ধরমশালা, 28 অক্টোবর: আবারও ব্যাটহাতে অস্ট্রেলিয়ানদের আগ্রাসম ৷ বিশ্বকাপের মঞ্চে লাগাতার তিন ম্যাচে প্রথম ব্যাট করে সাড়ে তিনশোর বেশি রান তুলল অজিরা ৷ শনিবার ধরমশালায় নিউজিল্যান্ড বোলারদের শাসন করে 388 রান করেছেন ট্রাভিস হেডরা (67 বলে 109 রান) ৷ বাঁ-হাতি এই ওপেনার আজ প্রথম একাদশে ফিরেই সেঞ্চুরি করলেন ৷ সঙ্গে ডেভিড ওয়ার্নার 65 বলে 81 রানের ইনিংস খেলেন ৷ প্রথম উইকেটে দু’জনে মাত্র 19.1 ওভারে 175 রানের পার্টনারশিপ করেন ৷ তবে, পুরো 50 ওভার খেলতে পারেনি ক্যাঙারুরা ৷ 49.2 ওভারে 388 রানে অল-আউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া ৷
কিউয়িদের বিরুদ্ধে এ দিন শুরু থেকেই মারমুখী ছিলেন দুই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ৷ ধরমশালার পিচে ট্রেন্ট বোল্ট, ম্যাট হেনরি, লকি ফার্গুসন এবং জিমি নিশমদের বোলিং স্পট ধরতে দেননি ডেভিড ওয়ার্নার এবং ট্রাভিস হেড ৷ যতক্ষণ পিচে ছিলেন, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বাউন্ডারি এবং ওভার-বাউন্ডারিতে কথা বলেছে দু’জনের ব্যাট ৷ প্রথম পাওয়ার-প্লে অর্থাৎ, 10 ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়া বিনা উইকেটে 118 রান তোলে ৷ যা দেখে একটা সময় সাড়ে চারশো নিশ্চিত বলে মনে করা হচ্ছিল ৷ আর তা হলে, বিশ্বকাপের ইতিহাসে এক নয়া রেকর্ড তৈরি হত ৷ এ দিন বিশ্বকাপের মঞ্চে একটি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া তাদের সর্বাধিক 20 ছয় মারার রেকর্ড করেছে ৷
- " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="">
কিন্তু, দক্ষ স্পিনার হিসেবে মিচেল স্যান্টনার বা রাচিন রবীন্দ্র যা পারেননি, পার্টটাইম অফস্পিনার গ্লেন ফিলিপস তা করে দেখালেন এদিন ৷ কিউয়িদের হয়ে প্রথম সাফল্যটি পান তিনি ৷ ব্যাটে আসা বল বোলারের মাথার উপর দিয়ে চিপ করতে চেয়েছিলেন ৷ কিন্তু, ব্যাটের সঠিক জায়গায় বল না লাগায়, তা সোজা ফিলিপসের হাতে ক্যাচ চলে যায় ৷ ওয়ার্নার 81 রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে ফেরার কিছুক্ষণের মধ্যে বোল্ড হন ট্রাভিস হেড ৷ তিনিও সেঞ্চুরি করার পরেই গ্লেন ফিলিপসের শিকার হন ৷ এমনকী স্টিভ স্মিথকেও 18 রানে প্যাভিলিয়নে পাঠান গ্লেন ৷
আরও পড়ুন: ইডেনে টস জিতে ব্যাটিং ডাচদের, বাংলাদেশ দলে ফিরলেন তাসকিন
এর পর মিডল-অর্ডারে গত ম্যাচে সেঞ্চুরি করা গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (41), জস ইংগলিস (38), অধিনায়ক প্যাট কামিন্স (37)-এর ঝোড়ো ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া 388 রানে পৌঁছয় ৷ কিন্তু, অজিদের তিন, চার ও পাঁচ নম্বরের তিন ব্যাটার এই বিশ্বকাপে তেমন কোনও প্রভাব ফেলতে পারছেন না ৷ এ দিন ব্যাটিং সহায়ক পিচেও মিচেল মার্শ 36 রান করেছে 51 বল খেলে ৷ এমনকী মার্নাস লাবুশান 26 বলে মাত্র 18 রান করেন ৷
আরও পড়ুন: রান-আউটের পরেই বুঝেছিলাম এটাই আমার ভারতের শেষ খেলা, নীরবতা ভাঙলেন ধোনি
তবে, এর জন্য নিউজিল্যান্ড বোলারদের কৃতিত্ব যথেষ্ঠ রয়েছে ৷ শুরুতে যে হারে রান উঠছিল, তা চলতে থাকলে বিশ্বকাপ কেন, ওয়ান-ডে ক্রিকেটের ইতিহাসে নতুন অধ্যায় তৈরি করত ক্যাঙারুরা ৷ কিন্তু, কুড়ি ওভারের পর কিউয়িদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং অস্ট্রেলিয়ার রান গতি আটকে দেয় ৷ এর পরেই ছটফট করতে থাকেন অজিরা ৷ শুরুর তুলনায় কম রান ওঠায়, বড় শট খেলার হিড়িক লেগে যায় ৷ আর তাতেই একের পর এক উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া ৷ বোলিং স্পেলে ছাপ ফেলতে না-পারা ট্রেন্ট বোল্ট 49তম ওভারে 3 উইকেট তুলে নেন ৷
আজকের এই ম্যাচ অজিরা জিতে পয়েন্ট টেবিলে তিন নম্বরে উঠে আসার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ সঙ্গে নেট রানরেটে নিউজিল্যান্ডের উপরে ওঠার সুযোগ অস্ট্রেলিয়ার সামনে ৷ তবে, তার জন্য খুব কম ওভারের মধ্যে নিউজিল্যান্ডকে অল-আউট করতে হবে প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্কদের ৷