দিল্লি, 2 জুন :প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে তিনিই ছিলেন ম্যান অফ দ্য ম্যাচ। ফাইনালে 3 উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং চুরমার করে দিয়েছিলেন ইরফান পাঠান ।অ্যাডিলেডে 2003 সালে ইরফানের টেস্ট অভিষেক হয়। নতুন বলে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথু হেডেনকে আউট করেন তিনি। একসময় তাঁর সুইং বলে মুগ্ধ ছিল ক্রিকেট দুনিয়া । জাতীয় দলের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলেন 2012 সালে । বড় দ্রুত শেষ হয়ে গেল ইরফান পাঠানের ক্রিকেট জীবন । শেষ টি-20 খেলেছেন 2012 সালে। জাতীয় দলে সুযোগ না পোলেও ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে যাচ্ছিলেন তিনি। জম্মু-কাশ্মীরের বোলিং কোচের পাশাপাশি মেন্টরের দায়িত্বও সামলাচ্ছিলেন । কিন্তু ক্রিকেটের সমস্ত ফর্মাট থেকে হঠাৎ অবসর নিলেন পাঠান । কিন্তু কেন ? এর পিছনে কী কাজ করছে তাঁর কোনও গভীর অভিমান ?
ইনস্টাগ্রামের লাইভ সেশনে ইরফানের গলায় একরাশ অভিমান । মহম্মদ কাইফের সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম লাইভে ইরফান বলেন, গত দু'তিন বছর ঘরোয়া ক্রিকেটে সাফল্যের পরেও নির্বাচকরা তাঁকে জাতীয় দলে নির্বাচন করেননি ।
ইরফান বলেন, "দেখে মনে হচ্ছিল নির্বাচকেরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে তাঁরা আমাকে দলে নিতে চান না। গত দু-তিন বছর ধরে এমনটাই মনে হয়েছে আমার । আমি বল সুইং করাচ্ছিলাম। আমি সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতে ভাল ফর্মে ছিলাম। আমি রঞ্জি ট্রফিতে ব্যাট ও বল দু'দিকেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করি । তারপরেও আপনি যদি দলে আমায় না নেন, তাহলে যে কোনও খোলোয়াড়ের মনে হওয়া স্বাভাবিক যে আপনাকে খেলা ছেড়ে ঘরে বসে যাওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে । " ইরফান বলেন, "আপনি যদি জাতীয় দলে নির্বাচিত না হয়েও ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে যেতে থাকেন তবে নির্বাচিত হতে পারে এমন কারও সুযোগ আপনার জন্য নষ্ট হচ্ছে । এরফলে আপনারা সম্মানও হারিয়ে ফেলবেন। আমি আজও জম্মু ও কাশ্মীরের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে পারতাম, তবে সেখানে ভাল প্রতিভা রয়েছে । এই প্রতিভাকে ঘষামাজা করতে হবে। আজও আমি খেলতে পারি তবে আপনাকে আসল ছবিটি দেখার দরকার আছে "।
এর আগে ইরফান পাঠান ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI)- কে বিদেশি টি-20 লিগে খেলোয়াড়দের স্থান দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। দেশের হয়ে সব মিলিয়ে 301 টি উইকেট নিয়েছেন পাঠান। 120টি ওয়ানডে খেলেছেন। এছাড়া 29 টেস্ট এবং টি-20 ম্যাচ খেলেছেন 24টি।
দেশের হয়ে 29 টি টেস্টে ক্রিকেটে তিনি 31.57 গড়ে 1105 রান করেছেন, এর মধ্যে একটি সেঞ্চুরি এবং 6 টি হাফসেঞ্চুরি আছে। তিনি 32.26 গড়ে 100টি উইকেট নিয়েছেন। ইরফান পাঠান 120টি একদিনের ম্যাচে 23.39 গড়ে 1544 রান করেছেন। এছাড়া 29.73 গড়ে 173টি উইকেট নিয়েছেন। টি-20 ফর্ম্যাটেও ইরফান দেশের হয়ে 24টি ম্যাচে 24.57গড়ে 172 রান করেছেন । তিনি 22.07 গড়ে 28টি উইকেটও নেন। 2012 সালে শ্রীলঙ্কার হয়ে তিনি শেষ টেস্ট খেলেছেন ।