কলকাতা, 11 এপ্রিল : শ্রেয়াস আইয়ার, পৃথ্বী শাহ-দের ক্রিকেট পরামর্শদাতার দীর্ঘকালীন ভূমিকা আদতে কোচ সৌরভ গাঙ্গুলির আত্মপ্রকাশের ড্রেস রিহার্সাল। গতকাল ইডেন ছাড়ার আগে তারই ইঙ্গিত দিলেন CAB প্রেসিডেন্ট স্বয়ং। IPL-র গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে দিল্লি ক্যাপিট্যালস কলকাতায়। শুক্রবার KKR-এর বিরুদ্ধে খেলবেন শিখর ধাওয়ান, কাগিসো রাবাডারা। দলের পরামর্শদাতা হিসেবে ডাগ আউটে বসবেন সৌরভ। কোনও রাখঢাক না করেই জানিয়েছেন, তাঁর ডাগ আউটে বসার ওপরে কোনও বিধি নিষেধ নেই। CAB প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইডেনের মাঠের অবস্থা দেখলেন। খোঁজ নিলেন ম্যাচের আয়োজনের সব ব্যবস্থা হয়েছি কি না।
ফিরোজ শাহ কোটলায় কলকাতার সঙ্গে ম্যাচটি সুপার ওভারে গড়িয়েছিল। KKR-এর পেশি শক্তি বনাম কাগিসো রাবাডার গতির লড়াইয়ে মেঘনাদের ভূমিকা নেবে 'দাদা' সৌরভের মগজাস্ত্র। তাই দিল্লি ক্যাপিট্যালসের প্রোটিয়া পেসারে আস্থা রাখলেও সৌরভ বহু প্রশ্নেও রাসেল বধের অস্ত্র সম্বন্ধে ক্লু দিতে রাজি হলেন না। অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারের সঙ্গে আলোচনা করে ছক সাজাবার কথা বললেন। একই সঙ্গে রাসেলের পেশি শক্তি সম্বন্ধে নিজের মুগ্ধতাও গোপন করেননি।
ইডেনের পিচ নিয়েও সৌরভ স্পিকটি নট। তবে 15 এপ্রিল বিশ্বকাপের দল ঘোষণা হবে। তা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক বলেছেন শুধু IPL নয় সামগ্রিক পারফরম্যান্সের হিসেব দল বাছার সময় মাথায় রাখা উচিত। প্রশাসকের গাম্ভীর্য নয়, সৌরভের শরীরিভাষায় চেনা চনমনে ভাব। প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা বলছেন, মাঠে ফিরতে পারার তৃপ্তি ভালোলাগা ফিরিয়ে দিয়েছে। 2012 সালের 12 মে পর সৌরভ গাঙ্গুলি ফের ইডেনে এবং বিপক্ষ ডাগ আউটে। যা আবার বঙ্গভঙ্গের পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। কলকাতার সমর্থন যে চিরকাল তিনি পেয়ে থাকেন তা জানেন। তবে 12 এপ্রিলের ম্যাচে পুরো ইডেনের সমর্থন তাঁর চাই একথা শত প্রশ্নেও বলানো যায়নি।
সৌরভ বলুন বা না বলুন মহারাজ বনাম বাদশা - অদৃশ্য ক্রিকেটিয় দ্বৈরথ দেখতে শহর তেতে উঠছে। ইতিমধ্যেই 400 টাকার টিকিটের দাম 1400 টাকায় কালো বাজারে বিক্রি হচ্ছে। মহামেডান ক্লাব চত্বর, ময়দানের বটতলায় দিনে দুপুরে ব্ল্যাকাররা টিকিট নিয়ে দর হাঁকছেন। এবং যাবতীয় কর্মকাণ্ড ঘটছে কর্তব্যরত পুলিশের নাকের ডগায়। কালোবাজারে টিকিটের দামের কথা শুনে সৌরভ বিস্মিত। কালোবাজারি বন্ধ করা হচ্ছে না কেন, এই প্রসঙ্গে সৌরভ বলেন, 'আমরা কেন করব? CAB ম্যাচের আয়োজক নয়। আয়োজক KKR", শাহরুখ খানের দিকে বল ঠেলে লিফটে উঠে গেলেন CAB প্রেসিডেন্ট।
ডাগ আউটে বসায় বিধি নিষেধ নেই : সৌরভ
শুক্রবার KKR-এর বিরুদ্ধে খেলবেন শিখর ধাওয়ান, কাগিসো রাবাডারা। দলের পরামর্শদাতা হিসেবে ডাগ আউটে বসবেন সৌরভ। কোনও রাখঢাক না করেই জানিয়েছেন, তাঁর ডাগ আউটে বসার ওপরে কোনও বিধি নিষেধ নেই।
কলকাতা, 11 এপ্রিল : শ্রেয়াস আইয়ার, পৃথ্বী শাহ-দের ক্রিকেট পরামর্শদাতার দীর্ঘকালীন ভূমিকা আদতে কোচ সৌরভ গাঙ্গুলির আত্মপ্রকাশের ড্রেস রিহার্সাল। গতকাল ইডেন ছাড়ার আগে তারই ইঙ্গিত দিলেন CAB প্রেসিডেন্ট স্বয়ং। IPL-র গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে দিল্লি ক্যাপিট্যালস কলকাতায়। শুক্রবার KKR-এর বিরুদ্ধে খেলবেন শিখর ধাওয়ান, কাগিসো রাবাডারা। দলের পরামর্শদাতা হিসেবে ডাগ আউটে বসবেন সৌরভ। কোনও রাখঢাক না করেই জানিয়েছেন, তাঁর ডাগ আউটে বসার ওপরে কোনও বিধি নিষেধ নেই। CAB প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইডেনের মাঠের অবস্থা দেখলেন। খোঁজ নিলেন ম্যাচের আয়োজনের সব ব্যবস্থা হয়েছি কি না।
ফিরোজ শাহ কোটলায় কলকাতার সঙ্গে ম্যাচটি সুপার ওভারে গড়িয়েছিল। KKR-এর পেশি শক্তি বনাম কাগিসো রাবাডার গতির লড়াইয়ে মেঘনাদের ভূমিকা নেবে 'দাদা' সৌরভের মগজাস্ত্র। তাই দিল্লি ক্যাপিট্যালসের প্রোটিয়া পেসারে আস্থা রাখলেও সৌরভ বহু প্রশ্নেও রাসেল বধের অস্ত্র সম্বন্ধে ক্লু দিতে রাজি হলেন না। অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারের সঙ্গে আলোচনা করে ছক সাজাবার কথা বললেন। একই সঙ্গে রাসেলের পেশি শক্তি সম্বন্ধে নিজের মুগ্ধতাও গোপন করেননি।
ইডেনের পিচ নিয়েও সৌরভ স্পিকটি নট। তবে 15 এপ্রিল বিশ্বকাপের দল ঘোষণা হবে। তা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক বলেছেন শুধু IPL নয় সামগ্রিক পারফরম্যান্সের হিসেব দল বাছার সময় মাথায় রাখা উচিত। প্রশাসকের গাম্ভীর্য নয়, সৌরভের শরীরিভাষায় চেনা চনমনে ভাব। প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা বলছেন, মাঠে ফিরতে পারার তৃপ্তি ভালোলাগা ফিরিয়ে দিয়েছে। 2012 সালের 12 মে পর সৌরভ গাঙ্গুলি ফের ইডেনে এবং বিপক্ষ ডাগ আউটে। যা আবার বঙ্গভঙ্গের পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। কলকাতার সমর্থন যে চিরকাল তিনি পেয়ে থাকেন তা জানেন। তবে 12 এপ্রিলের ম্যাচে পুরো ইডেনের সমর্থন তাঁর চাই একথা শত প্রশ্নেও বলানো যায়নি।
সৌরভ বলুন বা না বলুন মহারাজ বনাম বাদশা - অদৃশ্য ক্রিকেটিয় দ্বৈরথ দেখতে শহর তেতে উঠছে। ইতিমধ্যেই 400 টাকার টিকিটের দাম 1400 টাকায় কালো বাজারে বিক্রি হচ্ছে। মহামেডান ক্লাব চত্বর, ময়দানের বটতলায় দিনে দুপুরে ব্ল্যাকাররা টিকিট নিয়ে দর হাঁকছেন। এবং যাবতীয় কর্মকাণ্ড ঘটছে কর্তব্যরত পুলিশের নাকের ডগায়। কালোবাজারে টিকিটের দামের কথা শুনে সৌরভ বিস্মিত। কালোবাজারি বন্ধ করা হচ্ছে না কেন, এই প্রসঙ্গে সৌরভ বলেন, 'আমরা কেন করব? CAB ম্যাচের আয়োজক নয়। আয়োজক KKR", শাহরুখ খানের দিকে বল ঠেলে লিফটে উঠে গেলেন CAB প্রেসিডেন্ট।
Body:ময়দানের পুরানো লোকেরা এই জায়গা টিকে বলেন রঞ্জি স্টেডিয়াম। আকাশবাণী থেকে বাদিকের ফটপাথ ধরে হাটলে ইডেনের দশ নম্বর গেটটা শেষ দুপুর থেকে প্রায়ই খোলা পাবেন। গেটের প্রায় উল্টো দিকে বিধান সভার সিংহদুয়ার। আরেকটু এগিয়ে গেলে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র এবং নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়াম। ঢিল ছোড়া দুরত্বে কলকাতা হাইকোর্ট। জমজমাট ও ব্যস্ত পরিবেশে প্রায় নিঃশব্দে তথাকথিত ছোটখেলার রাজ্যপাট চলে। ইডেনে যখন ক্রিকেটের ভরা মরসুম তখনও তথাকথিত ছোট খেলাগুলো বছরভর কর্মসূচি সাজাতে ব্যস্ত। প্রচার নেই। নেই অর্থের বাহুল্য। গ্ল্যামার এখানে স্বপ্ন। তবুও এই খেলাগুলো টিকিয়ে রাখার অক্লান্ত চেষ্টায় রত এই মানুষ গুলো। গ্রাম বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রতিভা অন্বেষণ, তাদের সঠিক দিশা দেখানো র কাজটা ইডেনের এই দশ নম্বর গেট থুড়ি রঞ্জি স্টেডিয়াম চত্ত্বরে অবস্থিত অফিস থেকে এতদিন হয়ে এসেছে। খো খো, আথলেটিক্স, টেবিল টেনিস, ইকোয়েস্ট্রিয়ান, বেসবল এবং সব পেয়েছির আসরকে 2008 সালে অফিস দেওয়া হয়েছিল। তদানীন্তন ক্রীড়ামন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী র উৎসাহ ও পূর্তমন্ত্রী ক্ষিতি গোস্বামীর তৎপরতা য় এই খেলাগুলো তাদের রাজ্য অফিস পেয়েছি ল। এর আগে প্রয়াত সিএবি প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়া রঞ্জি স্টেডিয়ামে র সংস্কারের আছিলায় অফিস গুলো কে বেঘর করেছিলেন। ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা সেদিন রাখা হয়নি। অবস্থা সামাল দিতে তদানীন্তন ক্রীড়ামন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে র তলায় অফিস করে দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রথম সানফিস্ট ওপেনের আসর বসানোর জন্যে ফের অফিস তুলে দেওয়া হয়েছিল। আর্ন্তজাতিক মানের ড্রেসিংরুম করতেই এই উৎখাত হয়েছিল। তবে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ইডেনের দশ নম্বর গেটের ভিতরে এই খেলাগুলো র অফিস করে দেওয়া হয়েছিল। মাঝের দশবছর নির্বিঘ্নে চললেও ফের উচ্ছেদ। বর্তমান ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস কোনও অনুরোধ শুনতে নারাজ। এব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেছেন,"আমি ক্রিয়ায় বিশ্বাস করি। প্রতিক্রিয়ায় নয়।" ইতিমধ্যে অফিসে জল ও আলো বন্ধ করা হয়েছে। পাঁচ লাখ টাকা অনুদান বন্ধ। খো খো রাজ্য সংস্থার সচিব বলছেন তারা সাফল্যের সঙ্গে যাবতীয় কর্মসূচি করে চলেছেন। তাদের মত আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া রাজ্য ক্রীড়া সংস্থার অফিস কেড়ে নেওয়া হলেও খেলাটি অস্তাচলে চলে যাবে। শুধু খোখো বাকি খেলাগুলো একই রকম আতান্তরে পড়েছে। অথচ তারা বর্তমান সরকারের বিরোধী নন। যথেষ্ট সৎভাব রেখে চলেন। অফিস বদলে দিশেহারা হবেন ক্রীড়া বিদরা। তাই রাজ্য সরকারের এবিষয়ে যত্ন ও সহানুভূতিশীল হওয়ার আবেদন করেছেন সকলের। এখন দেখার সরকারের সম্বিত ফেরে কি না। না হলে অন্ধকারের পথে বাংলার মাইনর স্পোর্টস।
Conclusion: