ETV Bharat / sitara

অপরাজিত অপরাজিতা - অপরাজিতা ঘোষের খবর

শান্তিনিকেতনের মেয়ে । জুলজি নিয়ে পড়ে জেনেটিক্স পড়ার ইচ্ছে ছিল । কিন্তু হয়ে গেলেন অভিনেত্রী ও পরিচালক । তবে হুট করে নয় । অভিনয় করতেই এসেছিলেন বাংলা ছবির জগতে । ধীরে ধীরে ক্যামেরার পিছনের কাজ তাঁকে আকৃষ্ট করে । টলিপাড়ার টেকনিশিয়নদের সঙ্গে বেশ ভাবও জমে যায় তাঁর । তৈরি করেন রবীন্দ্র নৃত্যের উপর একটি ডকু-ফিচার 'ডান্স অফ জয়' । মস্কোর কিনোডুয়াল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা মিউজ়িকাল ফিল্ম আওয়ার্ড পায় সেই ছবি । সেই উৎসবেই পান ক্রিয়েটিভ এক্সিলেন্স আওয়ার্ডও । এরপর তৈরি করেন তাঁর প্রথম ফিচার ছবি 'মিস্টিক মেমোয়র' । ৩টি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সমাদৃত হয়েছে সেই ছবি । পরিচালকের নাম অপরাজিতা ঘোষ । তাঁর অভিনয় অনেকবারই দেখেছি আমরা । সম্প্রতি আসতে চলেছে অপরাজিতার ডকুমেন্ট্রি স্টাইলের ওয়েব সিরিজ় 'অপরাজিত'। নিজের জীবন নিয়ে ETV ভারত সিতারার সঙ্গে খোলামেলা আলোচনায় অপরাজিতা ।

Aparajita Ghosh interview
Aparajita Ghosh interview
author img

By

Published : May 15, 2020, 7:04 PM IST

Updated : May 17, 2020, 12:13 PM IST

ETV ভারত সিতারা : এসেছিলেন অভিনয় করতে, হয়ে গেলেন ক্যাপ্টেন অফ দ্য শিপ । কবে মনে হল পরিচালনা করবেন ?

অপরাজিতা ঘোষ : এই ইচ্ছেটা হয়তো শুরু থেকেই ছিল । কিন্তু সেরকমভাবে চাড়া দেয়নি তেমনভাবে । তবে খেয়াল রাখতাম ব্যাক ক্যামেরায় কী হচ্ছে । টেকনিশিয়নদের সঙ্গে আমার সবসময় ভালো সম্পর্ক ছিল । আমি শান্তিনিকেতনের মেয়ে, 2017 সালে হঠাৎ মনে হল খোঁজ নিই রবীন্দ্রনাথের নাচ নিয়ে কী কাজ হয়েছে । দেখলাম তেমনভাবে কোনও ডকুমেন্ট্রি হয়নি । তখন রবীন্দ্রনৃত্যের উপর তৈরি করি 'ডান্স অফ জয়' । সেটাই আমার প্রথম পরিচালনা । 7 টি চলচ্চিত্র উৎসবে গেছে তথ্যচিত্রটি । কলকাতার উৎসবেও দেখানো হয় ডকুমেন্ট্রি কম্পিটিশন সেকশনে । মস্কোতে দুটো আওয়ার্ড পায় । এটা ডান্স ডকুমেন্ট্রি হওয়া সত্ত্বেও মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে । কলকাতায় যখন দেখানো হয়েছিল, যত মানুষ হলের মধ্যে ছিলেন, হলের বাইরেও তত মানুষ ছিলেন । সেসবের জন্য আমি পরবর্তী কাজগুলো করার অনুপ্রেরণা পাই, সাহস পাই ।

ETV : 'মিস্টিক মেমোয়র' তো আপনার ইন্ডিপেন্ডেন্ট কাজ ?

অপরাজিতা : হ্যাঁ । এটা খুব যুদ্ধ করে করা একটা ছবি । আমি তো সিনেমার পরিবার থেকে আসিনি । তারপর আমার সমসাময়িক কোনও অভিনেত্রী ছবি তৈরি করেননি । সেজন্য কোথাও কোথাও খুব সমস্যা তৈরি হয়েছিল । টাকা পয়সা একদম ছিল না । কিছু ফিন্যান্সার আমাদের অবশ্যই সাহায্য করেছে । অল্প ক্রাউডফান্ডিং পেয়েছি । অনেক বন্ধু এগিয়ে এল, যাঁরা আমাদের সঙ্গে কোল্যাবোরেট করেছে । ছবিটা অনেকগুলো জায়গায় ট্র্যাভেল করল । সেটাও কিনোডুয়ালে একটা অ্যাওয়ার্ড পেল, নেটপ্যাকেও মনোনীত হয়েছিল। খুব ভালো ভালো ছবির সঙ্গে আমার ছবি কম্পিটিশনে ছিল । লকডাউনের আগে বাংলাদেশ, মুম্বইতে দেখানো হয়েছে ।

Aparajita Ghosh interview
.

ETV : নেপথ্য নায়কদের নিয়ে একটা ডকুমেন্ট্রি ওয়েব সিরিজ় করেছেন, 'অপরাজিত', নিজের নামের সঙ্গে মিলে গেছে অনেকটা ! পুরোটাই কি কাকতলীয় ?

অপরাজিতা : (হাসি) এটা খুব মজার ব্যাপার । নামটা আমি দিইনি । প্রযোজনা করেছে যারা, নামটা সেই CFP-এর দেওয়া । এরকম কাজ ওয়েব প্ল্যাটফর্মে আগে হয়নি । কিছু মানুষের বীরত্ব নিয়ে এই সিরিজ়, যেমনভাবে তাঁরা লড়ে যাচ্ছেন, এককথায় অনবদ্য । 'অপরাজিত'র মাধ্যমে খুব ইন্টারেস্টিং একটা কাজের অভিজ্ঞতা হল । এই ধরনের কাজ আমি আগে কখনও করিনি । পরিচালনার পাশাপাশি শোটা আমি হোস্টও করেছি । শুটিং লকডাউনের আগেই হয়ে গেছে । এই সময়ই রিলিজ় করার ইচ্ছে ছিল । কিন্তু লকডাউনের কারণে পিছিয়ে দিতে হয়েছে। তবে শিগগিরই রিলিজ় করবে ।

ETV : এই লকডাউনে নিশ্চয়ই অনেককিছু করলেন...

অপরাজিতা : সে তো অবশ্যই । এই লকডাউনে 'আর্থ অ্যানালগ' বলে একটা শর্টফিল্ম বানিয়েছি । ইউটিউবে রিলিজ়ও করে গেছে সেটা । আমার একটা ছোট্ট অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছিল । যখনই ডাক্তারের কাছে যাচ্ছিলাম, গাড়ি থেকে ছবি তুলেছি সেটা বানানোর জন্যে । আমার সব বন্ধুরা, মুম্বইয়ের বন্ধুরাও কোল্যাবোরেট করেছে ।

ETV : আপনি তাহলে সবসময় নতুন কিছু করতে পছন্দ করেন, যেটা আগে কেউ করেনি ?

অপরাজিতা : এটা খুব মজার প্রশ্ন। এই লকডাউনেও নতুন কিছু করার চেষ্টা করেছি । আমার একটা ইউটিউব চ্যানেল হয়েছে । সেখানে আমি লকডাউন এসেনশিয়াল পোস্ট করেছি । একটা এপিসোড বাকি । অনেকদিন ধরে আমার ভাবনায় ছিল স্টোরি টেলিং । এপার বাংলা, ওপার বাংলার সমসাময়িক লেখকদের অনুমতি নিয়েই তাঁদের লেখা পড়তে শুরু করেছি । আসলে আমি বেসিকে ফিরে যেতে চাই । আমাদের প্রযুক্তি অনেক উন্নত হয়েছে, আমরা অনেককিছু শিখতে পারি, পৃথিবীটা আমাদের অনেক কাছে চলে এসেছে । তবে গোড়া বা রুট খুব গুরুত্বপূর্ণ । সেগুলো প্রত্যেকটাই আমার কাজে ফুটে উঠেছে, যেমন রবীন্দ্রনাথের নাচে, 'আর্থ এনালগ'এ, 'মিস্টিক মেমোয়র'এ । 'অপরাজিত'ও তাই ।

Aparajita Ghosh interview
.

ETV : এই লকডাউনও কিন্তু আমাদের সেটাই শেখাচ্ছে, তাই না ?

অপরাজিতা : একেবারেই । এখন দেখতে পাচ্ছেন দূষণ কমে গেছে । বায়ুতে ওজোন লেয়ার ঠিক হয়ে গেছে । তারা ভরা আকাশ, ফুরফুরে বাতাস ! একটা সময় আমরা অবাধ্য বাচ্চার মতো আচরণ করেছি । প্রকৃতি নিজের মতো করে আমাদের শুধরে দিচ্ছে ।

ETV : আপনি তো জুলজি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন ? তারপর এই ইন্ডাস্ট্রিতে?

অপরাজিতা : হ্যাঁ, জুলজির পর জেনেটিক্স নিয়ে পড়ার ইচ্ছে ছিল । ইচ্ছে ছিল বিজ্ঞানী হব । সেটা হল না । আজীবন যত না বেশি পড়ার বই পড়েছি, তার চেয়ে বেশি পড়েছি গল্পের বই । বাড়ি আমার লেখাপড়ার ব্যাপারে ভীষণ কড়া । আমাদের বাড়িতে ছোটোখাটো লাইব্রেরিও আছে । বাবা তো সাহিত্যিক রবীন্দ্র ঘোষ ।

ETV : এখন বাড়ির লোক কী বলেন ?

অপরাজিতা : মা চান আমি PHD করি । বাবা আমার সব কাজেরই খুব ক্রিটিক । তবে দুজনেই এখন খুশি ।

Aparajita Ghosh interview
.

ETV : আন্তর্জাতিক মঞ্চে পুরস্কৃত হলেন, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্মই করবেন ? কোনও বড় ব্যানার থেকে ডাক পেলেন না কেন ?

অপরাজিতা : আমি একটাই ফিচার ছবি বানিয়েছি । সেটা দিয়ে বিচার করা ঠিক নয় । আমার মনে হয় এখনই সেই সময় আসেনি । আমি বড় ব্যানার বলব না, ছবি বানানোর সুযোগ বলতে পারি । আর মানুষের কাছে ছবি পৌঁছনো অনেক বেশি জরুরি । তবে বড় ব্যানার হলে, বড় ক্যানভাসে কাজ করা যায় । কিছু স্ক্রিপ্ট, কিছু ভাবনা আমার আছে, যেগুলোর জন্য সত্যিই বড় ব্যানারের প্রয়োজন । তবে সারমর্ম একটাই, ছবিগুলো যেন ভ্যালু ক্রিয়েট করে ।

আগামী জীবনের জন্য অপরাজিতা ঘোষকে অনেক অভিনন্দন ETV ভারত সিতারার পক্ষ থেকে ।

ETV ভারত সিতারা : এসেছিলেন অভিনয় করতে, হয়ে গেলেন ক্যাপ্টেন অফ দ্য শিপ । কবে মনে হল পরিচালনা করবেন ?

অপরাজিতা ঘোষ : এই ইচ্ছেটা হয়তো শুরু থেকেই ছিল । কিন্তু সেরকমভাবে চাড়া দেয়নি তেমনভাবে । তবে খেয়াল রাখতাম ব্যাক ক্যামেরায় কী হচ্ছে । টেকনিশিয়নদের সঙ্গে আমার সবসময় ভালো সম্পর্ক ছিল । আমি শান্তিনিকেতনের মেয়ে, 2017 সালে হঠাৎ মনে হল খোঁজ নিই রবীন্দ্রনাথের নাচ নিয়ে কী কাজ হয়েছে । দেখলাম তেমনভাবে কোনও ডকুমেন্ট্রি হয়নি । তখন রবীন্দ্রনৃত্যের উপর তৈরি করি 'ডান্স অফ জয়' । সেটাই আমার প্রথম পরিচালনা । 7 টি চলচ্চিত্র উৎসবে গেছে তথ্যচিত্রটি । কলকাতার উৎসবেও দেখানো হয় ডকুমেন্ট্রি কম্পিটিশন সেকশনে । মস্কোতে দুটো আওয়ার্ড পায় । এটা ডান্স ডকুমেন্ট্রি হওয়া সত্ত্বেও মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে । কলকাতায় যখন দেখানো হয়েছিল, যত মানুষ হলের মধ্যে ছিলেন, হলের বাইরেও তত মানুষ ছিলেন । সেসবের জন্য আমি পরবর্তী কাজগুলো করার অনুপ্রেরণা পাই, সাহস পাই ।

ETV : 'মিস্টিক মেমোয়র' তো আপনার ইন্ডিপেন্ডেন্ট কাজ ?

অপরাজিতা : হ্যাঁ । এটা খুব যুদ্ধ করে করা একটা ছবি । আমি তো সিনেমার পরিবার থেকে আসিনি । তারপর আমার সমসাময়িক কোনও অভিনেত্রী ছবি তৈরি করেননি । সেজন্য কোথাও কোথাও খুব সমস্যা তৈরি হয়েছিল । টাকা পয়সা একদম ছিল না । কিছু ফিন্যান্সার আমাদের অবশ্যই সাহায্য করেছে । অল্প ক্রাউডফান্ডিং পেয়েছি । অনেক বন্ধু এগিয়ে এল, যাঁরা আমাদের সঙ্গে কোল্যাবোরেট করেছে । ছবিটা অনেকগুলো জায়গায় ট্র্যাভেল করল । সেটাও কিনোডুয়ালে একটা অ্যাওয়ার্ড পেল, নেটপ্যাকেও মনোনীত হয়েছিল। খুব ভালো ভালো ছবির সঙ্গে আমার ছবি কম্পিটিশনে ছিল । লকডাউনের আগে বাংলাদেশ, মুম্বইতে দেখানো হয়েছে ।

Aparajita Ghosh interview
.

ETV : নেপথ্য নায়কদের নিয়ে একটা ডকুমেন্ট্রি ওয়েব সিরিজ় করেছেন, 'অপরাজিত', নিজের নামের সঙ্গে মিলে গেছে অনেকটা ! পুরোটাই কি কাকতলীয় ?

অপরাজিতা : (হাসি) এটা খুব মজার ব্যাপার । নামটা আমি দিইনি । প্রযোজনা করেছে যারা, নামটা সেই CFP-এর দেওয়া । এরকম কাজ ওয়েব প্ল্যাটফর্মে আগে হয়নি । কিছু মানুষের বীরত্ব নিয়ে এই সিরিজ়, যেমনভাবে তাঁরা লড়ে যাচ্ছেন, এককথায় অনবদ্য । 'অপরাজিত'র মাধ্যমে খুব ইন্টারেস্টিং একটা কাজের অভিজ্ঞতা হল । এই ধরনের কাজ আমি আগে কখনও করিনি । পরিচালনার পাশাপাশি শোটা আমি হোস্টও করেছি । শুটিং লকডাউনের আগেই হয়ে গেছে । এই সময়ই রিলিজ় করার ইচ্ছে ছিল । কিন্তু লকডাউনের কারণে পিছিয়ে দিতে হয়েছে। তবে শিগগিরই রিলিজ় করবে ।

ETV : এই লকডাউনে নিশ্চয়ই অনেককিছু করলেন...

অপরাজিতা : সে তো অবশ্যই । এই লকডাউনে 'আর্থ অ্যানালগ' বলে একটা শর্টফিল্ম বানিয়েছি । ইউটিউবে রিলিজ়ও করে গেছে সেটা । আমার একটা ছোট্ট অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছিল । যখনই ডাক্তারের কাছে যাচ্ছিলাম, গাড়ি থেকে ছবি তুলেছি সেটা বানানোর জন্যে । আমার সব বন্ধুরা, মুম্বইয়ের বন্ধুরাও কোল্যাবোরেট করেছে ।

ETV : আপনি তাহলে সবসময় নতুন কিছু করতে পছন্দ করেন, যেটা আগে কেউ করেনি ?

অপরাজিতা : এটা খুব মজার প্রশ্ন। এই লকডাউনেও নতুন কিছু করার চেষ্টা করেছি । আমার একটা ইউটিউব চ্যানেল হয়েছে । সেখানে আমি লকডাউন এসেনশিয়াল পোস্ট করেছি । একটা এপিসোড বাকি । অনেকদিন ধরে আমার ভাবনায় ছিল স্টোরি টেলিং । এপার বাংলা, ওপার বাংলার সমসাময়িক লেখকদের অনুমতি নিয়েই তাঁদের লেখা পড়তে শুরু করেছি । আসলে আমি বেসিকে ফিরে যেতে চাই । আমাদের প্রযুক্তি অনেক উন্নত হয়েছে, আমরা অনেককিছু শিখতে পারি, পৃথিবীটা আমাদের অনেক কাছে চলে এসেছে । তবে গোড়া বা রুট খুব গুরুত্বপূর্ণ । সেগুলো প্রত্যেকটাই আমার কাজে ফুটে উঠেছে, যেমন রবীন্দ্রনাথের নাচে, 'আর্থ এনালগ'এ, 'মিস্টিক মেমোয়র'এ । 'অপরাজিত'ও তাই ।

Aparajita Ghosh interview
.

ETV : এই লকডাউনও কিন্তু আমাদের সেটাই শেখাচ্ছে, তাই না ?

অপরাজিতা : একেবারেই । এখন দেখতে পাচ্ছেন দূষণ কমে গেছে । বায়ুতে ওজোন লেয়ার ঠিক হয়ে গেছে । তারা ভরা আকাশ, ফুরফুরে বাতাস ! একটা সময় আমরা অবাধ্য বাচ্চার মতো আচরণ করেছি । প্রকৃতি নিজের মতো করে আমাদের শুধরে দিচ্ছে ।

ETV : আপনি তো জুলজি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন ? তারপর এই ইন্ডাস্ট্রিতে?

অপরাজিতা : হ্যাঁ, জুলজির পর জেনেটিক্স নিয়ে পড়ার ইচ্ছে ছিল । ইচ্ছে ছিল বিজ্ঞানী হব । সেটা হল না । আজীবন যত না বেশি পড়ার বই পড়েছি, তার চেয়ে বেশি পড়েছি গল্পের বই । বাড়ি আমার লেখাপড়ার ব্যাপারে ভীষণ কড়া । আমাদের বাড়িতে ছোটোখাটো লাইব্রেরিও আছে । বাবা তো সাহিত্যিক রবীন্দ্র ঘোষ ।

ETV : এখন বাড়ির লোক কী বলেন ?

অপরাজিতা : মা চান আমি PHD করি । বাবা আমার সব কাজেরই খুব ক্রিটিক । তবে দুজনেই এখন খুশি ।

Aparajita Ghosh interview
.

ETV : আন্তর্জাতিক মঞ্চে পুরস্কৃত হলেন, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্মই করবেন ? কোনও বড় ব্যানার থেকে ডাক পেলেন না কেন ?

অপরাজিতা : আমি একটাই ফিচার ছবি বানিয়েছি । সেটা দিয়ে বিচার করা ঠিক নয় । আমার মনে হয় এখনই সেই সময় আসেনি । আমি বড় ব্যানার বলব না, ছবি বানানোর সুযোগ বলতে পারি । আর মানুষের কাছে ছবি পৌঁছনো অনেক বেশি জরুরি । তবে বড় ব্যানার হলে, বড় ক্যানভাসে কাজ করা যায় । কিছু স্ক্রিপ্ট, কিছু ভাবনা আমার আছে, যেগুলোর জন্য সত্যিই বড় ব্যানারের প্রয়োজন । তবে সারমর্ম একটাই, ছবিগুলো যেন ভ্যালু ক্রিয়েট করে ।

আগামী জীবনের জন্য অপরাজিতা ঘোষকে অনেক অভিনন্দন ETV ভারত সিতারার পক্ষ থেকে ।

Last Updated : May 17, 2020, 12:13 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.