কাপ না হলেও হৃদয় জিতে দেশে ফিরছেন শাকিবরা - semi-finals
300 উপর রান তাড়া করতে গিয়ে যে ক্ষিপ্রতা দেখানো দরকার ছিল তা দেখা যায়নি তামিম-সৌম্যদের মধ্যে । শুরুটা খুবই সাদামাটা ছিল তাঁদের । কিছুটা লড়াইয়ের চেষ্টা করেছিলেন বহু যুদ্ধের নায়ক শাকিব-আল-হাসান ।
বার্মিংহাম, 2 জুলাই : বেঙ্গল টাইগাররা পারলেন না । বাসিত আলির ভবিষ্যৎবাণী সত্যি হল না । বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রত্যাশা মতোই জয় এল । বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেন শাকিব-লিটনরা ।
ম্যাচটা ছিল মরণবাঁচন বনাম সম্মান রক্ষার লড়াই । সম্মান জিতলেও হৃদয় জিতে নিলেন বেঙ্গল টাইগাররাই । বার্মিংহামের ম্যাচে বাংলাদেশকে 28 রানে হারিয়ে দিল টিম ইন্ডিয়া । ঝড় শুরু হয়েছিল রোহিত-রাহুলের ব্যাট থেকে । নিজেকে প্রমাণ করা, সব সমালোচনার জবাব দেওয়ার জন্যই বোধহয় এই বিশ্বকাপটাকেই বেছে নিয়েছেন রোহিত শর্মা । চারটি শতরান করে তিনি প্রমাণ করেছেন কতটা ভয়ঙ্কর ফর্মে রয়েছেন এই মুম্বইকর । আজ এল চতুর্থ শতরানটি । মাত্র 92 বলে 104 রানে যখন প্যাভলিয়নে ফিরছেন রোহিত তখন গোটা স্টেডিয়াম দেখে বোঝার উপায় নেই এটি ইংল্যান্ডের মাটি না মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে । প্রথম উইকেট দুটিতে উঠল 180 রান । মনে হচ্ছিল 400 রানের বেড়া সহজেই টপকে যেতে চলেছেন কোহলিরা । কিন্তু, বিরাট কোহলি, হার্দিক পাণ্ডের ব্যর্থতায় সেই লক্ষ্য পূরণ হয়নি । যদিও, কিছুটা আশা জাগিয়েছিলেন ঋষভ পন্থ । শেষ পর্বে কিছুটা পরিচিত ছন্দে দেখা গেছিল ধোনিকে । শেষ পর্যন্ত 9 উইকেটে 314 রানে থামতে হয় রোহিতদের ।
300 উপর রান তাড়া করতে গিয়ে যে ক্ষিপ্রতা দেখানো দরকার ছিল তা দেখা যায়নি তামিম-সৌম্যদের মধ্যে । শুরুটা খুবই সাদামাটা ছিল তাঁদের । কিছুটা লড়াইয়ের চেষ্টা করেছিলেন বহু যুদ্ধের নায়ক শাকিব-আল-হাসান । যখন, শাকিব ব্যাট হাতে দাপাচ্ছেন তখন কিছুটা হলেও আশা জেগেছিল বেঙ্গল টাইগারদের মনে । ঠিক তখনই মোক্ষম আঘাতটি দিলেন হার্দিক । 66 রানে প্যাভেলিয়নে ফেরত পাঠালেন শাকিবকে । ভবিষ্যৎ ততক্ষণে লেখা হয়ে গেছে । লিটন দাস থেকে শুরু করে বাকিরা আয়ারাম ও গয়ারাম পর্যায়ে । শেষ পর্বে অবশ্য মহম্মদ সাফিউদ্দিন লড়াই চালাচ্ছিলেন । কিন্তু, বুমরা, ভুবনেশ্বর বা হার্দিকদের দাপটে তাঁর একার পক্ষে কিছুই করা সম্ভব ছিল না । কেন তিনি বিশ্বের 1 নম্বর বোলার তা আবারও প্রমাণ করলেন বুমরা । বুমরার ইয়র্কার সামলাতে নাস্তানাবুদ হলেন বাংলাদেশের শেষ পর্যায়ের ব্যাটসম্যানরা ।
আজকের ম্যাচটার দিকে শুরু ভারত নয় তাকিয়েছিল পাকিস্তানের সমর্থকরাও । 8 ম্যাচে 13 পয়েন্ট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে কোহলিরা । দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনালে উঠল তাঁরা । বিশ্বকাপ থেকে বিদায় বাংলাদেশের । তৃতীয় ও চতুর্থ দলের লড়াই মূলত নিউজ়িল্যান্ড , ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানের মধ্যে । তবে , আজ হৃদয় জিতে নিতে কসুর করেননি বেঙ্গল টাইগাররা । বল ব্যাট সবেতেই কোহলিদের থেকে পিছিয়ে ছিলেন শাকিবরা । কিন্তু, যেভাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মুস্তাফিজুররা লড়াই চালালেন তাকে পদ্মাপাড়ে নতুন ইতিহাসের চিত্রনাট্য বলা যেতে পারে । এবারের বিশ্বকাপে প্রথম থেকেই নজর কেড়েছিলেন শাকিব-মুস্তাফিজুর-রুবেলরা । বড় দলগুলিকে টক্কর দিতে- চোখে চোখ রেখে চ্যালেঞ্জ জানাতে বিকল্প ছিল না । এক সময় প্রথম চারে ওঠার স্বপ্ন দেখছিলেন বাংলাদেশের সমর্থকরা । যদিও, তাদের সেই আশা পূরণ হল না । কিন্তু, ইংরেজদের মাটিতে 11 বাঙালির লড়াই পদ্মাপাড়ে সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাবেই ।