ETV Bharat / sports

Ranji Trophy 2022-23: অনুষ্টুপ-সুদীপের জোড়া সেঞ্চুরি, রঞ্জি সেমিফাইনালের প্রথমদিনই চালকের আসনে বাংলা

রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে চালকের আসনে বাংলা ৷ অনুষ্টুপ মজুমদার এবং সুদীপ ঘরামির সেঞ্চুরিতে (Century for Anustup-Sudip) 300 রানের গণ্ডি পেরিয়ে গেল বাংলা ৷

Century for Anustup-Sudip ETV BHARAT
শতরানের পর অনুষ্টুপের সেলিব্রেশন
author img

By

Published : Feb 8, 2023, 5:41 PM IST

ইন্দোর, 8 ফেব্রুয়ারি: অনুষ্টুপ মজুমদার (Anustup Majumdar) এবং সুদীপ ঘরামি ৷ বাংলার দুই ব্যাটারের জোড়া সেঞ্চুরিতে রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে (Ranji Trophy Semi Final) চালকের আসনে বাংলা (Bengal on Mountain of Runs in Ranji Trophy) ৷ 51 রানে দুই ওপেনার অভিমন্যু ঈশ্বরণ (27) এবং করণলালের (23) উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় বাংলা ৷ কিন্তু সেখান থেকে বাংলার ইনিংস সামলান অনুষ্টুপ এবং সুদীপ ৷ তবে, 82.2 ওভারে ব্যক্তিগত 120 রানে আউট হন তিনি ৷ তার কিছুক্ষণের মধ্যে 213 বলে 112 রানে আউট হন সুদীপ ঘরামি (Sudip Gharami) ৷ তৃতীয় উইকেটে সুদীপের সঙ্গে 241 রানের পার্টনারশিপ করেন অনুষ্টুপ ৷ 4 উইকেটে 307 রান তুলে হোলকার স্টেডিয়ামে প্রথমদিনের খেলা শেষ করে বাংলা ৷ ক্রিজে অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারির সঙ্গে রয়েছেন শাহবাজ আহমেদ ৷

সাম্প্রতিক অতীতে বাংলার ক্রিকেটের 'মধুসূদন' অনুষ্টুপ মজুমদার। দল যখনই বিপদে পড়েছে তখনই বিপদতাড়ন হিসেবে উপস্থিত হয়েছেন 'রুকু' ৷ রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে তাদের ঘরের মাঠে দাঁড়িয়ে পালটা দেওয়াটা সহজ ছিল না ৷ ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামের সবুজ পিচে আবেশ খানদের বিরুদ্ধে সুদীপ ঘরামির সঙ্গে সেটাই করে দেখালেন অনুষ্টুপ ৷ চিড় ধরা বুড়ো আঙুলের যন্ত্রণা নিয়ে আবেশ খান, কার্তিকেয়, করণদের শাসন করলেন তিনি ৷ সেঞ্চুরিতে পৌঁছে তাঁর প্লাস্টার বাঁধা আঙুল দেখিয়ে অভিবাদন গ্রহণ করেন ৷ বুঝিয়ে দেন কোনও চোট তাঁকে দমাতে পারবে না ৷

তবে, দিনের শেষে দুই সেঞ্চুরিয়ানই প্যাভিলিয়েন ফিরে গিয়েছেন ৷ অনুষ্টুপ মজুমদার 206 বলে 120 রানে আবেশ খানের বলে আউট হন ৷ মূলত 81 নম্বর ওভারে দ্বিতীয় নতুন বল আসতেই বাংলার দুই ব্যাটারের উইকেট তুলে নেয় মধ্যপ্রদেশ ৷ অন্যদিকে, অনুভব আগরওয়ালের বলে লেগ বিফর হন সুদীপ ঘরামি (112 রান) ৷ ক্রিজে রয়েছেন অধিনায়ক মনোজ এবং বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার শাহবাদ আহমেদ ৷

সিএবির বর্তমান প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় চোট পাওয়া পা নিয়ে দুরন্ত সেঞ্চুরি করেছিলেন 1989 সালে ৷ বাংলার রঞ্জি জয়ের অভিযানে যা স্মরণীয় হয়ে থাকবে ৷ সম্বরণ বন্দোপাধ্যায়ের সেই দলের সাফল্যের প্রথম স্তম্ভটা লুকিয়ে ছিল সেদিনের স্নেহাশিসের ইনিংসে ৷ অনুষ্টুপ আর সুদীপের ইনিংসের প্রশংসা করে স্নেহাশিস বলেন, "সবে তো প্রথম দিন ৷ বলার সময় এখনও আসেনি ৷ তবে, যেভাবে অনুষ্টুপ চিড় ধরা আঙুল নিয়ে সেঞ্চুরি করল এবং দুই উইকেট পড়ে যাওয়া অবস্থা থেকে শক্ত ভিতে দাঁড় করাল তার কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয় ৷ সুদীপের প্রশংসা করতেই হবে ৷ তবে, এখনও অনেক সময় বাকি ৷"

আরও পড়ুন: ইন্দোরের স্পিন সহায়ক উইকেটে 2 স্পিনারে খেলবে বাংলা

এই সিজনে সাড়ে সাতশোর বেশি রান এসেছে অনুষ্টুপের ব্যাট থেকে ৷ বুধবার হোলকার স্টেডিয়ামে সেঞ্চুরি সাজালেন 13টি চার এবং 1 বিশাল ছক্কায় ৷ সুদীপ ঘরামি 12টি চার এবং দুটো বিশাল ছয় মেরে সেঞ্চুরি করেছেন ৷ দ্বিতীয়দিন যত দ্রুত সম্ভব ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের কাঁধে রানের বোঝা চাপিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই নামবেন মনোজরা ৷

ইন্দোর, 8 ফেব্রুয়ারি: অনুষ্টুপ মজুমদার (Anustup Majumdar) এবং সুদীপ ঘরামি ৷ বাংলার দুই ব্যাটারের জোড়া সেঞ্চুরিতে রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে (Ranji Trophy Semi Final) চালকের আসনে বাংলা (Bengal on Mountain of Runs in Ranji Trophy) ৷ 51 রানে দুই ওপেনার অভিমন্যু ঈশ্বরণ (27) এবং করণলালের (23) উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় বাংলা ৷ কিন্তু সেখান থেকে বাংলার ইনিংস সামলান অনুষ্টুপ এবং সুদীপ ৷ তবে, 82.2 ওভারে ব্যক্তিগত 120 রানে আউট হন তিনি ৷ তার কিছুক্ষণের মধ্যে 213 বলে 112 রানে আউট হন সুদীপ ঘরামি (Sudip Gharami) ৷ তৃতীয় উইকেটে সুদীপের সঙ্গে 241 রানের পার্টনারশিপ করেন অনুষ্টুপ ৷ 4 উইকেটে 307 রান তুলে হোলকার স্টেডিয়ামে প্রথমদিনের খেলা শেষ করে বাংলা ৷ ক্রিজে অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারির সঙ্গে রয়েছেন শাহবাজ আহমেদ ৷

সাম্প্রতিক অতীতে বাংলার ক্রিকেটের 'মধুসূদন' অনুষ্টুপ মজুমদার। দল যখনই বিপদে পড়েছে তখনই বিপদতাড়ন হিসেবে উপস্থিত হয়েছেন 'রুকু' ৷ রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে তাদের ঘরের মাঠে দাঁড়িয়ে পালটা দেওয়াটা সহজ ছিল না ৷ ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামের সবুজ পিচে আবেশ খানদের বিরুদ্ধে সুদীপ ঘরামির সঙ্গে সেটাই করে দেখালেন অনুষ্টুপ ৷ চিড় ধরা বুড়ো আঙুলের যন্ত্রণা নিয়ে আবেশ খান, কার্তিকেয়, করণদের শাসন করলেন তিনি ৷ সেঞ্চুরিতে পৌঁছে তাঁর প্লাস্টার বাঁধা আঙুল দেখিয়ে অভিবাদন গ্রহণ করেন ৷ বুঝিয়ে দেন কোনও চোট তাঁকে দমাতে পারবে না ৷

তবে, দিনের শেষে দুই সেঞ্চুরিয়ানই প্যাভিলিয়েন ফিরে গিয়েছেন ৷ অনুষ্টুপ মজুমদার 206 বলে 120 রানে আবেশ খানের বলে আউট হন ৷ মূলত 81 নম্বর ওভারে দ্বিতীয় নতুন বল আসতেই বাংলার দুই ব্যাটারের উইকেট তুলে নেয় মধ্যপ্রদেশ ৷ অন্যদিকে, অনুভব আগরওয়ালের বলে লেগ বিফর হন সুদীপ ঘরামি (112 রান) ৷ ক্রিজে রয়েছেন অধিনায়ক মনোজ এবং বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার শাহবাদ আহমেদ ৷

সিএবির বর্তমান প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় চোট পাওয়া পা নিয়ে দুরন্ত সেঞ্চুরি করেছিলেন 1989 সালে ৷ বাংলার রঞ্জি জয়ের অভিযানে যা স্মরণীয় হয়ে থাকবে ৷ সম্বরণ বন্দোপাধ্যায়ের সেই দলের সাফল্যের প্রথম স্তম্ভটা লুকিয়ে ছিল সেদিনের স্নেহাশিসের ইনিংসে ৷ অনুষ্টুপ আর সুদীপের ইনিংসের প্রশংসা করে স্নেহাশিস বলেন, "সবে তো প্রথম দিন ৷ বলার সময় এখনও আসেনি ৷ তবে, যেভাবে অনুষ্টুপ চিড় ধরা আঙুল নিয়ে সেঞ্চুরি করল এবং দুই উইকেট পড়ে যাওয়া অবস্থা থেকে শক্ত ভিতে দাঁড় করাল তার কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয় ৷ সুদীপের প্রশংসা করতেই হবে ৷ তবে, এখনও অনেক সময় বাকি ৷"

আরও পড়ুন: ইন্দোরের স্পিন সহায়ক উইকেটে 2 স্পিনারে খেলবে বাংলা

এই সিজনে সাড়ে সাতশোর বেশি রান এসেছে অনুষ্টুপের ব্যাট থেকে ৷ বুধবার হোলকার স্টেডিয়ামে সেঞ্চুরি সাজালেন 13টি চার এবং 1 বিশাল ছক্কায় ৷ সুদীপ ঘরামি 12টি চার এবং দুটো বিশাল ছয় মেরে সেঞ্চুরি করেছেন ৷ দ্বিতীয়দিন যত দ্রুত সম্ভব ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের কাঁধে রানের বোঝা চাপিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই নামবেন মনোজরা ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.