কলকাতা, 31 জুলাই : "দেশের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছি । বাংলার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ হয়েছে । সবকিছু মাথায় রেখেও বলছি CAB-র লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট (জীবনকৃতি) সম্মানের গুরুত্ব আমার কাছে বিরাট । দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার সমান না হলেও খুব কাছাকাছি থাকবে ।"এভাবেই নিজের প্রতিক্রিয়া জানালেন অরুণলাল ।
লড়াইয়ের যেন আর এক নাম তিনি । খেলোয়াড় জীবনে পিচ আঁকড়ে পড়ে থেকে প্রতিটি রান সংগ্রহ করেছেন । পরিস্থিতি যত কঠিন হয়েছে, প্রতিপক্ষ বোলাররা যত দাঁতমুখ বার করেছে ততই ডালপালা ছড়িয়ে কঠিন লড়াই ছুড়ে দিয়েছেন অরুণলাল । জীবনকৃতির সম্মানকে লড়াইয়ের স্বীকৃতি বলে মনে করছেন । দেশ, বাংলার হয়ে খেলার পরে কোচের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন । নতুন মরশুমে সেই লড়াইকে দলের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন ।
তিন অগাস্ট নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে CAB-র বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান । বর্ষসেরা ও জেন্টালম্যান ক্রিকেটারের পুরস্কার উঠবে অভিমণ্যু ঈশ্বরনের হাতে । সেরা মহিলা ক্রিকেটার দীপ্তি শর্মা । অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি অজিঙ্কা রাহানে । তবে জীবনকৃতি সম্মান কে পাচ্ছেন তা নিয়ে আগ্রহ ছিল তুঙ্গে । রাজু মুখার্জি, দীপংকর সরকার, সম্বরণ ব্যানার্জিরা জীবনকৃতি সম্মানের দৌড়ে ছিলেন । শেষ পর্যন্ত অরুণলালকে বেছে নেয় CAB প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলির কমিটি ।