ETV Bharat / sitara

ধর্ম-টাকা যাদের হাতে, তাদের গল্প বলবে 'গণেশ গাথা' - অশোকনগর নাট্যানন

অশোকনগর নাট্যআননের নতুন নাটক 'গণেশ গাথা' একটি সোশ্যাল স্যাটায়ার। এই নাটক বলবে সমাজের কুসংস্কারের কথা।

গণেশ গাথা
author img

By

Published : Mar 28, 2019, 3:10 PM IST

Updated : Mar 28, 2019, 4:00 PM IST

কলকাতা : 4 এপ্রিলে মঞ্চস্থ হতে চলেছে অশোকনগর নাট্যআননের নতুন নাটক 'গণেশ গাথা'। তাদের আগের নাটক মঞ্চস্থ হয়েছিল গত বছর। নাটকটির নাম ছিল 'অপবিত্র'। সেটিও ছিল একটি সোশ্যাল স্যাটায়ার। এটিও একটি সোশ্যাল স্যাটায়ার। গণেশ গাথা নাটকটি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানান দলের সদস্য অভিনেতা ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়।

তিনি বললেন, "একবার নাটকটা মঞ্চস্থ হয়েছে মালদায়। কিন্তু সেটা দর্শকের জন্য ছিল না। আমন্ত্রিত অতিথিরা এসে নাটকটি দেখে গিয়েছিলেন। নাটকটি হরিমাধব মুখোপাধ্যায়ের লেখা। এই প্রথম নয়। নাটকটি অনেকে অনেকরকমভাবে মঞ্চস্থ করেছেন। আমরা অরিজিনাল নাটকটাই করছি। টুকটাক কিছু ভেরিয়েশনস আছে। চন্দন সেন পরিচালনা করছেন। ওভাবেই নাটকটা ডিজ়াইন করেছেন। নাটকটার একটা ডায়ালেক্ট আছে। সেটা বাংলারই ডায়ালেক্ট। আমরা সেই ডায়ালেক্টকেও একটু পরিবর্তন করেছি। এবং আমাদের পরিকল্পনা, বিভিন্ন শোতে বিভিন্ন রকম ডায়ালেক্ট ট্রাই করা। আপনি এই নাটককে কমেডি এবং সোশ্যাল স্যাটায়ার বলতে পারেন। পলিটিক্যাল স্যাটায়ার ঠিক নয়।"

গণেশ গাথা
গণেশ গাথা

ঋতব্রত আরও বললেন, "এটা হচ্ছে যাদের হাতে টাকা আছে তারা এবং যাদের হাতে ধর্ম আছে তাদের চাপে পড়ে সাধারণ মানুষের অবস্থা। সেখান থেকে দেখানো হচ্ছে লোভের পরিণতি। গল্পের মূল বিষয় একজন মানুষ, যার নাম গণেশ। যাকে গ্রামের সকলে অপয়া বলে। কুসংস্কারআচ্ছন্ন একটি গ্রাম। যেখানে সেই ব্যক্তিকে সকলে বলে, যে তার মুখ দেখলে কোনও শুভ কাজ হয় না। শেষ পর্যন্ত সে পয়া হল, না অপয়া হল এটাই গল্প।"


নাটকের বিভিন্ন চরিত্র সম্পর্কে ঋতব্রত বললেন, "চন্দনকাকু এক কাপালিক জগার চরিত্রে অভিনয় করছেন। এখানে দু'জন ভাই আছে। বড় ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন আমাদেরই দলের পঞ্চানন ব্যানার্জি। চরিত্রের নাম মনা পোদ্দার। আমার বাবা শান্তিলাল মুখোপাধ্যায় করছেন ছোটো ভাইয়ের চরিত্র ধানি পোদ্দারের। তারা দুজনেই গণেশকে ব্যবহার করছে টাকা খাইয়ে বিভিন্ন কাজে। এখানেই একটা লোভের বিষয় চলে আসছে। নাটকে অনেকগুলি গান রয়েছে। সেই গানের দলে আমি রয়েছি কোরাসে। আর গণেশের চরিত্র অভিনয় করছেন আমাদের দলেরই দীর্ঘদিনের কর্মী বাসুদেব সাহা।"


নাটকের পরিচালক অভিনেতা চন্দন সেন বললেন, " আমাদের সমাজ ব্যবস্থার মধ্যে যে ধরনের কুসংস্কার আছে, যে ধরনের কুসংস্কার মানুষকে তাড়া করে এবং তার উপর নির্ভর করে মানুষকে বিচার করা হয়, সেটাই তুলে ধরা হয়েছে। এখানে একটি লোককে অপয়া বলা হয়েছে। এটা বোধহয় আপনার বাড়িতেও আছে, আমার বাড়িতেও আছে। এটা সমাজের অতি পরিচিত চিত্র। 1 ঘণ্টা 30 মিনিটের নাটক।"

কলকাতা : 4 এপ্রিলে মঞ্চস্থ হতে চলেছে অশোকনগর নাট্যআননের নতুন নাটক 'গণেশ গাথা'। তাদের আগের নাটক মঞ্চস্থ হয়েছিল গত বছর। নাটকটির নাম ছিল 'অপবিত্র'। সেটিও ছিল একটি সোশ্যাল স্যাটায়ার। এটিও একটি সোশ্যাল স্যাটায়ার। গণেশ গাথা নাটকটি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানান দলের সদস্য অভিনেতা ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়।

তিনি বললেন, "একবার নাটকটা মঞ্চস্থ হয়েছে মালদায়। কিন্তু সেটা দর্শকের জন্য ছিল না। আমন্ত্রিত অতিথিরা এসে নাটকটি দেখে গিয়েছিলেন। নাটকটি হরিমাধব মুখোপাধ্যায়ের লেখা। এই প্রথম নয়। নাটকটি অনেকে অনেকরকমভাবে মঞ্চস্থ করেছেন। আমরা অরিজিনাল নাটকটাই করছি। টুকটাক কিছু ভেরিয়েশনস আছে। চন্দন সেন পরিচালনা করছেন। ওভাবেই নাটকটা ডিজ়াইন করেছেন। নাটকটার একটা ডায়ালেক্ট আছে। সেটা বাংলারই ডায়ালেক্ট। আমরা সেই ডায়ালেক্টকেও একটু পরিবর্তন করেছি। এবং আমাদের পরিকল্পনা, বিভিন্ন শোতে বিভিন্ন রকম ডায়ালেক্ট ট্রাই করা। আপনি এই নাটককে কমেডি এবং সোশ্যাল স্যাটায়ার বলতে পারেন। পলিটিক্যাল স্যাটায়ার ঠিক নয়।"

গণেশ গাথা
গণেশ গাথা

ঋতব্রত আরও বললেন, "এটা হচ্ছে যাদের হাতে টাকা আছে তারা এবং যাদের হাতে ধর্ম আছে তাদের চাপে পড়ে সাধারণ মানুষের অবস্থা। সেখান থেকে দেখানো হচ্ছে লোভের পরিণতি। গল্পের মূল বিষয় একজন মানুষ, যার নাম গণেশ। যাকে গ্রামের সকলে অপয়া বলে। কুসংস্কারআচ্ছন্ন একটি গ্রাম। যেখানে সেই ব্যক্তিকে সকলে বলে, যে তার মুখ দেখলে কোনও শুভ কাজ হয় না। শেষ পর্যন্ত সে পয়া হল, না অপয়া হল এটাই গল্প।"


নাটকের বিভিন্ন চরিত্র সম্পর্কে ঋতব্রত বললেন, "চন্দনকাকু এক কাপালিক জগার চরিত্রে অভিনয় করছেন। এখানে দু'জন ভাই আছে। বড় ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন আমাদেরই দলের পঞ্চানন ব্যানার্জি। চরিত্রের নাম মনা পোদ্দার। আমার বাবা শান্তিলাল মুখোপাধ্যায় করছেন ছোটো ভাইয়ের চরিত্র ধানি পোদ্দারের। তারা দুজনেই গণেশকে ব্যবহার করছে টাকা খাইয়ে বিভিন্ন কাজে। এখানেই একটা লোভের বিষয় চলে আসছে। নাটকে অনেকগুলি গান রয়েছে। সেই গানের দলে আমি রয়েছি কোরাসে। আর গণেশের চরিত্র অভিনয় করছেন আমাদের দলেরই দীর্ঘদিনের কর্মী বাসুদেব সাহা।"


নাটকের পরিচালক অভিনেতা চন্দন সেন বললেন, " আমাদের সমাজ ব্যবস্থার মধ্যে যে ধরনের কুসংস্কার আছে, যে ধরনের কুসংস্কার মানুষকে তাড়া করে এবং তার উপর নির্ভর করে মানুষকে বিচার করা হয়, সেটাই তুলে ধরা হয়েছে। এখানে একটি লোককে অপয়া বলা হয়েছে। এটা বোধহয় আপনার বাড়িতেও আছে, আমার বাড়িতেও আছে। এটা সমাজের অতি পরিচিত চিত্র। 1 ঘণ্টা 30 মিনিটের নাটক।"

Intro:4 এপ্রিল মঞ্চস্থ হতে চলেছে অশোকনগর নাট্যাননের নতুন নাটক গণেশ গাথা। তাদের আগের নাটক মঞ্চস্থ হয়েছিল গত বছর। নাটকটির নাম ছিল অপবিত্র। সেটিও ছিল একটি সোশ্যাল স্যাটায়ার। এটিও একটি সোশ্যাল স্যাটায়ার। গনেশ গাথা নাটকটি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে ইটিভি ভারতকে জানালেন দলের সদস্য অভিনেতা ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়।

তিনি বললেন, "একবার নাটকটা মঞ্চস্থ হয়েছে মালদায়। কিন্তু সেটা দর্শকের জন্য ছিল না। আমন্ত্রিত অতিথিরা এসে নাটকটি দেখে গিয়েছিলেন। নাটকটি হরিমাধব মুখোপাধ্যায়ের লেখা। এই প্রথম নয়। নাটকটি অনেকে অনেকরকমভাবে মঞ্চস্থ করেছেন। আমরা অরিজিনাল নাটকটাই করছি। টুকটাক কিছু ভেরিয়েশনস আছে। চন্দন সেন পরিচালনা করছেন। ওভাবেই নাটকটা ডিজাইন করেছেন। নাটকটার একটা ডায়ালেক্ট আছে। সেটা বাংলারই ডায়ালেক্ট। আমরা সেই ডায়ালেক্টকেও একটু পরিবর্তন করেছি। এবং আমাদের পরিকল্পনা, বিভিন্ন শোতে বিভিন্ন রকম ডায়ালেক্ট ট্রাই করা। আপনি এই নাটককে কমেডি এবং সোশ্যাল স্যাটায়ার বলতে পারেন। পলিটিক্যাল স্যাটায়ার ঠিক নয়।"

ঋতব্রত আরও বললেন, " এটা হচ্ছে যাদের হাতে টাকা আছে তারা এবং যাদের হাতে ধর্ম আছে তাদের চাপে পড়ে সাধারণ মানুষের অবস্থা। সেখান থেকে দেখানো হচ্ছে লোভের পরিণতি। গল্পের মূল বিষয় একজন মানুষ, যার নাম গণেশ। যাকে গ্রামের সকলে অপয়া বলে। কুসংস্কার একটি গ্রাম। যেখানে সেই ব্যক্তিকে সকলে বলে, যে তার মুখ দেখলে কোনও শুভ কাজ হয় না। শেষ পর্যন্ত সে পয়া হল, না অপয়া হল এটাই গল্প।"




Body:নাটকের বিভিন্ন চরিত্র সম্পর্কে ঋতব্রত বললেন, চন্দন কাকা এক কাপালিকের জগার চরিত্রে অভিনয় করছেন। চরিত্রের নাম খানে দুজন ভাই আছে। বড় ভাইয়ের চরিত্রে করছেন আমাদের এই দলের পঞ্চানন ব্যানার্জি। চরিত্রে রয়েছেন মনা পোদ্দার। আমার বাবা শান্তিলাল মুখোপাধ্যায় করছেন ছোটো ভাইয়ের চরিত্রটি। চরিত্রটির নাম ধানি পোদ্দার। তারা দুজনেই গণেশকে ব্যবহার করছে টাকা খাইয়ে বিভিন্ন কাজে। এখানেই একটা লোভের বিষয় চলে আসছে। নাটকে অনেকগুলি গান রয়েছে। সেই গানের দলে আমি রয়েছি কোরাসে। আর গণেশের চরিত্র অভিনয় করছেন আমাদের দলেরই দীর্ঘদিনের কর্মী বাসুদেব সাহা।"


Conclusion:নাটকের পরিচালক অভিনেতা চন্দন সেন বললেন, " আমাদের সমাজ ব্যবস্থার মধ্যে যে ধরনের কুসংস্কার আছে, যে ধরনের কুসংস্কার মানুষকে তাড়া করে এবং তার উপর নির্ভর করে মানুষকে বিচার করা হয়, সেটাই তুলে ধরা হয়েছে। এখানে একটি লোককে অপয়া বলা হয়েছে। এটা বোধহয় আপনার বাড়িতেও আছে, আমার বাড়িতেও আছে। এটা সমাজের অতি পরিচিত চিত্র। 1 ঘন্টা 30 মিনিটের নাটক।"
Last Updated : Mar 28, 2019, 4:00 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.