হায়দরাবাদ, 20 নভেম্বর: পিতা-পুত্র জুটি একে অপরকে টেক্কা দিয়েছে তাও আবার একই ক্ষেত্রে এমনটা খুব কমই হয় ৷ যোগরাজ সিং এবং যুবরাজ সিংয়ের কথা হয়তো মনে পড়বে অনেকেরই ৷ দু'জনেই ক্রিকেট খেলেছেন ৷ যুবরাজ তো ছাপিয়ে গিয়েছেন বাবাকেও ৷ এমন উদাহরণ বিশ্বে আরও কয়েকটি রয়েছে ৷ বাবা ও ছেলে দু'জনেই বিশ্বকাপ খেলেছেন জাতীয় দলের হয়ে ৷ যেমন টম কুরান-কেভিন কুরান, ক্রিস ব্রড-স্টুয়ার্ট ব্রড, রজার বিনি এবং স্টুয়ার্ট বিনি ৷ কিন্ত বাবা-ছেলে দু'জনেই ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয় করেছেন এমন উদাহরণ বিরল ৷ 2023 সালে অজিদের বিশ্বজয়ের সঙ্গে সঙ্গে তৈরি হল এমনই এক বিরল নজির ৷
অস্ট্রেলিয়া দলের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধি মিচেল মার্শ ৷ বিশ্বকাপে এই অজি তারকা দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেছেন বহুবার ৷ 10 ম্যাচে তিনি করেছেন 441 রান ৷ করেছেন দু'টি শতরান এবং একটি অর্ধশতরান ৷ মাঝে দু'টি ম্যাচ খেলতে পারেননি তিনি ৷ তাঁর দাদু রসের মৃত্যুর কারণে হঠাৎই তাঁকে ফিরে যেতে হয় দেশে ৷ তবে ফিরে এসেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে 177 রানের বিশাল ইনিংস খেলেন তিনি ৷ বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি পান পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও ৷ ফাইনালে যদিও তাঁর ব্যাট তেমন জ্বলে উঠতে পারেনি ৷ তবে দলের হয়ে নিজেকে উজার করে দিয়েছিলেন মার্শ ৷
অস্ট্রেলিয়া প্রথম বিশ্বকাপ জেতে 1987 সালে ৷ সেই বিশ্বকাপে দলের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধি ছিলেন মিচেলের বাবা জিওফ ৷ আমেদাবাদে ছেলের বিশ্বজয়ও উপভোগ করেন তিনি ৷ তাঁর আরেক সন্তান শন মার্শও ছিলেন অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্য ৷ বাঁ-হাতি এই ওপেনার নজর কেড়েছিলেন তাঁর ব্যাটিং প্রতিভা দিয়ে ৷ ভারতের হয়ে এর আগে দুই ভাই টি-20 বিশ্বকাপ জিতেছিলেন ৷ ইরফান পাঠান-ইউসুফ পাঠান দু'জনেই ছিলেন 2007 সালের টি-20 বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য ৷
তবে জিওফ মার্শ এবং মিচেল মার্শের এই কৃতিত্ব বিরল ৷ এর আগে বাবা এবং ছেলে দু'জনেই বিশ্বকাপ জয় করেছেন এমনটা কখনও ঘটেনি ৷ প্রসঙ্গত, জিওফ আরও একটি বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য় ছিলেন 1999 সালে ৷ সেবার অবশ্য খেলোয়াড় হিসাবে নয় তিনি ছিলেন কোচ হিসাবে ৷ স্টিভ ওয়ার অধিনায়কত্বে বাইশ গজে বিশ্বজয় করে তাঁর দল ৷
আরও পড়ুন: