কলকাতা, 15 ফেব্রুয়ারি: মনোজ তিওয়ারি-অনুষ্টুপ মজুমদারদের রঞ্জি ফাইনালের আগে শুভেচ্ছা জানালেন বাংলার প্রাক্তন কোচ ডব্লু ভি রমন (Former Coach WV Raman Sends Best Wishes to Bengal) ৷ জানালেন, রঞ্জি ট্রফির এই পর্যায়ে দলগুলোর দুর্বলতা থাকে না ৷ সবুজ উইকেটে খেলার ব্যবস্থা করা হয়েছে মানেই মনোজ তিওয়ারিরা এগিয়ে রয়েছেন, এটা ভাবার কারণ নেই বলে জানান তিনি ৷ স্পষ্ট করে দিলেন, সৌরাষ্ট্র দলেও যথেষ্ট ভারসাম্য রয়েছে ৷ তাই তাঁর মতে, বাংলা যেন প্রথম দিন থেকে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে ৷ সেই সঙ্গে রঞ্জি ফাইনালের জন্য মনোজদের আগাম অভিনন্দন জানিয়ে রাখলেন রমন ৷
রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে বাংলা মাঠে নামার আগে, ডব্লু ভি রমনের এই বার্তা অবশ্যই পেপটক ৷ 33 বছর পর ইডেনে রঞ্জি ট্রফির ফাইনাল হচ্ছে ৷ আয়োজনে কোনও ত্রুটি রাখতে নারাজ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল ৷ এদিন বাংলা দলের অনুশীলন দেখতে এসেছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ৷ তাঁর দফতরের প্রাক্তন এবং বর্তমান ডেপুটি বাংলার রঞ্জি ট্রফি উদ্ধারে নামছেন আগামিকাল ৷ ফলে দু’জনকেই অভিনন্দন জানালেন তিনি ৷
অরূপ বিশ্বাস বলেন, “আমার দুই সতীর্থই রঞ্জি ট্রফি উদ্ধারে নামছেন ৷ লক্ষ্মীরতন আমার সঙ্গে ডেপুটি ছিল ক্রীড়া দফতরে ৷ এখন মনোজ রয়েছে আমার দফতরের ডেপুটি হিসেবে ৷ রঞ্জি ট্রফি জিততে একজন মন্ত্রী ফাইনাল খেলতে নামছে এমন নজির নেই ৷ বর্তমান কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী রঞ্জি ট্রফি খেলেছেন ৷ কিন্তু, ফাইনাল খেলেননি ৷ সেদিক থেকে মনোজ যদি ট্রফি জিতে নেয় তাহলে গিনেস বুকে স্থান করে নেবে ৷”
ইডেনে এসে ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে সিএবির প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, দুই সচিব নরেশ ওঝা এবং দেবব্রত দাসের সঙ্গে কথা বলেন ক্রীড়ামন্ত্রী ৷ কথা বলেন বাংলার অধিনায়ক এবং কোচের সঙ্গেও ৷ এদিকে রঞ্জি ফাইনালের ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি রাখছে না সিএবি ৷ সাধারণ দর্শকদের জন্য নির্দিষ্ট ব্লকগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে ৷ সিএবি-র আপার টিয়ারে বসার জন্য বিশেষ পাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ বাংলা দলের ক্রিকেটারদের পরিবারের সদস্যদের বসার ব্যবস্থা কর্পোরেট বক্সে করা হয়েছে ৷ কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা এবং অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারির পরিবারের সদস্যদের জন্য প্রেসিডেন্ট বক্সে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: প্লে-অফ-সহ 22 ম্যাচে উইমেনস প্রিমিয়র লিগ
আশা করা হচ্ছে দৈনিক হাজার পনেরো দর্শক মাঠে থাকবেন ৷ ইতিমধ্যে, ইডেন বেল বাজিয়ে খেলা শুরুর জন্য রঞ্জি জয়ী দলের অধিনায়ক সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ৷ 1989-90 সালের সেই জয়ী দলের বাকি সদস্যরাও আমন্ত্রিত রয়েছেন ৷ অন্যদিকে, রঞ্জি ট্রফি ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারলে প্রায় কোটি টাকার অংকের পুরস্কার দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সিএবি ৷ ফাইনালে জিতলেই এই পুরস্কারের অর্থ নিয়ে সবুজ সংকেত মিলবে ৷ সব মিলিয়ে মিশন রঞ্জিতে শুধু ক্রিকেটাররাই নন, মাঠের বাইরে কর্তারাও প্রস্তুতি শুরু করেছেন ৷