লাহোর, 13 সেপ্টেম্বর : সচিন তেন্ডুলকর, রাহুল দ্রাবিড়, ভিভিএস লক্ষ্মণ, বীরেন্দ্র সেওয়াগ বহুদিন হল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন । তবু এদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা সচিন - দ্রাবিড় থেকে বেরোতে পারেনি । ভারতে নতুন নতুন ক্রিকেট প্রতিভা তুলে আনতে এইসব সিনিয়র ক্রিকেটারদের অবদান রয়েছে । এদিক থেকে পাকিস্তানের ছবিটা পুরোপুরি উলটো । পাকিস্তানের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান কামরান আকমলের আক্ষেপ, ভারতের মত পাকিস্তানে সিনিয়র ক্রিকেটারদের মান্যতা দেওয়া হয় না । তাঁর মতে, জাতীয় দলের তরুণ ক্রিকেটারদের গ্রুম করতে সিনিয়রদের সাহায্য নেওয়া প্রয়োজন । তবেই ভারতের মত প্রতিভাবান তরুণ ক্রিকেটাররা সাফল্য পাবে ।
পাকিস্তানে সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে যেভাবে ব্যবহার করা হয় তাতে মোটেও খুশি নন আকমল । তাঁর মতে, দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের মধ্যে ক্রিকেট বেঁচে থাকলেও খুব তাড়াতাড়ি তাঁরা ছিটকে পড়েন । এইমুহূর্তে জাতীয় দল থেকে নির্বাসনে থাকা এই ক্রিকেটার বলেছেন, "শোয়েব আখতার, মহম্মদ ইউসুফ এবং আবদুল রাজ্জাকের মত ক্রিকেটাররা যখন অবসর নিয়েছিলেন তখন তাঁদের মধ্যে আরও কয়েক বছর খেলা চালিয়ে যাওয়ার সামর্থ্য ছিল । তাঁর অভিযোগ, ইউনুস খানের মত ক্রিকেটারকে টিম ম্যানেজমেন্টের ব্যর্থতার জন্য দল থেকে বাদ পড়তে হয়েছিল ।"
আকমলের মতে, ক্রিকেট বিশ্বে ভারতের সাফল্যের পিছনে রয়েছে তরুণ প্রতিভাদের ঠিকমতো গ্রুম করার নীতি । এই কারণে ভারত আজ অন্যতম শক্তিশালী ক্রিকেট খেলিয়ে দেশ । পাকিস্তানের ম্যানেজমেন্টকে ভারতের এই নীতি অনুসরণ করার অনুরোধ করেছেন আকমল । তাঁর কথায়, "সচিন তেন্ডুলকর, রাহুল দ্রাবিড়, ভিভিএস লক্ষ্মণ, বীরেন্দ্র সেওয়াগরা পরের প্রজন্মকে তৈরি করে দিয়ে গেছেন । সেই নীতির সাফল্য আজ ভোগ করছে ভারত । গত এক দশকে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুলের মতো উঠে এসেছে কারণ তাঁদের পাশে ছিলেন সচিন, দ্রাবিড়, লক্ষ্মণরা ।"