কলকাতা : রানা মিত্র নিজে কেন ইস্তফা দিয়েছেন, সেটা আর্টিস্ট ফোরামের সাধারণ মেম্বারদের জানানোর জন্যই সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি । আর্টিস্ট ফোরাম এখনও পর্যন্ত রানার ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেনি, তবে নাকচও করেনি । এই বিষয়ে আর্টিস্ট ফোরাম কী ভাবছে, সেটিও জানেন না রানা । যদিও আগামী 28 জুন একটি মিটিং ডাকতে চেয়েছিল আর্টিস্ট ফোরাম । তবে কোনও কারণে সেটি হচ্ছে না বলেই জানিয়েছেন রানা ।
ব্যক্তিগতভাবে শুটিং বন্ধ করার দাবি রাখেননি রানা । নিয়ম মেনে শুটিং শুরু করার পক্ষে ছিলেন এবং এখনও আছেন । কিন্তু, শিল্পীদের যথাযোগ্য সুরক্ষা না দিয়েই শুরু হল শুটিং । কোরোনায় আক্রান্ত হয়ে যদি কোনও শিল্পীর মৃত্যু হয়ে যায়, সেজন্য 25 লক্ষ টাকার বিমার কথা বলা হয়েছিল 9 তারিখের মিটিংয়ে । তবে সেই নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি সেদিনের মিটিংয়ে । অথচ 10 তারিখ ফোরামের একাধিক সদস্যকে না জানিয়েই SOP-তে সই করেন কার্যকরী প্রেসিডেন্ট শংকর চক্রবর্তী, ছিলেন আরও কয়েকজন সদস্য । এটা একটা ধাক্কা হয়ে আসে রানার কাছে । আর তারপরই ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি ।
1998 থেকে 2020 সাল, দীর্ঘ 22 বছর আর্টিস্ট ফোরামের এগজিকিউটিভ কমিটিতে ছিলেন রানা । বললেন, "সেই আর্টিস্ট ফোরামকে নিয়ে যদি তিনি সমালোচনা করেনও, তাহলে, সেটা কোনও ব্যক্তিকেন্দ্রিক হবে না ।" কোনও চ্যানেল, কোনও প্রডিউসারের উপরA ক্ষোভ নেই তাঁর । ক্ষোভ আছে কেবল আর্টিস্ট ফোরামের বিরুদ্ধে । আর্টিস্ট ফোরামকে ভাগ করা কিংবা অন্য কোনও সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ারও কোনও পরিকল্পনা নেই তাঁর । বৈঠকে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন রানা ।
তিনি এও জানালেন যে, এই প্রেস মিট তিনি নিজের সিদ্ধান্তে ডেকেছেন, বাকি তিনজন সদস্যদের হয়ে তিনি কোনও কথা বলবেন না । আর্টিস্ট ফোরামের ভাবনাচিন্তা, তাদের পলিসি মেকিং নিয়ে বিরোধ তৈরি হওয়ায় অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারির পদ ছেড়েছেন রানা । বাকিরা কেন ছে়ড়েছেন সেটা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি ।
শুনে নিন রানা মিত্রর বক্তব্য...