাইসোর জানালেন, চলতি আইপিএলে নাইটদের প্রতিটি ম্যাচই আশা-আশঙ্কার দোলাচলে অবস্থান করছে। নাইটদের ছেড়ে দেওরা ক্রিকেটাররা অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে দুরন্ত পারফরম্যান্স করছে। যা দেখে তৃপ্ত তিনি ৷ উদাহরণ হিসেবে শুভমান গিলের কথা তুলে ধরেন ভেঙ্কি।