কলকাতা, 7 জানুয়ারি : লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখনীতে আসতে চলেছে নতুন ধারাবাহিক 'গুড্ডি'। আর এই ধারাবাহিকের হাত ধরেই প্রায় নয় বছর পর মেগা সিরিয়ালে ফিরছেন অভিনেতা রণজয় । গ্ল্যামার দুনিয়ায় রণজয়ের অভিষেক ঘটে মেগা সিরিয়ালের হাত ধরেই (Ranojoy is his starting his new journey in Mega serials after nine years) । ইটিভি বাংলায় সম্প্রচারিত 'সাঁঝবেলা' ধারাবাহিক দিয়েই তাঁর কেরিয়ারের শুরু । এরপর একে একে 'রোশনি', 'দুই ভুবনের পারে' ধারাবাহিকে অভিনয় করার পর মুম্বই চলে যান তিনি । ব্যস্ত হয়ে পড়েন বড় পর্দা, মডেলিং এবং ওয়েব সিরিজ নিয়ে । খ্যাতিও মেলে প্রচুর। বাংলা, হিন্দি দুই ভাষাতেই অভিনয়ে দর্শকের মন মজিয়েছেন রণজয় ।
এবার লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের চিত্রনাট্যে তাঁর জীবনে রয়েছেন দুজন নায়িকা। একজন মধুরিমা বসাক অন্যজন শ্যামপ্তি মুদলি । ধারাবাহিকের গল্প আবর্তিত হয় আইপিএস অফিসার যশ চট্টোপাধ্যায়কে কেন্দ্র করে । তার পোস্টিং পাহাড়ে । তাঁর স্ত্রী পেশায় একজন শিক্ষিকা । পাহাড়ে যেখানে বসবাস করে এই দম্পতি, সেখানকার কেয়ারটেকারের মেয়ে গুড্ডি পুলিশ অফিসার হতে চায় । তাঁর আদর্শ সেই আইপিএস অফিসার অনুজ চট্টোপাধ্যায় । সেই মেয়েটিকে আবার পড়ান পুলিশ অফিসারের স্ত্রী । গল্পের বাঁক অনুযায়ী, পুলিশ অফিসারের স্ত্রী মারা যান । এরপর স্বাভাবিকভাবেই গল্প এগোবে যশ এবং গুড্ডিকে ঘিরে । কীভাবে তাঁরা একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে সেটাই দেখার ।
রণজয়ের স্ত্রী'র চরিত্রে দেখা যাবে মধুরিমা বসাককে । আর গুড্ডির চরিত্রে রয়েছেন শ্যামপ্তি । এ ছাড়াও আছেন চন্দন সেন, বিদিশা চক্রবর্তী, সুদীপ মুখোপাধ্যায়-সহ আরও অনেকে । লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই প্রথমবার কাজ করছেন রণজয় । এই কারণে বেশ খুশি অভিনেতা। তিনি বলেন, "লীনাদি'র গল্প বলা নিয়ে তো কোনও কথা হবে না । আমি এই প্রথমবার ডাক পেলাম লীনাদি'র কাছ থেকে । পাশাপাশি এই চ্যানেলের সঙ্গে আমার সম্পর্কও বেশ ভাল । অনেক যত্ন নিয়ে কাজ হচ্ছে । সিনেমার মতো করে কাজ হচ্ছে । প্রোমো শুট হয়ে গেছে । শুটিংও শুরু হয়েছে ।"
অনেকদিন পর ছোটপর্দায় ফেরা? কেমন লাগছে? এই প্রশ্নের জবাবে অভিনেতা বলেন, "অভিনয়ে থাকাটাই বড় কথা । ছিলাম, আছি এটাই সৌভাগ্য । তবে অনেকদিন পর ছোটপর্দায় ফিরছি । ভাল তো লাগছেই । শুরুটা এই প্ল্যাটফর্মেই ছিল । সব প্ল্যাটফর্মই আমার কাছে আদরের । সব প্ল্যাটফর্মেই কাজ করেছি । আরও করতে চাই ।" ছোটপর্দার ব্যস্ততা প্রভাব ফেলবে না তো ওয়েব কিংবা বড় পর্দায়? রণজয়ের সাফ জবাব, "সিনেমা, ওয়েব কোনওটাই তো নির্দিষ্ট একজনকে কেন্দ্রে রেখে আবর্তিত হয় না । তাই মোটামুটি ১৪-১৫ দিনের মধ্যেই কাজ গুটিয়ে যায় । ফলে, ওই ৬-৭ দিনের একটা ব্যস্ততা থাকে। সেটা মেগা সিরিয়াল করতে করতে ঠিক করে নেওয়া যায় । ৬-৭ মাস পর অত চাপ থাকে না । ছুটি পাওয়া যায় । ফলে, সিরিয়ালে কাজ করার পাশাপাশি আমি বড় পর্দায় বা ওয়েবেও কাজ করতে পারব বলে আশা রাখি ।"
আরও পড়ুন : বাংলা ধারাবাহিকে নয়া ট্রেন্ড উড়ন্ত সিঁদুর, উত্তাল নেট দুনিয়া
আবারও পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় । ভাল লাগে বারবার এরকম চরিত্র করতে, এই প্রশ্নের জবাবে, "এই নিয়ে তিনবার করছি । মন্দ লাগে না । এই ধারাবাহিকে আমি খুব ডিসিপ্লিন্ড এবং নিয়ম নীতিতে বিশ্বাসী এক পুলিশ অফিসারের চরিত্রে । 'বনবিবি' ছবিতেও এমনই এক চরিত্রে আছি । যদিও বাস্তবে আমি অযথা সব ব্যাপারে নিয়মনীতি মেনে চলি না । যেটুকু দরকার সেটুকু করি । এই ধারাবাহিকে কতখানি কী রকম তা জানতে হলে দেখতে হবে ধারাবাহিকটি ।" কোন স্লটে এই ধারাবাহিক আসবে তা জানা যায়নি এখনও । এই চ্যানেলে ১০ জানুয়ারি থেকে 'খড়কুটো' সম্প্রচারিত হবে দুপুর ২:৩০ মিনিটে । সন্ধে সাড়ে ৭ টায় 'আলতা ফড়িং'। 'গুড্ডি' এলে কোনও ধারাবাহিকের স্লট পরিবর্তন হবে নাকি সেটাই দেখার ।